বৃষ্টি ভেজা সকাল
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি । আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমরা প্রত্যেকেই জানি আষাঢ়- শ্রাবণ মাস নিয়ে হয় বর্ষাকাল। আমাদের জীবনে চলার পথে যেমন অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে ।তেমনি দিন দিন সব ঋতুর পরিবর্তন হয়েছে। এখন চলছে শরৎকাল। অর্থাৎ ভাদ্র মাস। এখন বলতে গেলে সারা বছরই কমবেশি বৃষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের কৃষ্ণনগরে গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি চলছে। তবে বৃষ্টির একটু প্রয়োজন ছিল। মাঝে এত রোদের তাপ পড়েছিল। যে মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছিল। কিন্তু আবার একভাবে বৃষ্টিও ভালো লাগেনা ।প্রথম দিন বৃষ্টি হয়ে থেমে গিয়েছিল ।কিন্তু গতকাল বেলা ১১ঃ৩০ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি এখনো কোনো থামার নাম নেই।
বৃষ্টি আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু সেটা বাড়িতে বসে। বৃষ্টির সময় রাস্তায় বেরোতে আমি একদম পছন্দ করি না। আমার মত তো আর প্রত্যেকের জীবনে এইভাবে কাটে না ।প্রত্যেককে বাইরে বেরোতে হয়। রোদ, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে। গতকাল বৃষ্টির সাথে সাথে জোরে জোরে বাজ পড়ছিল। তবে আমাদের এখানে নয়। কিছুটা দূরে হয়তো হবে। তবে বাজ পড়লে আমার ভীষণ ভয় করে। কাল রাতে বৃষ্টির সাথে সাথে ঝোড়ো হাওয়া ও দিচ্ছিল। গতকাল থেকেই আকাশে কালো মেঘ করে আছে। মনে হচ্ছে সন্ধ্যা নেমে এসেছে ।সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর একটু বৃষ্টিটা থেমেছিল ।ভাবলাম আর হয়তো হবে না ।কিন্তু আবার খানিকক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হল। বৃষ্টির কারণে শশুর মশাই বাজারেও যেতে পারিনি। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে পাড়ায় পাড়ায় টলি করে সবজিওয়ালা সবজি বিক্রি করতে এসেছে।
বৃষ্টির কারণে ওদের ঘরে বসে থাকলে তো হবে না। ব্যবসা করে খেতে হবে। আকাশে পাখিগুলো ভিজে ভিজে বেড়াচ্ছে ।কোথাও আশ্রয় পেলেই সেইখানে আশ্রয় নিচ্ছে। বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। আমার বাড়ির সামনে একটা বাড়ি রয়েছে। সেই ছাদের নিচে কতগুলো পাখি আশ্রয় নিয়েছে। বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। পাখি গুলোর নাম আমার জানা নেই। এছাড়াও বাইরে পশুগুলো ভিজে ভিজে বেড়াচ্ছে। যারা সকালবেলায় উঠে গরুগুলো ছেড়ে দিয়েছে ।সেই গরুগুলো রাস্তায় ভিজে ভিজে বেড়াচ্ছে। মানুষ তো বৃষ্টি হলে ছাতা, রেনকোট এইসব ব্যবহার করে। কিন্তু পশু, পাখিদের খুবই কষ্ট হয়। তাদের কোথাও দাঁড়াবার জায়গা নেই ।তাই রাস্তায় রাস্তায় ভিজে ভিজেই বেড়াতে হচ্ছে।
বৃষ্টির জন্য শহরের রাস্তাঘাট খুবই নোংরা হয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে একদমই ইচ্ছে করে না। বাগানের গাছগুলো দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টির জল পেয়ে তারাও খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে। কারণ আমি গাছে সেভাবে জল দেওয়ার সময় পায় না। গাছের কিছু ফুল ফুটে রয়েছে। আবার কিছু ফুল বৃষ্টির জলের ভারে পড়ে গেছে। কাল গতকাল বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে পাড়ার কিছু ছেলে মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে স্নান করছিল। তাদের দেখে আমারও একটু ইচ্ছে করেছিল বৃষ্টিতে ভিজতে। কিন্তু একা একা বৃষ্টিতে ভিজে কোন মজা পাওয়া যায় না। তাদের দেখে আমারও সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল।
যাইহোক বৃষ্টি এখনো পড়ে চলেছে ।আর বৃষ্টির সাথে সাথে গাছগুলো মাথা দোলাচ্ছে। আকাশে দলে দলে পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। বৃষ্টি পড়লেই আমার খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করে। আজকে ভেবেছিলাম সকাল বেলাতেই খিচুড়ি খাব। কিন্তু শাশুড়ি মা সকাল থেকেই টিভি দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।তাই আর খিচুড়ি করা হয়নি। বৃষ্টির মধ্যে ঈশা ও কাজ খুঁজে পাচ্ছেনা ।তাই ছাদে একটু উঠেছিল। আর আমিও ছাদ থেকে দুজন দুজনের সাথে একটু কথা বললাম। আবার দুজন দুজনের একটু ছবিও তুলে নিলাম। আসলে বৃষ্টির দিনে কাজ না থাকলে যা হয়। এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় সারাদিন ঘুমোতে ইচ্ছে করে। তবে আমি একটা খুব সুন্দর বৃষ্টি ভেজা সকাল উপভোগ করছি। নিম্নচাপ শুরু হয়েছে শোনা যাচ্ছে।আগামীকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। আমার মত বৃষ্টি আপনারা কারা কারা পছন্দ করেন অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আবার আপনাদের মাঝে।
আসলে সময়ের পরিক্রমায় বর্তমান বিভিন্ন কারনে এর ষড়ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন বর্ষাকালে বর্ষা হয় না অসময়ে বর্ষণ হয়। এইসব ঘটার পেছনে মূলত কারণগুলো হচ্ছে, অতিরিক্ত পরিমাণে বন কেটে ফেলা, প্রচুর পরিমাণ দালান ইমারত নির্মাণ। এছাড়াও বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে প্রকৃতি তার গতিপথ হারিয়ে বিরূপ আচরণ করছে।।
বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে অবস্থান করাই সবচেয়ে ভালো কারণ যেকোনো সময় বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিছু কিছু জায়গায় আরো বেশ কিছুদিন বৃষ্টি থাকবে। আরো প্রায় টানা 3 দিন বৃষ্টি হতে পারে। এতে অনেক জায়গায় প্রচুর পানি বেড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দুইদিন হলো বাংলাদেশে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে, অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করে, ছোটবেলায় বৃষ্টি শুরু হলেই দলবেঁধি একসাথে বৃষ্টিতে ভিজতাম, অনেক আনন্দ হতো, আপনার পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে নিজের ভালোলাগার কথা না জানিয়ে পারলাম না। আপনার মতোই বৃষ্টি আমারও বেশ পছন্দ, তবে বাড়িতে থাকলে। গতকাল সারাদিন আমাদের এখানেও একটানা বৃষ্টি হয়েছে, আজ অবশ্য বিকালের দিকে একটু কম ছিলো। তবে আবহাওয়াটা দারুণ। আপনি ঠিক বলেছেন, এই সময় ঘুমাতে দারুণ লাগে, তবে যখন বাড়ির অন্যদের জীবিকার তাগিদে বেড়োতে হয়, তখন সত্যিই খারাপ লাগে। বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়ার বিভিন্ন ছবি ও ঈশা দিদির সাথে ছাদে বসে সাক্ষাৎ এর মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সত্যি দিদি বৃষ্টির দিন গুলো খুব ভালো লাগে।এই সময় আবহাওয়া খুব ভালো থাকে। ঈশা আর আমার কাজ কর্ম না থাকলে আমরা দুজনে মিলে এই সব কান্ড করি।