বরবটির ভর্তা
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি একটা নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবজি খেতে আমরা কম বেশি সকলেই ভালোবাসি। আমি আজকে বরবটি ভর্তা রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সবজির মধ্যে বরবটি একটি পুষ্টিকর খাবার। আমরা অনেকেই বরবটি ভাজা খেতে ভীষণ ভালোবাসি। আমাদের বাড়িতে যেহেতু সবজি খাওয়া বেশি হয়। তাই প্রত্যেক দিনই কিছু না কিছু সবজি রান্না করা হয়। সবজি খাওয়া শরীরের পক্ষে সত্যিই খুব উপকারী। সবজি খেলে আমাদের শরীর ভালো থাকে।
আমি ছোটবেলায় বরবটি কাঁচা চিবিয়ে খেতাম। এখনো মাঝে মাঝে রান্না করতে গেলে কাঁচা বরবটি খায়। রান্না করা সবজি থেকে কাঁচা সবজি খাওয়া আরো অনেক উপকারী। কিন্তু সব সবজি তো কাঁচা খাওয়া যায় না । বরবটিতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ।এ ছাড়া ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলি বরবটিতে রয়েছে। বরবটির বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। বরবটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে ।এছাড়াও বরবটি আমাদের হজমে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের পক্ষে বরবটি না খাওয়াই ভালো।
সব সবজি ভালো খারাপ সব গুন রয়েছে। বেশিরভাগ সব সবজির মধ্যেই কিছু না কিছু ভালো উপাদান রয়েছে। আমি বরবটির ভর্তা রান্না করতে বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করিনি। খুব সহজেই আমি এই রেসিপিটি তৈরি করেছি চলুন তাহলে শুরু করি বরবটির ভর্তার রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | বরবটি | ২৫০ গ্ৰাম |
২ | লবণ | ১ চামচ |
৩ | কাঁচা লঙ্কা | ৬ টা(ছোট সাইজের) |
৪ | রসুন | ৫ কোয়া |
৫ | ধনেপাতা | সামান্য পরিমাণ |
৬ | কালোজিরা | ১ চামচ |
৭ | শুকনো লঙ্কা | ১ টা |
৮ | সরষের তেল | ২ চামচ |
৯ | হলুদ | হাফ চামচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কিছু বরবটি নিয়ে সেগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে প্রেসার কুকারে দিয়েছি সিদ্ধ করার জন্য।
তৃতীয় ধাপ
তিন থেকে চারটে সিটি মারার পর প্রেসার কুকার থেকে বরবটি গুলো বের করে জল ঝরাতে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
জল ঝরানো হয়ে গেলে বরবটি গুলো মিক্সচার মেশিনের মধ্যে দিয়ে ওর মধ্যে লবণ ,কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা দিয়ে একসাথে পেস্ট করে নিয়েছি। পেস্ট করার সময় আমি কোন জল ব্যবহার করিনি।
পঞ্চম ধাপ
পেস্ট করা হয়ে গেলে এরপরে আমি গ্যাসে একটা কড়াই বসিয়েছি। কড়াই গরম হলে কড়াইতে সামান্য পরিমাণে তেল দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
কড়াইয়ে তেল গরম হলে তেলের মধ্যে একটা শুকনো লঙ্কা আর কালোজিরা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এরপর পেস্ট করে রাখা বরবটি কড়াইতে দিয়েছি। আর সামান্য পরিমাণে হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
অষ্টম ধাপ
ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে । না হলে কড়াইয়ের গায়ে লেগে যাবে। বরবটির জল যখন শুকিয়ে আসবে তখন কড়াই থেকে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বরবটি ভর্তা।
এরকম ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে দুর্দান্ত লাগে। আপনারা বাড়িতে খুব সহজে তৈরি করে ফেলুন বরবটির ভর্তা। আশা করি আপনাদেরও খেতে খুব ভালো লাগবে। আমি বরবটির ভর্তার মধ্যে সামান্য পরিমাণে ধনেপাতা দিয়েছিলাম। কারণ ধনেপাতা দিলে আরো সুস্বাদু খেতে লাগে।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব।
সত্যি আপনাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো সেটা বলার নাই, আপনি প্রতিদিন এমন এমন নতুন কিছু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন যেটা দেখে আসলে আমি খুবই অবাক হই।
কারণ আজ পর্যন্ত কোনদিন শুনিনি যে বরবটি ভর্তা খাওয়া যায় কিংবা বরবটিও হত্যা করা যাবে, কিন্তু আজকে আপনার এই বরবটি ভর্তা রেসিপি টা দেখে। আমারও মনে চাচ্ছে কোন একদিন এভাবে ভর্তা করে খেতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।বরবটি দিয়ে ভর্তা করা যায় এটা আগে কখনো শুনিনি। ভর্তাটি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। এখন বর্ষাকাল ।বর্ষা দিনে ভর্তা গরম গরম ভাতের সাথে খুব ভালো লাগে।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে বরবটি এমনি অনেক খাওয়া হয়েছে কিন্তু কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি এই প্রথম আপনার পোস্টে দেখলাম কিভাবে ভর্তা করতে হয়।। আর হ্যাঁ দিদি দেখে কিন্তু অনেক লোভ লেগেছে যেহেতু কখনো খাইনি সেজন্য।। বাসায় আমি বলব ভর্তা তৈরি করার জন্য।।
আমার পোস্টে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বরবটির ভর্তা বাসায় আমিও তৈরি করি। তবে আমি দুই ভাবে করি কখনো কখনো আপনার মতো করেই ভেজে করি আবার কখনো কখনো শুধুই বেটে নেই। দুটোই আমার কাছে ভালো লাগে। আমার কাছে ভর্তা হলেই হয়।
যারা কখনো বরবটি ভর্তা বানায়নি তাদের জন্য আপনার এই রেসিপি অনেক কাজে লাগবে।