শ্বশুর বাড়ি থাকাকালীন সকালের দৃশ্য
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন ।আমিও ভালো আছি। সুস্থ আছি ।আজ আমি আমার শ্বশুর বাড়ির সকাল বেলায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আপনারা সকলেই শুনেছেন কিছুদিন আগে আমি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়ির পোস্টগুলো পরপর দেওয়া হয়নি। অনেক পোস্ট বাকি আছে। আমি সেদিন সকাল বেলায় একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কারণ জেঠু মারা গিয়েছিল ।তাই সেদিন আমাদের কামান ছিল। কেউ মারা গেলে হিন্দু নিয়মে অনেক নিয়ম পালতে হয় । সেদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একটু বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। গ্ৰামের সকাল যেমন হয়। হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা।
সকাল বেলায় বাইরে বেরোতেই অনেক কিছু দেখতে পেলাম। আমার ছোট কাকা শশুর ব্যাংকে কাজ করেন ।ওনার ব্যাংক টা আমাদের বাড়িতে। গ্রামের দিকে ব্যাংক গুলি ছোট ছোট হয় ।আর যারা ব্যাংকে কাজ করে। তাদের ব্যাংকটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে হয়। আবার ব্যাংকটাকে গ্ৰামে সুবিধা মতো ওই এলাকায় যেখানে খুশি সেখানেই করতে পারে। তাই ঘুম থেকে ওঠাতেই দরজা খুললাম খুলেই দেখলাম গেটের সামনে একটা লম্বা লাইন ।সবাই ব্যাংকে এসেছে। কেউ টাকা জমা দিতে কেউ তুলতে।
ওখান থেকে একটু এগোতেই দেখলাম সামনে একটা পুকুর আছে ।পুকুরে হাঁস গুলি চরে বেড়াচ্ছে। এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে সত্যি খুব সুন্দর লাগছে। আমার শ্বশুর বাড়ির পাড়াটাই বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে ।কেউ মাছ ধরেন ,আবার কেউ মাছের ব্যবসা করেন। সামনে কিছুটা এগোতেই দেখলাম। অনেকে হয়তো ভোরবেলায় মাছ ধরে এসেছে । এসে জাল গুলো একটা বাঁশের সাথে টাঙিয়ে রেখেছে।
এইসব দৃশ্য আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। যাদের হয়তো গ্রামে বাড়ি, তারা দেখতে পাবে। বাড়ির সামনের পুকুরটা দেখলাম।আমাদের নিজেদের পুকুরে গিয়ে দেখলাম। সেখানে আমার বর জিওল মাছের চারা কিনে মাছ ছাড়ছে। আমি হয়তো এর আগেও শ্বশুরবাড়ি গিয়ে থেকেছি। কিন্তু মাছ ছাড়া কিংবা ধরা কিছুই দেখিনি। কারণ আমি একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠি । তাই ও আর আমাকে ডাকে না।
এর আগে আমি ওকে অনেকবার বলেছি। তুমি যখন মাছ ধরবে আমাকে ডাকবে ।কিন্তু ও আমাকে ডাকে না। এবার নিজে থেকে গিয়েই মাছ ছাড়া দেখতে পেলাম। যেহেতু সে দিনকে আমাদের কামান ছিল। তাই বরের সাথে একটু ঘরে এসে মজা করছিলাম। আমাদের হিন্দু দের নিয়মে কাকা ,জ্যাঠা, ঠাকুমা মারা গেলে মাথা ন্যাড়া করতে হয়। তাই আমি বরকে মজা করে বলছিলাম তুমিও মাথা ন্যাড়া করবে। দেখতে বেশ ভালোই লাগবে। মাথা ন্যাড়া করার আগে আমি ওর একটা ছবি তুলে রাখলাম ।
যদিও ও পরে ন্যাড়া হয়নি, কিন্তু তবুও আমার ওকে ক্ষ্যাপা তে বেশ মজা লাগছিল ।আর আজ এখানেই পোস্ট শেষ করছি, আবার নতুন কোন কথা নিয়ে পরের পোস্টে হাজির হব।
আপনার পরিবারের সদস্য মারা গিয়েছে। আপনাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে আপনাদের অনেক আচার থাকে।মাথা ন্যাড়া করতে হয়। সেজন্য আপনি খুব মজা পাচ্ছিলেন এবং আপনার বরকে মাথা ন্যাড়া করার জন্য খেপা চ্ছিলেন। ব্যাপারটা ভীষণ অদ্ভুত।
তবে আপনার পোস্টে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। আপনার পোস্টে আপনাদের ওখানকার ব্যাংক সম্বন্ধেও জানতে পারলাম।
আমাদের কেউ মারা গেলে শুধু মাথা ন্যাড়া নেই ১৫ দিন পালতে হয়। ১৫ দিন ধরে নিরামিষ খেতে হয়। আরো অনেক নিয়ম থাকে।আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
গ্রামের দৃশ্য বরাবরই আমি খুব ভালোবাসি। বিশেষ কারনে আপনি গ্রামে গিয়েছিলেন এবং সেই সুবাদে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলেন আপনি।
গ্রামে ঘোরাঘুরি করলে মাছ ধরার দৃশ্য এবং পুকুরে হাস সাঁতরে বেড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে। জাল টানিয়ে রাখার ফটোগ্রাফিটা ভালো লাগছে। সময় পেলে আবারও গ্রামে আসবেন এবং উপভোগ করবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।
আমিও আপনার মত গ্রাম খুব ভালোবাসি। চেষ্টা করবো সময় পেলে আবার গ্রামে বেড়াতে যাবার। পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আমিও আপনার মত বরাবরই গ্রামের দৃশ্য খুব ভালোবাসি। চেষ্টা করব সময় পেলে আবার গ্রামের দৃশ্য উপভোগ করার। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গ্রামের পরিবেশের সাথে শহরের পরিবেশের বিস্তর তফাৎ রয়েছে। গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রাও অন্যরকম। এগুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনার জেঠু মারা গেছেন। হিন্দুধর্মতে কেউ মারা গেলে অনেক নিয়ম পালন করতে হয়। মাথা ন্যাড়া করতে হয় তাই এটা নিয়ে হাসবেন্ড এর সাথে মজা করেছেন। আপনার শ্বশুরবাড়ির এলাকা অনেক সুন্দর। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের পরিবেশের সাথে শহরের পরিবেশ আকাশ পাতাল পার্থক্য। গ্রামের পরিবেশ দেখে সত্যিই মনটা ভালো হয়ে যায়। আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকা সত্যিই খুব সুন্দর। চেষ্টা করব আরও নতুন নতুন পোস্ট দেওয়ার ।
জেঠু মারা যাওয়ার কারণে আপনাদের আজকে কামান অনুষ্ঠান ছিল। আপনি শ্বশুরবাড়ি আগেও গিয়েছেন কিন্তু মাছ ধরা দেখার খুব ইচ্ছা থাকা সত্বেও দেখতে পারেননি। এবারও কিছুটা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে দেখতে পারেন নাই।
আমি নিজেও অবশ্য কোনদিন কাছ থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরা দিয়ে দেখিনি।
আপনার পোস্টে আপনাদের গ্রামের ব্যাংকের সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আমার বরও একজন ব্যাংকার, তাই একটু বেশিই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
ভালো লাগলো আপনার শ্বশুর বাড়ির অভিজ্ঞতা পড়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমারও খুব ইচ্ছা যখন আমাদের পুকুরে মাছ ধরে তখন দেখার। পোস্টে আমি জানিয়েছি যে আমার কাকা শশুর ব্যাঙ্কে কাজ করেন। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সকালের দৃশ্য আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। আসলে দিদি প্রতিটি সকাল আমার কাছে সুন্দর। একেকদিন একেক ভাবে সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আপনি যেমনটা করেছেন। এর মধ্যে গ্রামের সকাল সত্যি অন্যরকম হয়। পুকুর, রাস্তা, প্রকৃতি সবকিছুই অসাধারণ। আপনার লিখা এবং ছবিতে সেগুলো স্পষ্ট হয়েছে।
পুকুরে মাছ ছাড়ার বিষয়টি দেখতে খুব ভালো লাগছে। আর এই বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি। নতুন পোনা যখন পুকুরে ছাড়া হয় তখন তারা আনন্দ নিয়ে পানির ভেতর চলে যায়। এমন দৃশ্য সত্যি অসাধারণ লাগে।
ভালো থাকবেন দিদি। শুভকামনা রইলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামে এক একটা সকল একদম অন্যরকম। পুকুরে যখন মাছ ছাড়া হয় ।তখন দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কারণ মাছগুলো ভাবে তখন আমরা জলে সাঁতার কেটে বেরাবো। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা সবাই বিগত পোস্টেই অবগত হয়েছি আপনার জেঠু মারা গিয়েছে। শশুর বাড়িতে গিয়ে সকালবেলার দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাদের ওইদিকে মনে হয় বেশিরভাগ মানুষই মাছ ধরে। কারণ যেভাবে জালগুলো ঝুলিয়ে রেখেছে মনে হচ্ছে বেশ ভালই মাছ ধরে এবং বিক্রি করে।
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে এরকম সকালবেলা সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমার শ্বশুরবাড়ি পাড়ায় প্রায় অধিকাংশই মানুষ মাছ ধরেন। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালীন সকালবেলা আপনি হাঁটতে বের হয়েছেন। আসলে সকালবেলা গ্রামের দৃশ্যটা থাকে অন্যরকম। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়া চারপাশে পাখির ডাকাডাকি ছাড়া আর তেমন কিছুই শোনা যায় না। আসলে পুকুরে মাছ ছাড়া দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ। যেটা আমি কিছুদিন আগে আমার বাবার বাড়িতে দেখেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্বশুর বাড়িতে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামে সকাল বেলার দৃশ্যটা সত্যিই অন্যরকম লাগে। আমাদের শহরে ও পাখির ডাক আমরা শুনতে পাইনা। ঘুম থেকে উঠেই শুধু গাড়ির হর্ন বাজতে শুনতে পায়। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামের সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করার মধ্যে যেমন শিশির ফোঁটা দেখা যায়। সেই সাথে শোনা যায় বিভিন্ন ধরনের পাখির ডাক। আর খালি রাস্তা দিয়ে হাঁটার অনুভূতিটা থাকে, অন্যরকম। ঠান্ডা বাতাসের শরীরে অন্য রকমের ভালো লাগা কাজ করে। চারপাশে সবুজের সমারোহ মনে হয় যেন, আমরা সবুজের শহরে ডুবে যাচ্ছি ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের সকালবেলায় হাটাহাটি করলে কত কিছুই না দেখা যায়। কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমার হয় না। আপনাদের সামনে যেগুলো তুলে ধরেছি হয়তো আপনাদের কাছে তুলে ধরার জন্যই আমার সকালবেলায় দৃশ্যটা দেখতে পেয়েছি। নয়তো কোনদিন ই দেখা হতো না।
প্রথমত আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো মন ছুইয়ে যাওয়ার মতো হয়েছে।গ্রামাঞ্চলের এমন দৃশ্য সকল প্রকৃতি প্রেমিদের মনে যায়গা করে নেয়।আপনার জেঠু মারা যাওয়ায় আমি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।আপনারা পুকুরে মাছ ছেড়েছেন।বিশেষ করে মছ ধরার জালের ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।