চুলের তেল
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি। আজকে আমি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
এখনকার দিনে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই চুল পড়ার সমস্যাই ভোগেন। এখন যেহেতু বর্ষাকাল ।বর্ষাকালে বেশি চুল ওঠে। আমিও প্রায় অনেকদিন ধরেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছিলাম। দোকানের তেল ব্যবহার করে আমার চুল পড়া কম ছিল না। আমি চুলের জন্য অনেক রকম জিনিসই ব্যবহার করতাম। কিন্তু কোন কিছুতেই চুল পড়া কমত না।
আমি বাড়িতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তেল তৈরি করেছিলাম ।সেই তেল বেশ কিছুদিন লাগানোর পর আমার চুল পড়া অনেকটাই কমে গেছে। তারপর থেকেই আমি এই তেল চুলে ব্যবহার করি ।তেলটি বানাতে আমি বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করিনি। কিংবা দোকান থেকে কোনো জিনিস কিনিনি। আমার বাড়িতে যেসব জিনিস গুলো আছে। সেইসব জিনিস দিয়েই আমি আমার চুলের তেলটি তৈরি করেছি। তেলটি ব্যবহার করে আমি অনেকটাই উপকার পেয়েছি। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমি তেলটি বানানোর জন্য ব্যবহার করেছি মেথি কালো জিরে, জবা ফুল , ঘৃতকুমারী (আ্যলোভেরা), পেঁয়াজ। এই সব কয়টি উপাদানই চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। এই সব কটি উপাদানকে গোড়া থেকে মজবুত করে। চুলকে ঘন আর কালো করতে সাহায্য করে।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পেঁয়াজ | ১ টা |
২ | মেথি | ২ চামচ |
৩ | কালো জিরে | ২ চামচ |
৪ | জবা ফুল (লাল রঙের) | ২ টো |
৫ | ঘৃতকুমারী (আ্যলোভেরা) | ১ টা ডাল |
৬ | নারকেল তেল | ৪ ফোটা |
৭ | ভিটামিন ই ক্যাপসুল | ১ টা |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি গ্যাসে একটা গামলায় আধ গামলা জল বসিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ, জবা ফুল, মেথি, কালোজিরা আর কেটে রাখা ঘৃতকুমারী(অ্যালোভেরা) সমস্ত উপাদান জলের মধ্যে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
ফোটানোর সময় গ্যাস টাকে মিডিয়াম রাখতে হবে। কারণ আস্তে আস্তে ফুটলে জিনিসগুলো ভালো সিদ্ধ হবে। ভালো করে সিদ্ধ হবার পর আমি কয়েক ফোটা শালিমার নারকেল তেল দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এরপর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি হাত দিয়ে সমস্ত উপাদান গুলো ভালো করে চটকে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
চটকে নেওয়ার পর উপাদান গুলো ফেলে দিয়েছি। শুধু জল টাকে রেখে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এরপর জল টাকে ছাঁকনি বা কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে একটা শিশির মধ্যে রেখে দিতে হবে। শিশির মধ্যে আমি একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভিতরে তরল পদার্থ টা মিশিয়ে নিয়েছি। আর খোসাটা ফেলে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এইভাবে সব মিশিয়ে নিয়ে তৈরি হয়ে গেল আমার চুলের তেল।
আপনারা এইরকম ভাবেই তেল তৈরি করে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন। আশা করি আমার মতো আপনারাও উপকার পাবেন। আমি এরকম ভাবে তেল বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিই। চুলে তেল দেবার সময় তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় গোড়ায় দিই। অনেকে তেল দিয়ে বানায়। আমি কিন্তু বেশি তেল ব্যবহার করিনি। আমি মাত্র তিন থেকে চার ফোঁটা তেল উপাদান গুলোর মধ্যে দিয়েছি। আমি তেলটি প্রত্যেক দিন ব্যবহার করি। তেলটি ব্যবহার করার পর চুল ভালো ভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। পোস্টটিতে চুলের ছবিটি আমার নিজের।
আজ এইখানে শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
মানুষের জীবনে মাথার চুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমান যে সময় যাচ্ছে মানুষ চুলে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করে নিজেদের চুলের ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসে যাইহোক চুলের তেল নিজে তৈরি করে মাখা যায় এবং এতো সুন্দর পদ্ধতি আছে এটা আমার জানা ছিলো না ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে । প্রত্যেকটি মানুষের উচিত চুলের সঠিক তথ্য নেওয়া। আপনি আজকে খুব উপকারী একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনি সুন্দর করে ধাপে ধাপে চুলের উপকারী তেল বানানোর পদ্ধতি টা আমাদের কাছে শেয়ার করছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।