আর্ট পোস্ট- 💦

in Incredible India16 days ago (edited)
Hello Everyone,
Untitled design (16).png

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ আমি গোধূলি লগ্নের একটি নদীর পাড়ের দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

আমি ছোটবেলা যখন মামার বাড়িতে যেতাম তখন নদীপথে মামার বাড়িতে যেতে হতো। আমার মামার বাড়ি ছিল নদি অঞ্চলে। অধিকাংশ সময়ে দেখা যেত যে মামার বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতো। এই সময়টাকে বলা হয় গোধূলি লগ্ন। এই লগ্নে সূর্যদেব অস্ত যায়। এই খনটি দুটি খনের মিলন ক্ষন। ওই ক্ষনে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত হয়।

মামার বাড়িতে যাওয়ার সময় এই অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্যটি আমি প্রায়ই দেখতে পেতাম।এই দৃশ্যটি এখনো আমার স্মৃতিতে ভাসে।আমার স্মৃতির সেই দৃশ্যটি অঙ্কনের মাধ্যমে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আমি জানিনা ,আমার অতীত স্মৃতির দৃশ্যটি খুব সুন্দর ভাবে অংকনের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারব কিনা ,তবে ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

তো চলুন ,গোধূলি লগ্নের দৃশ্যটি ধাপে ধাপে অঙ্কনের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।

অঙ্কনটি করতে আমার যা যা লেগেছে।

IMG_20240521_084852959.jpg

রং পেন্সিল, সার্পনার, ইরেজার, পেন্সিল, মার্কার প্যান।এখানে আমি বারোটি কালারের রং পেন্সিল নিয়েছি।

প্রথম ধাপ

IMG_20240521_095011454.jpg

প্রথমে আমি নদীর পাড় ও খেজুর গাছ গুলো অংকন করলাম।

দ্বিতীয় ধাপ

IMG_20240521_101552951 (1).jpg
IMG_20240521_102701098 (1).jpg

দ্বিতীয় ধাপে অঙ্কন করলাম পাল তোলা নৌকা এবং গাছের নিচে ঘাস গুলো। দৃশ্যটি অংকন করা শেষ এখন রং করার পালা।

তৃতীয় ধাপ

IMG_20240522_123053543.jpg

প্রথমে আমি অস্ত যাওয়ার সূর্যটি গারো এবং হালকা কমলা রং দিয়ে রং করলাম ।তারপর নীল রঙ দিয়ে নদীর জল রং করলাম এবং সবুজ রং দিয়ে গাছের পাতার রং করলাম।

চতুর্থ ধাপ

IMG_20240522_131019982.jpg

চতুর্থ ধাপে পালতোলা নৌকাটি গারো লাল রং এবং খয়রি ও হলুদ রং দিয়ে রং করলাম। গাছগুলো সম্পূর্ণ রং করা শেষ হয়ে গেল।এবং ঘাসের রং করা ও শেষ।

পঞ্চম ধাপ

Untitled design (16).png

এখন রং করা শেষ হয়ে গেল।রং করা শেষ হওয়ার পর দৃশ্যটি বর্ডার পেন্সিল দিয়ে বর্ডার করলাম। বর্ডার না করলে যে কোন অংকনের সৌন্দর্য পরিপূর্ণতা পায় না।

আমার অঙ্কিত গোধূলি লগ্নের এই দৃশ্যটি আপনাদের সবার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আমার লেখা সমাপ্ত করছি ।সবাই ভালো থাকবেন । সুস্থ থাকবেন ।শুভরাত্রি।

image.png

Sort:  
 16 days ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি এত সুন্দর আর্ট পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আসলে আপনার আঁকা ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ছবি আঁকা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Loading...
 16 days ago 

আপনার পোস্টি পড়ে আমার মামার বাড়ি কথা মনে হয়ে গেল। দুজনের মামার বাড়ি যাবার মধ্যে একটা মিল রয়েছে। আপনার মামার বাড়িতে নৌকা করে যাওয়া লাগে। আর আমার মামার বাড়িতে লঞ্চে করে যাওয়া লাগত।নদীপথ ছাড়া যাওয়ার কোন রাস্তা ছিল না। সেই শৈশবের স্মৃতিগুলি আজ আপনি মনে করিয়ে দিলেন। আপনার আর্টের মান খুবই ভালো। আপনি রং পেন্সিল দ্বারা নদী পথের প্রাকৃতিক দৃশ্যটা তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ।

আপনি গৌধুলি লগ্নের সুন্দর ছবিটি খুব সুন্দর করে অঙ্কন করেছেন, এবং এই ছবি অঙ্কনের প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন, আপনার ছবিতে পাল তোলা নৌকা দেখা যাচ্ছে, একটা সময় এই নৌকা অনেক বেশি দেখা যেত এখন আর দেখা যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর আর্ট পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

দেশ দিন দিন আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট হয়ে যাওয়ায় এখন তো নৌপথে যাওয়াটাই ভুলে গিয়েছি। আমার মামা বাড়ি যেতে নদী পার হতে হত এবং অনেক সময় লাগতো ।
প্রথমে লঞ্চে করে তারপরে আবার নৌকায় করে মামা বাড়ি যেতে হতো। নদী পার হওয়া আমার কাছে খুব ভয় লাগতো তারপর নৌকা ভ্রমণের অন্যরকম একটি আনন্দ ছিল। যত সময় নৌকা পারে না আসতো তত সময় মাকে জড়িয়ে ধরে থাকতাম। আর বলতাম নৌকায় করে কেন তোমাদের বাড়ি আসতে হয় ।
এখন মামা বাড়িতে যেতে আর বেশি একটা সময় লাগে না এবং গাড়িতে করে মামা বাড়ি যাওয়া যায় তবে সেই দিনের স্মৃতিগুলো অনেক সুন্দর ছিল ।
সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে আপনি আজকে গোধূলি লগ্নের একটি চমৎকার দৃশ্য অঙ্কন করেছেন যা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি দিদি আপনার ড্রয়িং এর প্রশংসা করতে হয়। ড্রয়িং করার প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।

 16 days ago 

আমার পোস্টটি পরিদর্শন করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।সত্যিই বলেছো নদীপথে ভ্রমণের আনন্দ অন্যরকম ।ছোটবেলা নদী পথে মামার বাড়িতে যেতে ভীষণ ভালো লাগতো কিন্তু ভয়ও লাগতো ।আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর মামার বাড়িতে নৌকা কিংবা টলারে যেতে হয় না।তোমার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থেকো।

 12 days ago 

আপনার আকা ছবিটি আমার নজর কেড়ে নিয়েছে। আপনি এত চমৎকার ছবি আকেন আমার আগে জানা ছিলো না।
গোধূলি বেলা সবসময়ই সুন্দর তবে আপনি একে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 65771.81
ETH 3174.77
USDT 1.00
SBD 2.61