বিশ্বকর্মা পূজা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমি একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
ভাদ্র মাসে সংক্রান্তি দিন হয় বিশ্বকর্মা পূজা। প্রত্যেক বছর একই দিনে বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে। এই পুজো কোন তারিখের পরিবর্তন হয় না। বিশ্বকর্মা পুজো চলে আসলেই মনে হয় পুজো আর বেশি দিন দেরি নেই। এ বছরে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল। যাদের বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয় তাদের তো খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। কারণ বৃষ্টির জন্য দোকান, বাজার করার খুবই অসুবিধা। এছাড়াও যারা ঠাকুর বিক্রি করে তাদেরও ঠাকুর বিক্রি করতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। আমি বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের দেখছিলাম ।ঠাকুরের মূর্তিগুলো টলি করে ত্রিপল দিয়ে বেঁধে ঢেকে বিক্রি করছিল ।কারণ জলের মধ্যে কিভাবে তারা ঠাকুর বিক্রি করতে বসবে। যারা ঠাকুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে তারা প্রত্যেকে ত্রিপল দিয়ে বেঁধে ঢেকে ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছে।
ওদের দেখে আমারই ভীষণ খারাপ লাগছিল। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শুধু বিশ্বকর্মা ঠাকুরের পুজো হয় এমনটা নয় অনেকের বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা করা হয়। এছাড়াও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন জোড়া ইলিশ পুজো করা হয়। তবে জোড়া ইলিশ পুজো শুনেছি। কোনদিন চোখে দেখিনি। অনেকেরই অনেক রকম নিয়ম কারণ থাকে। অনেকে আগের দিন সমস্ত রকম রান্না করে রাখে । যেমন পাঁচ রকমের ভাজা আরও অনেক রকমের পদ রান্না করতে হয়। যখন ছোট ছিলাম তখন অনেকেই বাড়িতে বাসি খাবার দিয়ে যেত। শুধু যে রান্না করে তাদেরই খেতে হয় এমনটা নয়। তারা অনেক পারিবারিক খাবার বিতরণ করে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সবকিছু বাসি খাবার খেতে হয়। আমাদের কোন নিয়মই নেই। এই নিয়মগুলো সবকিছুই আমার শোনা।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শরতের আকাশে অনেকেই রং বেরঙের ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কলকারখানায় ব্যবসায়ীরা বিশ্বকর্মা পূজো করে।
এছাড়াও অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পূজা করা হয়। এ বছরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে বেরোনো হয়নি। তবে আমাদের কৃষ্ণনগরে বেশ অনেক জায়গাতেই বিশ্বকর্মা পূজা করা হয়। হিন্দুদের দেবদেবীর শেষ নেই। একের পর এক পুজো এসেই চলেছে। এই পুজোর দিন আকাশে রংবেরঙের ঘুরে উঠতে দেখে খুবই ভালো লাগে। এই পুজোর দিন সমস্ত ব্যবসায়ীরা সারাদিন খুব আনন্দ করে কাটায়। অনেক বড় বড় কারখানাতে ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমাদের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে ফায়ার ব্রিগেড। সেখানেও তিনদিন ধরে অনুষ্ঠান চলছিল ।এমনকি তিন দিন ধরেই মানুষজনকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বেশ কিছু বছর ধরেই এই ব্যবস্থা ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন করছে। কিন্তু আগে কোনদিন করা হতো না । এছাড়াও বস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়। এমনকি ফায়ার ব্রিগেড টাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল ।আমি আর আমার বর দুজনে মিলে একদিন রাতের বেলায় গিয়েছিলাম অনুষ্ঠান দেখতে। অনেক রাত পর্যন্তই অনুষ্ঠান চলতো, ফায়ার ব্রিগেডে লোকজন বেশ আনন্দ ,মজা, উল্লাসের সাথে দিনগুলো কাটিয়েছে। আশেপাশের অনেক মানুষই অনুষ্ঠান দেখতে আসতো।আমরাও বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি চলে এসেছিলাম। আমাদের বাড়ির কাছে দিয়ে বেশ কিছু ঠাকুর বিসর্জন দিতে যাই। আমি সেখান থেকেই ঠাকুরের ছবি তুলেছি।
আজ এইখানেই শেষ করছি ।আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। পরবর্তী আবার কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Thank you 🙏