Better Life With Steem | The Diary Game |21 December
বাড়ির ছাদে লাগানো চন্দ্রমল্লিকা ফুল |
---|
Hello,
Eveerry one,
সংসার হচ্ছে একটি মায়ার জায়গা। প্রতিটা নারীর স্বপ্ন থাকে তার নিজের একটি সংসার হবে। এবং এটা সময়ের সাথে সাথে হয়েও যায় । আমরা নারীরা স্বামী ,সন্তান, সংসার সামলাতে ভালোবাসি। নিজের অজান্তে সংসারের একটি গভীর মায়ায় জড়িয়ে যাই। কি অদ্ভুত তাই না? এই গভীর মায়া থেকে আমরা আর বেরিয়ে আসতে পারি না। তাইতো নারীকে বলা হয় মমতাময়ী। যদিও মাঝে মাঝে সংসারের অতিরিক্ত ব্যস্ততায় সংসারের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়ি কিন্তু তারপরেও দিনশেষে স্বামী সন্তান
সংসারের প্রতি মায়া লেগেই থাকে। যাইহোক এখন চলে যাই আমার মূল পড়বে ।এখন আমি আমারডেইলি ডায়রি গেম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। শুরু করা যাক ডেইলি ডায়রি গেম।
আজকের দিনটি যেভাবে শুরু হয়েছে |
---|
শীতের সকাল মানেই একরাশ অলসতা জড়ানো সকাল। শীতের সকালে বিছানা ছাড়তেই মন চায় না তবুও আমরা মায়েদের বিছানা ছাড়তেই হয়। যাই হোক, ঘুম থেকে উঠে ঠাকুর প্রণাম করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। পরপর প্রতিদিনকার সকালের কাজকর্মগুলো সেরে ছাদে চলে গেলাম। ইদানিং ঠান্ডা টা একটু বেশি পড়েছে তাই কদিন যাবত ছাদে গিয়ে শীতের সকালের মিষ্টি রোদে কিছু সময় কাটিয়ে আসি। ছাদে লাগানো চন্দ্রমল্লিকা ফুলের গাছে অনেকগুলো চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফুটেছে। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ফুলগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য কিছু ফটোগ্রাফ তুলে নিলাম আমার মোবাইলের ক্যামেরাটা নষ্ট হয়ে গেছে তাই ছবিগুলো অস্পষ্ট দেখাচ্ছে
আজ সকালে নাস্তার জন্য বাইরে থেকে রুটি ও সবজি কিনে এনেছি। কিছুদিন যাবৎ বাসায় সব সময় নাস্তা তৈরি করতে পারি না কারণ সকালের দিকে বাসায় গ্যাস থাকে না। বাইরের কেনা নাস্তা আমার ভালো লাগেনা কিন্তু কি আর করা ,বাসায় যেহেতু নাস্তা তৈরি করতে পারি না বাধ্য হয়ে কিছুদিন যাবত মাঝেমধ্যে বাইরের তৈরি নাস্তা খেতে হচ্ছে।সময় এবং পরিস্থিতি আমাদের ইচ্ছা ও অনিচ্ছাগুলো পরিবর্তিত করে দেয় সময় এবং পরিস্থিতি আমাদের মনের ইচ্ছা অনিচ্ছা গুলোকে কোন পরোয়াই করে না। সত্যিই !সময় বড়ইশক্তিশালী। যাইহোক সবাই মিলে নাস্তা সেরে নিলাম। এখন চলে যাবো দুপুরের কাজের ব্যস্ততায়।
আজকের দুপুর |
---|
দুপুরে রান্নার আয়োজন |
---|
আজ আমি বাঁধাকপি ও ধনেপাতা দিয়ে ভর্তা তৈরি করেছি। এই ভর্তাটি খেতে দারুণ লাগে! এবং লাভের ডগা দিয়ে সরষে পাতুরি রান্না করেছি। বাঁধাকপি ও ধনেপাতা গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। তারপর কালোজিরা ,রসুন ও কাঁচামরিচ- পূরণ দিয়ে এই বাঁধাকপির ভর্তাটা তৈরি করতে হয় । আপনারা বাসায় একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। এই ভর্তাটা খেতে খুব ভালো লাগে।
দুপুরের রান্না |
---|
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
সন্ধ্যাবেলায় সন্ধ্যা পুজো শেষ করে। ছেলের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম মা ও ছেলে বসে বসে কিছুক্ষণ দুষ্টামি করলাম। ছেলের পরীক্ষা শেষ এখন স্কুল বন্ধ এখন বাচ্চাদের বেড়ানোর সময় কিন্তু আমি বেড়াতে যেতে পারিনি। আমার ছেলে এবার পঞ্চম শ্রেণীতে উঠবে। ওকে পঞ্চম শ্রেণীর বই এনে দিয়েছি। ভাবলাম কোথাও যেহেতু বেড়াতে যায়নি সারাদিন তো বাসায়ই থাকে। নতুন বই এনে দেই নতুন বই গুলোর সাথে পরিচিত হোক ।
এই ছিল আমার আজকের দিনলিপি। আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
আসলে মেয়েদের সংসার করা শিখিয়ে দিতে হয় না ।পরিস্থিতি ও সমযয়ের চাপে সে সবকিছুই শিখে নেয়। কিভাবে শ্বশুরবাড়ি লোকজনকে আপন করে নিতে হবে ?স্বামীর, সন্তান এবং সংসারের সমস্ত কাজগুলো গুছিয়ে নিতে হবে ?একটি মেয়ে আস্তে আস্তে নারী হয়ে উঠেছে ।মেয়ে থেকে বৌমা ,বৌমা থেকে মা, মা থেকে শাশুড়ি মা এটাই আমাদের জীবনধারা।
চন্দ্রমল্লিকা ফুলগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর । আপনার যত্ন নেয়াতেও সুন্দর ফুল ফুটেছে সাথে গাধাগুলো ।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ।আপনি সারাদিনের অনেক কাজ করেছেন তারপর রাতের বেলা ছেলের সাথে কিছুটা দুষ্টামি করেছেন ।
বর্তমানে আমরা মায়েরা বাচ্চাদের পড়াশোনা অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছি । যেহেতু বাবুটার পরীক্ষা শেষ হল ।অন্তত ডিসেম্বর মাসটা ওকে একটু সময় দেন ঘোরার জন্য । মামা বাড়ি থেকে ঘুরে আসুক তাতে মনটাও ফ্রেশ হবে আর পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ বাড়বে । সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
তোমার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টে পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ওপরের লেখাগুলো আমার মন ছুয়ে গেছে একদম।সকালে গ্যাসের সমস্যার কারনে আপনি নাস্তা কিনে আনেন।যদিও আপনার কেনা নাস্তা খুব একটা পছন্দ না।গ্যাসের সমস্যা আসলে সবজায়গাতেই কম বেশি। আমার এখানে এগারোটা বাজলে চুলা আর জ্বলতে চায় না।
দুপুরে বাঁধাকপি আর ধনেপাতার ভর্তা করেছিলেন। এটা আমারও খুব প্রিয় জিনিস। খেতে খুব ভালো লাগে।
বাচ্চচাদের স্কুল বন্ধ থাকলে ওদর সাথে সময় কাটানো যায়। নতুন বই পেয়েতো মনে হয় খুব খুশি আপনার ছেলে।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি পরিদর্শন ও কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ আপু, নতুন বই পেয়ে ছেলে খুব খুশি। একটা সময় আমাদের সকলেরই গেছে, যখন নতুন বই পেলে আমরা সবাই খুব খুশি হতাম। নতুন বই গুলো খুব যত্ন করে গুছিয়ে রাখতাম এবং নতুন বই পড়তে খুব আনন্দ লাগতো।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রত্যেকটা মানুষ যদি তার সংসারের প্রতি মায়া নিয়ে আসতে পারে তাহলে তার জীবন অনেক সুন্দর হবে এবং বেশিরভাগ মেয়ে সন্তান তার সংসার ভালোবাসে স্বামী সন্তানের প্রতি ভালোবাসা অনেক থাকে এবং সংসারের মাঝে অনেক সময় তাদের কিছু সমস্যা হয়ে থাকে যার পরেও তারা কিন্তু সংসারের ভালোবাসা ছাড়তে পারে না। এবং সংসার জীবন সুখ-দুঃখ নিয়ে কিছু কিছু সময় সুখ আসবে আবার কিছু সময় দুঃখ আসবে এটাই আমাদের জীবন।
মেয়েদের বিয়ের পরেই যে জীবনটা শুরু হয়। সেটাই হচ্ছে সংসার জীবন। আর প্রত্যেকটা মেয়ে নিজের সংসার জীবনে নিজের স্বামী সন্তান শ্বশুর-শাশুড়ি সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চায়। আপনি ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে সন্তানের অতিরিক্ত জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে। সংসারের মধ্যে নানা ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার কারণে। মাঝে মাঝে সংসারের প্রতি বিরক্তি বোধ করে, হয়তোবা বাপের বাড়ি চলে যায়। আর নয়তবা রাগ করে চুপচাপ বসে থাকে। সেজন্য সে কিন্তু সংসার ত্যাগ করে না। সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার সংসারে এসেই জীবন যাপন শুরু করে।
একজন মা হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্বটা বেশ সুন্দরভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। একটা দিনের কার্যাবলী আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনার কথাগুলো পড়তে ছিলাম এবং নিজেকে নিয়ে ভাবতেছি, ঠিকই বলেছেন আমরা নারীরা অনেক অদ্ভুত,,, সংসারটা এমন একটা জায়গা যেখান থেকে আপনি কোথায় গিয়ে স্থির ভাবে থাকতে পারবেন না আপনার এখানেই ফিরে আসতে হবে। ভালোবাসার টানে,
হ্যাঁ, বেশ কয়েকদিন ধরেই শুনছি আপনার গ্যাস অনেক সমস্যা করে রান্না করতে অসুবিধা হয়। তাই সকালের খাবার টা বাইরে থেকে কেনা না হয় মাঝে মধ্যে। তবে আপনি চাইলে যখন গ্যাস আসছে তখন বেশি করে রান্না করে রাখতে পারে। যাইহোক আপনার ছাদের ফুলগুলো কিন্তু অসম্ভব সুন্দর।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্ট পরিদর্শন ও কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে বিয়ের পর যে একটা জীবন শুরু হয় সেটা স্বামীর সংসার নিয়েই শুরু হয়। সব মেয়েরাই চায় স্বামীর শশুর শাশুড়ির সন্তান নিয়ে সংসারটাকে গুছিয়ে রাখতে। মাঝের মধ্যে সংসারের প্রতি এমন অমনোযোগী হয় মনে হয় যেন বাবার বাড়িতে যাই বা কিছু একটা করি কিছু করার নেই আবার মনে মনে রাতটা দমন করেই সংসারটাকে মেনে নিতে হয়।
তবে একজন মা হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্বটা বেশ সুন্দরভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। একটা দিনের কার্যাবলী আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।থ্যাঙ্ক ইউ
সংসারের চাপে মেয়েদেরকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আপনি আপনার সংসারে পেছনে প্রচুর পরিশ্রম করেন। নিশ্চয়ই আপনারই পরিশ্রম একদিন সফলতা বয়ে আনবে। তখন হয়তো আপনারই কষ্টগুলোকে আর কষ্ট মনে হবে না। আপনার ছাদের ফুল গুলোর ছবি চমৎকার লেগেছে। ক্যামেরার কারণে হয়তো একটু ঘোলা ছিল তবে খুব সুন্দর লাগলো। আপনি কোন কিছু নিয়ে হতাশ হবেন না। সর্বদাই চেষ্টা করবেন মা ছেলে মিলে ভালো থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্ট পরিদর্শন ও সুন্দর মন্তব্যের করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে।আর এখানে আপনি যে মায়ার কথা বলেছেন সেটাকেই আমি বলব রমনীর গুন।।সকালে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনেছেন।দুপুরে বাধাকপি ও ধনেপাতা দিয়ে ভর্তা করেছেন।
আপনার দিনলিপিটি ভালে লাগল, আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বাড়ির ছাদে চন্দ্রমল্লিকা ফুলগুলো দারুন ফুটেছে আর আপনি ছবিগুলোও খুব সুন্দর তুলেছেন। মোবাইলের ক্যামেরা যে খারাপ বোঝা যাচ্ছে না তো। গাঁদা ফুলের ছবিটাও তো বেশ ভালো উঠেছে। শুধু মায়েদের কেন শীতের সকালে বাবাদেরও বিছানা ছাড়তে হয়। তবে কোনো কোনো লাকি বাবা হয়তো কিছুক্ষণ আরো শুয়ে থাকতে পারেন। বাঁধাকপি ও ধনেপাতা দিয়ে ভর্তা আমি কখনো খেয়ে দেখিনি। একদিন ট্রাই করবো ভাবছি।