Better Life With Steem | The Diary Game |28November| Every challenge of life comes to test our patience.

in Incredible India10 months ago

Hello,

Everyone,

আশা করি সকলেই ভাল আছেন। এবং আপনাদের দিনটি ভালই কেটেছে।

জীবন নামের তরীটা বয়েই চলেছে ।বয়ে চলাই তার ধর্ম।মনের মাঝেও কিন্তু একটা তরী আছে ।সেই তরীটা মাঝে মাঝে থমকে যায় ।থমকে গিয়ে বসে পড়ে জীবনের হিসেবের খাতা নিয়ে ।হিসেব করতে গিয়ে বারবার শুধু হিসেবের খাতায় শূন্য পড়ে যায়।

বদলে গেছে নিজের অনুভূতি গুলি। বদলে গেছে নিজের ভালোলাগা না লাগা গুলো। বদলে গেছে কাছের মানুষগুলো। মাঝে মাঝে জীবনটাকে বড় বেশি অদ্ভুত মনে হয়।

বাস্তবতা আমাদের জীবনটাকে বদলে দেয়। সময় এবং বাস্তবতা হৃদয়ের অনুভূতিগুলোকে বদলে দেয় ।হৃদয়ের অনেক না বলা কথাগুলো না বলাই থেকে যায়। কারো কারো জীবনে কখনো কখনো নীরবতাইএকমাত্র সঙ্গী হয়ে ওঠে।

সকাল
20231128_064516.jpg

আজ ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে কিছু সময়ের জন্য প্রার্থনায় বসলাম। তারপর তাড়াহুড়ো করে রান্না করে চলে গেলাম। কারণ অনেকদিন যাবত আমাদের এখানে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। এই গ্যাসের না থাকার কারণে সময় মতো খাবার খেতে পারি না। আজ অনেকদিন পর রুটি বানাচ্ছি। গ্যাস না থাকায় সকালে নাস্তার জন্য রুটি বানাতে পারি না।

আজ থেকে ছেলের পরীক্ষা শুরু হবে। বিশেষত ওর জন্যই আজ তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠে রুটি তৈরি করতে গিয়েছি। রুটি তৈরি করার পর ওকে নাস্তা খাইয়ে দিলাম। নাস্তা শেষ করার পর স্কুলে যাওয়ার জন্য ওকে রেডি করলাম। তারপর ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম।

দুপুরের রান্না

Untitled design.png

আজ দুপুরের জন্য যা রান্না করেছি তা হলো, রুই মাছ পেয়াজ দিয়ে ভুনা ,মুলা শাক ও বেগুন ভাজি রান্না করেছি। গরম গরম ভাতের সাথে বেগুন ভাজি ও বেগুন ভর্তা ভীষণ মজা লাগে। কদিন যাবত দুপুরের খাবার খেতে খেতে দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে যায় । যাইহোক, যখন যে পরিস্থিতি হয় তা মেনে নিয়েই চলতে হয় ।রান্না শেষে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
এখন দিন খুব ছোট। শীতের সময় দিন ছোটই হয়। দুপুরের খাবার খেতে খেতে যেহেতু বিকেলও পেরিয়ে যায় তাই বিকেলে বিশ্রামের আর কোনো সুযোগ নেই।

আবার শুরু হয়ে যায় সন্ধ্যা থেকে রাতের কর্মব্যস্ততা। গৃহিণীদের জীবনটা একই ধারায় প্রবাহমান।

(

(

সন্ধ্যার পর ছেলে পড়তে বসলো। ছেলে ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে কি যেন ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে ! বলুন তো আপনাদের কার কার মনে আছে চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ের কাজলা দিদি কবিতার কথা। আমার কিন্তু খুব মনে আছে। এই কবিতাটি আমার ভীষণ ভালো লাগে ।ছোটবেলা অনেক আনন্দ করে পড়তাম। আমরা যে আনন্দ করে পড়তাম এখনকার ছেলে মেয়েরা সে আনন্দ করে পড়ে না ।পড়তেও চায় না।

এই ছিল আমার একটি দিনের দিনলিপি । আজকের মত এখানেই আমি আমার লেখা সমাপ্ত করছি। সবাই ভাল থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন । শুভ রাত্রি।

image.png

Sort:  
 10 months ago 

কাজলাদিদির কয়েক লাইন এখনো মনে আছে। ঠিকই বলেছেন, বাস্তবতা জীবনকে পাল্টে দেয়।কিছু করার থাকে ন আামাদের। সময় আমাদেরকে যখন যেভাবে চালায় আমাদের তখন সেভাবেই চলতে হয়। আমরা স্রষ্টার হাতের পুতুল মাএ।
আপনার ছেলের পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইলো। সেই সাথে আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আমার পোস্টটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। হ্যাঁ, বাস্তবতা আমাদেরকে বদলে দেয়। এই সত্যটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

 10 months ago 

আমাদের জীবন গুলো প্রতিনিত পাল্টাচ্ছে । আমাদের চয়েজ গুলোও পাল্টে যাচ্ছে ।এটা হয়তো পরিস্থিতির কারণে আমাদের অভ্যাস গুলো পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে ।আমরা জীবন চলার পথে নানা রকম সমস্যা আসবে। সেই সমস্যা গুলো আমাদেরকে জয় করে নিতে হবে এবং নিজের জীবনকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হবে ।

আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনার ছেলের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ।প্রতিটি মায়েদের চিন্তা থাকে বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে । যেহেতু এখন আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন এসেছে ।তাই বাবা মা একটু চিন্তায় ভুগছে ।তবে আমি মনে করি, প্রথম প্রথম এই নিয়মটা যেতে চালু হয়েছে একটু কষ্ট হবে কিন্তু সামনে দিনগুলোতে এগুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই ভালো হবে ।

ঢাকাসহ আশেপাশে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস এবং পানির খুবই সমস্যা হয় ।শীতকালীন সময়ে বেশি বিদ্যুতের সমস্যা হয় ।আমিও যখন বনানীতে ছিলাম তখন এই সমস্যায় পড়েছিলাম ।বাবুটার জন্য ভালোবাসো ও আশীর্বাদ রইল ।একজন সুস্থ মানবিক মানুষ হও । আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।

 10 months ago 

তোমার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি পরিদর্শন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 10 months ago 

জ্বি দিদি কাজলা দিদি কবিতাটি আমারো বেশ পছন্দের। ছোটবেলায় এই কবিতা দিয়ে অনেক আবৃতি করতাম। একবার স্কুলে আবৃতি প্রতিযোগীতায় ১ম স্থানও অধিকার করেছিলাম। আমাদের শৈশব বেশ আনন্দময় ছিলো।

আপনার সারাদিনের কর্মকান্ড পড়লাম। আপনি বলেছেন বাস্তবতা আমাদের সবাইকে বদলে দেয়। কথা একদম ঠিক। অনেক আপন মানুষ বদলে যায়। কিন্তু কিছু করার নাই। জীবন জীবনের মতন চলবে।

আপনার ছেলের জন্য দোয়া থাকলো, সে নিশ্চই মানুষের মতো মানুষ হয়ে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

আমার পোস্ট পরিদর্শন করে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মুক্তা দিদির পোষ্টে দেখলাম সে ঘুৃম থেকে উঠে প্রথমে সূর্য প্রনাম করেন,আপনিও ঘুম থেকে উঠেই প্রার্থনা করেন এটা খুব সুন্দর একটা গুন।আর আমি মনে করি এতে দিনের শুরুটাও ভালো হয়।তাছাড়া আপনি আপনার দিনের অন্যান্য কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করেছেন।ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।

মাছের ঝোলটা তো বেশ স্পাইসি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বেগুন ভর্তা আমারও খেতে খুব মজা লাগে। আর বেগুন ভাজা আমি সাধারণত ডাল-ভাত, রুটি, লুচি বা পরোটার সাথে খাই। কাজলা দিদি কবিতার লেখাগুলি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। গৃহিণীদের প্রত্যেকদিনই খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হয়। তার মধ্যেও যে আপনি কমিউনিটিতে লেখার জন্য সময় দেন, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 10 months ago 

দাদা, আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ভাল থাকবেন।

Loading...
 10 months ago 

জীবনের গতিপথ একই রকম। সময় ২৪ ঘন্টা। হয়তোবা আমাদের মতামত আমাদের জীবনের পথ চলা পরিবর্তন হয়। কিন্তু সময় তার মতো করেই চলতে থাকে। ছেলের পরীক্ষাতে তাড়াতাড়ি করেই আপনি ঘুম থেকে উঠে। রুটি বানিয়ে তাকে খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একজন দায়িত্ববান মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

কাজলা দিদি কবিতাটার কথা এখনো মনে আছে। ছোটবেলায় অনেক পড়েছিলাম। আমারও খুবই প্রিয় একটা কবিতা ছিল। অনেক সময় তো ওকে কবিতাটা পড়তে গিয়ে কান্না করতাম। কেননা আমার কোন বোন নেই। এই কবিতার মধ্যে খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করতাম, বোন না থাকার মূল্যটা কতটা। চমৎকারভাবে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আসলে সবার জীবনের প্রতিটা সময়ই চলমান।সময় কারো জন্য অপেক্ষা করো না। মানুষের জীবনের পরিবর্তন আসতে কখনো সময় লাগে না। আপনি আপনার সারাদিনের কার্যালিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ছেলের পরীক্ষা ছিল তাই আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, রুটি বানিয়ে ছিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 10 months ago 

আপনার আজকে দিনের কার্যক্রমটি পরিবেশ ভালো লাগলো খুব সকলে ঘুম থেকে উঠেছেন সংসারের করেছেন।
আজ দুপুরের জন্য যা রান্না করেছেন ,রুই মাছ পেয়াজ দিয়ে ভুনা।
মুলা শাক ও বেগুন ভাজি রান্না করেছি। আমার কাছে বেগুন বেশ ভালো লাগে আর রুই মাছটা অনেক বেশি প্রিয়। আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের দিনে খুবই ছোট কখন যাবে না চলে যায় বোঝা মুশকিল। সন্ধ্যা আপনার ছেলেকে পড়তে বসিয়েছেন এবং চতুর্থ শ্রেণি কাজলা দিদি কবিতা পড়ে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ভালো লেগেছে ভালো থাকুন আপনার জন্য হলে শুভকামনা

আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আর আপনার আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি সকাল বেলা রুটি খেয়েছেন। দুপুর মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছেন। সন্ধ্যায় আপনার ছেলে পড়তে বসলো যেটা খুব ভালো লাগলো। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।আমি আপনার থেকে এই রকম আরও পোস্ট উপহার পেতে ইচ্ছুক। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62228.71
ETH 2419.51
USDT 1.00
SBD 2.57