দূর্গা প্রতিমার সাজ বায়না

in Incredible India2 days ago

আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।

IMG20240816211724.jpg

আমাদের দুর্গাপুজো আর বেশি দেরি নেই। হাতে গোনা কয়েকদিন মাত্র। কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। দূর্গা ঠাকুর বায়না দেওয়ার কথা। যেহেতু আমাদের গ্রামের বাড়ি পুজোর সবকিছুই আমাদের দায়িত্বেই থাকে। তাই প্রত্যেক বছরই দূর্গা প্রতিমা , প্রতিমার সাজ সমস্ত কিছু আমার বর আগে থেকেই বায়না দিয়ে দেয়। এ বছরেও প্রতিমা বায়না দেওয়া হয়ে গেছে।ঠাকুরের সাজ ও আগেই বায়না দিয়েছিল। কারণ যিনি ঠাকুর তৈরি করেন তিনি ঠাকুরের সাজ দেয় না। শুধু ঠাকুর রং করে দিয়ে দেয় ।আর ঠাকুরের সাজ অন্যজনের কাছে বায়না দিতে হয়। যার কাছে ঠাকুরের সাজ বায়না দিয়েছিল। সে হঠাৎ ফোন করে বলে আমি ঠাকুরের সাজ বানাতে পারবো না। তখন শুনে তো আমাদের মাথায় হাত। কারণ বেশি দেরি হয়ে গেলে কেউ আর দুর্গার সাজ বায়না নিতে চায় না।

IMG20240816211738.jpg

IMG20240816211744.jpg

অনেক খোঁজার পর একজনকে খুঁজে পেয়েছিলাম সাজ বানানোর জন্য। দাদা টাকে আমার বর আগে থেকেই চিনতো। কিন্তু কথায় আছে কাজের সময় মনে পড়ে না। দাদা টাকে ফোন করে অনেক অনুরোধ করার পর দাদাটা রাজি হয় ।আমাদের দুর্গার সাজ বানানোর জন্য। তারপর আমি আর আমার বর দুজনেই গিয়েছিলাম দাদার বাড়িতে। আসলে দাদাটা ও বেশি কাজ অর্ডার নেওয়ার সাহস পায় না। কারণ দাদাটা একজন আইনজীবী। সব সময় নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তার ওপর ঠাকুরের সাজ বানানো অনেক ঝামেলার কাজ। ছোট ছোট সূক্ষ কাজ । অনেক সময় লাগে। দাদার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম ।বেশ সুন্দর সুন্দর ঠাকুরের সাজ বানাচ্ছে। কিন্তু কোনটাই সম্পূর্ণ হয়নি এখনো। সবেমাত্র শোলা গুলো কেটে কাটিং করে রেখেছে। কাগজগুলো কেটে কেটে রেখে দিয়েছে। আরো অন্যান্য জায়গায় অর্ডার নিয়েছে। দাদাটা আর দাদার মা দুজনে মিলে রাত জেগে কাজ করে।

IMG20240816211815.jpg

IMG20240816211833.jpg

দাদা টার হাতের কাজ বেশ সুন্দর। সাজের কাজের সাথে সাথে দাদাটা ঠাকুরের মূর্তি বানায়। শুধু দুর্গা ঠাকুর বলে না ।সমস্ত ঠাকুরের সাজ বানায় । সমস্ত ঠাকুরের মূর্তি ও তৈরি করে। ভিতরে ঢুকবার সময় চোখে পড়ল বাইরে একটা সুন্দর ঠাকুরের মূর্তি বানিয়ে রেখে দিয়েছে। মূর্তিটা মনসা ঠাকুরের। কারণ সামনেই ছিল মনসা পূজো ।দাদাটার কাজ দেখতে দেখতে বেশ অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের বাড়ি থেকে দাদার বাড়ি অনেকটাই দূরে। দুজনে মিলেই হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা পুরো ফাঁকা।হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। আশেপাশে দোকানগুলো সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ।আবার কেউ কেউ দোকান বন্ধ করছে। তখন সাড়ে দশটা বাজে।

IMG20240816211917.jpg

IMG20240816215945.jpg

কিছুটা দূর এগিয়ে আসার পর দেখলাম ।কিছু ফুলের দোকান এখনো খোলা রয়েছে। ফুল গুলো দেখে সত্যিই মনটা ভরে গেল। ফুল আমার ভীষণ পছন্দের একটা জিনিস। অত রাত্রি বেলা ফুলগুলো দেখে টাটকাই মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে জুঁই ফুলের মালা গুলো দেখে একটু লোভ লাগছিল। আমি যখন কোন বিয়ে বাড়ি নিমন্ত্রন খেতে যায় ।তখন জুঁই ফুলের মালা গুলো পাই না। যাই হোক আমাদের বাড়ি যেতে অনেকটা পথ বাকি ছিল।রাস্তায় আর কোনো টোটো পায়নি। যাবার সময় টোটোতে গিয়েছিলাম। আসবার সময় দুজনে মিলেই অনেক গল্প করতে করতে বাড়ি ফিরলাম।

IMG20240816221653.jpg

IMG20240816221702.jpg


আজ এইখানে শেষ করছি ।আশা করছি সকলেই ভালো লাগবে ।পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে আবার হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Sort:  
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.031
BTC 60794.44
ETH 2623.30
USDT 1.00
SBD 2.62