নারকেলের নাড়ু রেসিপি
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। সুস্থ আছি ।আজকে আমি একটি নতুন রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আপনারা সকলেই হয়তো কম-বেশি নারকেল খেতে ভালোবাসেন। কাঁচা নারকেল বিভিন্ন রকম ভাবে আমরা খায়। তেমনি নারকেলের নাড়ু অনেকেই পছন্দ করে । আমি নারকেল নাড়ু খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আমাদের বাড়িতে সারা বছরই নারকেলের নাড়ু করে আমার শাশুড়ি মা রেখে দেয়। কারণ আমি খেতে ভালোবাসি বলে। অনেকে গুড় দিয়ে তৈরি করে। আমি চিনি দিয়ে তৈরি করেছি।এই পদ্ধতিতে তৈরি করলে নাড়ু সাদা ধবধবে হবে।
নারকেল একটি পুষ্টিকর ফল আমরা ছোট অবস্থায় নারকেল কে ডাব বলি । যেটা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এছাড়া নারকেলের বিভিন্ন গুনাগুন আছে চলুন তাহলে শুরু করি নারকেলের নাড়ু তৈরি রেসিপিটি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | নারকেল | ২ টো |
২ | চিনি | ২ কাপ |
৩ | দুধ | ২৫০এম এল |
৪ | এলাচ | ৪টি |
প্রথম ধাপ
আমি প্রথমে দুটো নারকেল নিয়েছি। আপনারা আপনাদের পরিমাণ মতো নিতে পারেন।
দ্বিতীয় ধাপ
আমি নারকেল দুটিকে ফাটিয়ে জলটা বের করে রেখে দু অর্ধেক করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
দু অর্ধেক করা নারকেল টিকে আমি একটি নারকেল কোরানো বটির সাহায্যে কুরে নিয়েছি। দুটো নারকেল থেকে আমার প্রায় অনেকটাই হয়েছিল।
চতুর্থ ধাপ
এরপর আমি একটা কড়াইতে নারকেল কোড়াটাকে ঢেলে নিয়েছি। কড়াইতে রেখে ঠান্ডা অবস্থায় পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে চটকে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
চিনি দিয়ে নারকেল কোড়াটাকে ভালো করে চটকে নেবার পর কড়াই টা গ্যাসে বসিয়ে ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেবার সাথে সাথে খুন্তি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে, না হলে কড়াইতে লেগে যেতে পারে।
ষষ্ঠ ধাপ
আমি প্রথমে দুধ টাকে গরম করে রেখেছিলাম।
কড়াইতে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে করতে যখন জল শুকিয়ে যাবে। তখন জ্বাল দিয়ে রাখা দুধটাকে অল্প অল্প করে কড়াইতে নারকেল কোড়ার মধ্যে দিতে হবে। আর খুন্তি দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। আবার যখন একটু শুকিয়ে আসবে ।তখন দুধটাকে দিতে হবে। এইভাবে দিতে থাকতে হবে। আর ভালোভাবে নাড়তে হবে।নাড়া বন্ধ করে দিলেই কিন্তু কড়াইয়ে লেগে যেতে পারে।
সপ্তম ধাপ
কড়াইতে যখন নারকেল টা শুকনো হয়ে আসবে, তখন চারটে এলাচ গুঁড়ো করে নারকেল কোড়ার মধ্যে ছিটিয়ে দিতে হবে। আমি আগে থেকেই এলাচ গুলো গুঁড়ো করে রেখেছিলাম।
অষ্টম ধাপ
এরপর গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিতে হবে।
নবম ধাপ
একদম ঠান্ডা হয়ে গেলে হবে না ,হালকা গরম অবস্থায় পাকিয়ে নিতে হবে ।আপনারা যেমন সাইজ করবেন, সেই রকম ভাবে দুহাত দিয়ে পাকিয়ে নেবেন।
দশম ধাপ
ভালোভাবে গোল করে পাকিয়ে নিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে গেল নারকেলের তৈরি নাড়ু।
এরকমভাবে খুব সহজেই আপনারা বাড়িতে তৈরি করতে পারেন ।নারকেলের তৈরি নাড়ু । আমি বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করিনি। এইভাবে নাড়ু বানিয়ে রাখলে মুড়ির সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। আবার শুধু নাড়ু খেতেও খুব ভালো লাগে।
নারকেলের নাড়ু খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়ত পাওয়া যাবে না। আপনি নারকেলের নাড়ু তৈরির প্রনালী উপস্থাপন করেছেন আজ। দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে, ইনবক্সে পাঠিয়ে দিন দু একটা😀।
আপনার উপস্থাপনটা অসাধারণ হয়েছে। আশা করি সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন নারকেলের নাড়ু খেতে প্রত্যেকেই পছন্দ করে। যদি ইনবক্সে পাঠানো যেত সত্যিই পাঠিয়ে দিতাম। সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলাম। কিন্তু বেশি অর্ধেক আমি খেয়েছিলাম। কারণ আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আপনার এই রেছিপি দেখে আমর খেতে ইচ্ছে করছে। কারন আমার নারকেল খুব প্রিয় একটি খাবার। তাই নারকেল দিয়ে পিঠা নারু সব কিছু আমার অনেক ভালো লাগে।আমার বিশেষ করে নারকেল দিয়ে চিতই পিঠা অনেক ভালো লাগে, আসা করি নারকেল এর আরো নতুন নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দিবেন।ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করব নারকেল দিয়ে আরো অনেক ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার।
নারিকেলের নাড়ু আমার খুব প্রিয় একটা জিনিস।আপনার বানানো এই নাড়ুগুলো দেখেই খুব লোভনীয় লাগছে। আমিও আপনার মতো করেই এই নাড়ু বানাই ,তবে লিকুইড দুধের পরিবর্তে মিল্ক পাউডার ব্যবহার করি। চমৎকার এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য আপনকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে এত ভাল কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে আপনার নারিকেলের নাড়ু তৈরি করার পদ্ধতি দেখে অনেক ভালো লাগলো খুবই সুন্দর করে আপনি সাজিয়েছেন এবং প্রতিটা ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
তবে সত্য কথা বলতে নারিকেলের নাড়ু দেখে সবচেয়ে বেশি আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল কারণ আমি যখন বাড়ি ছিলাম মাঝেমধ্যে আমার আম্মা আমার জন্য নারিকেলের নাড়ু তৈরি করত এবং আমি সেগুলো খেতে অনেক পছন্দ করতাম। দুঃখের বিষয় আর কেউ কখনো এভাবে খেতে দেবে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় মা ,ঠাকুমা, দিদা এরাই বেশিরভাগ নারকেল নাড়ু করে খাওয়াতেন। আমার পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার নারকেল নাড়ুর রন্ধন প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। নারকেল নাড়ু আমার মতো অনেকেরই খুব পছন্দের একটি খাবার। যদিও সহজ কিন্তু সঠিকভাবে না করতে পারলে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না।
আমার মনে হয় আপনার এই লেখাটি পরিদর্শনের পর অনেকেই সুস্বাদু নাড়ু তৈরি করতে পারবেন।
নারকেল নাড়ু আমার ভীষণ পছন্দের একটা খাবার। হ্যাঁ তবে সঠিকভাবে করতে না পারলে স্বাদ পাওয়া যাবে না। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার নারকেলের নাড়ু রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেলো।আসলে নারকেলের তৈরিকৃত সবকিছুই আমার বেশ পছন্দের।আপনি এটি বানানোর দ্রব্যাদির পরিমাণ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।আর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এতে আমাদের বুঝতে সুবিধা হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য
আমার পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নারকেল নাড়ু রেসিপিটি খুব সহজে তৈরি করে ফেলুন বাড়িতে। নারকেল নাড়ু থেকে দেখছি সবাই ভালবাসে। খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে নারকেলের তৈরি নাড়ু।
দিদি নারকেলের নাড়ু আমার সত্যি অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমি বিভিন্ন সময় শপ থেকে এটি কিনে খাই। বাসায় তেমন একটা তৈরি করে না বিধায় এমনটা করতে হয় আমাকে। এছাড়াও পুজোর সময় আমার যে ফ্রেন্ডগুলো হিন্দু ধর্মালম্বী আছে তাদের কাছ থেকে নাড়ু যেকোন উপায়ে আদায় করি। সেই নাড়ুগুলো খেতে সবথেকে মজাদার হয়।
দিদি আপনি ঠিক বলেছেন। নারিকেল একটি পুষ্টিকর ফল এবং এটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। নারকেলের নাড়ু সবথেকে বেশি সু-স্বাদু আমার মনে হয়। আপনি দারুণভাবে রেসিপিটি আজ আমাদের সাথে ভাগ করেছেন। ভালো থাকবেন দিদি। শুভ কামনার রইল।
আপনার মত আমারও নারকেল নাড়ু ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের বিভিন্ন পুজোর সময় নারকেল নাড়ু ব্যবহৃত হয়। আমার তো কাঁচা নারকেল খেতে ভীষণ ভালো লাগে। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যিই আপু নারিকেলের নাড়ুর কথা শুনলেই কেন জানি লোভ সামলাতে পারি না। যদিও আমাদের বাসায় তেমন একটা নাড়ু তৈরি হয় না। কিন্তু আপনাদের যখন হিন্দু ধর্মের পূজা হয় তখন আমার অনেক হিন্দু বন্ধু নাড়ু নিয়ে আসে। আসলে নাড়ুগুলো খেতে অন্যরকম সুস্বাদু।
আপনি নাড়ু বানানোর বিস্তারিত পদ্ধতি শেয়ার করেছেন।
এরকম নিত্য নতুন রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
হিন্দু ধর্মের লক্ষ্মী পূজায় বিশেষ করে নারকেল নারু প্রসাদ হিসেবে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়। আপনার বন্ধুরা ভালোই করে আপনার জন্য নাড়ু নিয়ে গিয়ে। সত্যিই নারকেল নাড়ু খুব সুস্বাদু হয়।