জন্মদিনের সকাল
আপনারা সকলে কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন। সুস্থ আছেন আমিও ভাল আছি সুস্থ আছি আজকে আমি আমার জন্মদিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
৩০ শে মে ছিল আমার জন্মদিন। ছোটবেলা থেকে সেভাবে কোনদিন জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠেনি। আমি আগেই আপনাদের বলেছি। আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছি। আমাদের বাড়িতে সেরকমভাবে কারো জন্মদিন পালন করা হতো না।
যখন বড় হলাম তখন দিদা হয়তো জন্ম তারিখ টা মনে রাখত না ।কিন্তু জন্ম মাসে পায়েস রান্না করে দিত। আসলে দিদা মামাদেরও জন্ম মাসে পায়েস রান্না করে দেয়। কারণ মামাদের জন্ম তারিখও দিদার মনে নেই। কারণ দিদা আগেকার দিনের মানুষ । তাই হয়তো তারিখটা মনে রাখতে পারে না।
আমি বড় হবার পর বেশ ভালোভাবেই জন্মদিন পালন করা হতো। চলুন তাহলে শুরু করি এ বছরের জন্মদিনের গল্প। আমার বিয়ে হয়ে গেছে প্রায় চার বছর হয়ে গেল। আপনারা আমার আগের পোস্টগুলোতে নিশ্চয়ই শুনেছেন। আমি মামার বাড়ির কাছাকাছি বাড়ি কিনে থাকি। যেহেতু ছোট থেকেই মামারা মানুষ করেছে আমাকে ।তাই মামারা একটু আমাকে বেশি ভালোবাসে। তাই এখন জন্মদিন আসার আগে থেকেই দিদা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জন্মদিন পালন করবার জন্য ।এদিকে শাশুড়ি lও ব্যস্ত হয়ে পড়ে জন্মদিন করবার জন্য। কিন্তু কার বাড়ি ছেড়ে কার বাড়ি খাব, বুঝে উঠতে পারি না ।
এ বছরে যেহেতু শাশুড়ি বাড়ি ছিল না।তাই দিদা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু শাশুড়ি বিকেল বেলায় বাড়ি চলে এসেছিল। জন্মদিনের দুপুরটা আমি দিদার বাড়িতেই কাটিয়েছি। দিদা সমস্ত রকমের আয়োজন করেছিল। আমি সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমাদের বাড়ির সামনে একটি মন্দির আছে। সেই মন্দিরে পুজো দিয়ে বড়দের প্রণাম করে শুরু করেছিলাম জন্মদিনের দিনটি। কারণ দিদা ছোটবেলা থেকে মানুষ করেছে ।তাই দিদার কাছেই শুরু করলাম আমার জীবনের শুভ দিনটি।
সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই ছোট মামা চলে গিয়েছিল বাজারে । মামা সমস্ত বাজার, দোকান করে নিয়ে এসেছিল ।দিদা নিজেই রান্নার আয়োজন করছিল। দিদার বাড়ি গিয়ে দেখলাম মামা বসে বসে দিদাকে সাহায্য করছে। তরকারি কাটছে। সেই দিন আমার মা-বোনেরও আসার কথা ছিল। কারণ দিদা একা পেরে উঠবে না ।মা-বোনের আস্তে একটু দেরী হয়েছিল। মা এসে সমস্ত রান্না করেছিল। মা এসে মাংস ,চচ্চড়ি ,ভাত ,ডাল ,মাছের ঝোল ,পায়েস, রান্না করেছিল। এছাড়া পাচ রকমের ভাজা যেমন- শাক ভাজা ,আলু ভাজা ,পটল ভাজা ,ভেন্ডি ভাজা, কুমড়ো ভাজা রান্না করেছিল।
দুপুরবেলায় বাঙালি মতে সবাইকে যেমন করে খেতে দেয়। দিদা তেমন করেই সমস্ত কিছু খাবার সাজিয়ে দিয়েছিল ।এছাড়াও দই মিষ্টি দিয়ে আমাকে খেতে দিয়েছিল। দিদা ,মা ,মামি আমাকে আশীর্বাদ করল। তারপর আমি খাওয়া শুরু করলাম। আমি খাবার পর। আমার কাছে যে বাচ্চাগুলো পড়ে ।তাদেরকে মা ,মামি ,বোন যত্ন সহকারে খেতে দিয়েছিল। ওরা তো বেশ মজাই পেয়েছিল। ওদেরকে খাওয়াতে পেরে আমি বেশ খুশি হয়েছি। এবারের জন্মদিনে মা, বোনকে পেয়েও বেশ খুশি হয়েছিলাম ।কারণ মা কোনো বার থাকতে পারে না। কিন্তু এইবার দেখলাম দিদা মাকে বলাতে মা রাজি হয়ে যায় আসবার জন্য।
আমি জন্মদিনে মাকে পেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ ছোট থেকেই মাকে তেমন ভাবে কাছে পায়নি । দিদাকে পায় সব সময় কাছে। কিন্তু জীবনের এই শুভ দিনটি মায়ের সাথে কাটাতে পেরে আমার আনন্দ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু জন্মদিনের দুপুরে ঈশা আমার মামার বাড়ি খেতে যেতে পারেনি ।তাই ওদের জন্য আমার শ্বশুরবাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় আয়োজন করা হয়েছিল। জন্মদিনের দুপুর টি আমার মা ,দিদা, মামা-মামী, বোনদের সাথে খুব আনন্দ করেই কেটেছিল। সেই গল্প আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় কিভাবে কাটল ।সেই গল্প আমি আপনাদের সাথে পরের পোস্টে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ এই পর্যন্তই থাক।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.শুভ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। যদিও অনেক দেরীতে শুভেচ্ছা জানালাম। তবে শুভেচ্ছা তো শুভেচ্ছাই তাই না? আমরা যতই বড় হয়ে যাই না কেন, এই দিনটিকে ঘিরে সবারই মনের মধ্যে অল্প হলেও আশা থাকেই। আর যখন নিজের খুব কাছের মানুষগুলো সেই আশা পূরণ করে, তখনই জন্মদিনের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনার দিদা হোক বা শাশুড়ি মা, সকলেই নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আপনাকে। এমন ভাবেই আপনাদের সকলের সম্পর্ক, সারা জীবন আনন্দের মুহূর্ত দিয়ে ঘিরে থাকুক, এই কামনায় রইলো। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ দিদি আপনাকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের মানুষগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিন পালন করার মজাই আলাদা। আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেরিতে হলেও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা যতই বড় হয়না কেন এই দিন টিকে ঘিরে কিছু আশা থাকে।আর নিজের মানুষ গুলোর সাথে জন্মদিন পালন করার মজাই আলাদা। আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন। দোয়া করি আপনার আগামী দিনের পথচলা সুন্দর হোক। এই জন্মদিনের আনন্দটা আমাদের প্রত্যেকেরই স্মরণীয় একটি দিন। বিশেষ করে যখন নিজের আপনজনগুলো জন্মদিন পালন করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
জন্মদিন উপলক্ষে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন জন্মদিনের এই দিনটি সবার জীবনে একটা বিশেষ দিন।এই দিনটাতে আমার থেকে আমার দিদা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আপনি আপনার জন্মদিনের ব্যাখ্যা খুব সুন্দরভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনার মামার বাড়ির পাশেই বাসা কিনেছেন।সেজন্য মামাদের সাথে ভালোবাসা বিনিময় খুব বেশি হয়।আগে আপনার জন্মদিন পালন না হলেও এখন খুব সুন্দরভাবে পালিত হচ্ছে।খুব ভালো লাগলো আপনার স্টোরিটি শুনে।আশা করি আপনার এই দিনটি প্রতিবছর পালিত হোক।ধন্যবাদ
আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো, যদিও জানাতে বেশ কিছুটা লেট হয়ে গেল।
জন্মদিনে শাশুড়ী মা আর মামার বাড়িতে দুই বা্ড়িতেই জন্মদিন এর আয়োজন করতেে চাচ্ছলো, তাই কার বাড়িতে খাবেন এটা বুঝতে পারছিলেন। এই জিনিসটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।সবার এমন সৌভাগ্য হয় না।
শেষ পর্যন্ত মামার বাড়িতেই খেলেন। মা-ও এসেছিলেন। ভালোই আনন্দ করেছিলেন বোঝাই যাচ্ছে।
আমাদের সাথে ব
্আপনার এমন একটা আনন্দের দিনের স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার দিদা আপনার জন্মদিন খুব সুন্দর ভাবেই, সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অনেকটা দায়িত্বের সাথে পালন করেছে। আপনারা ওনার সাথে বেশ মজা করেছেন অনেকটা আয়োজনের মাধ্যমে, যেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারলাম। আপনার আগামী দিনের পথ চলা অনেক সুন্দর হোক এবং অনেক দূর এগিয়ে যান, এই কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে। ধন্যবাদ জন্মদিনের সকাল বেলাটা আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার জন্মদিনে আমার থেকে আমার দিদা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই আমাকে জন্মদিনে সকাল বেলাটা দিদার কাজেই কাটাতে হয়েছে। আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।