কিছুক্ষণ পায়চারি ও খাওয়া দাওয়া।
আসসালামু আলাইকুম / আদাব |
---|
হ্যালো বন্ধুরা।
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
প্রতিটি মুহুর্তে, সুখে দুঃখে সকল অবস্থাতেই আল্লাহর নিয়ামত মনে করেই শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। সেজন্য সবার উদ্যেশ্যেও একটা কথাই বলবো৷ সর্বাবস্থায় সৃষ্টি কর্তার শুকরিয়া আদায় করা।
যাইহোক আজকে আবার নতুন একটা লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, লেখাটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো । চলুন তাহলে শুরু করি।
আজ হঠাৎ করেই মনটা খারাপ, মনটা ভাল নেই। তাই একটু ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছা জাগল, কেন যে হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে যায়, আবার হঠাৎ করেই ভালো হয়ে যায়, এর যে কি ওষুধ আছে সেটাই আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না।
তাইতো মাদ্রাসার একজন সাথী ভাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছা পোষন করলাম। কিন্তু আমার মত কি আর তার মনটা খারাপ? তার মনটা তো ভালোই আছে। তাই সে বললো তার অতটা ইচ্ছা নাই ঘুরাঘুরি করার।
কিন্তু আমি তো আর একা একা যেতে পারি না, একা একা ঘোরাঘুরি করা মানে পাগলের ঘুরাঘুরি করার মতো। সেজন্য আমাকে তাকে নিয়ে যেতেই হবে। সেজন্য যত তেল মাখানো দরকার মাখতেই হবে।
Device | Name |
---|---|
Android | Oppo A95 |
Location | Bogura, Bangladesh |
Short By | @memamun |
যাইহোক অনেকক্ষণ বলাবলির পর। সে বলল যে ভাই আমার কোন ইচ্ছা নাই। পড়ে বললাম, আরে ভাই গেলে সমস্যা নাই আপনারই লাভ, চলুন।
যাইহোক তারপর কোনোমতে রাজি হল এবং আমিও প্রস্তুত হয়ে গেলাম। সেও তার সাধ্যমত সুন্দর জামা কাপর পরে প্রস্তুতি নিলো। আমি যেখানে ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছা পোষণ করলাম সেখানে যেতে প্রায় 20 টাকা ভাড়া লাগে রিক্সাওয়ালাকে দিতে।
যাই হোক সেখানে গেলাম এবং কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম আসলে ছবি তোলার ইচ্ছে খুবই কম ছিলো তাই তুলিনি। একটা আকাশের পিক তুলেছি, যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছিলো তাই।
Device | Name |
---|---|
Android | Oppo A95 |
Location | Bogura, Bangladesh |
Short By | @memamun |
মোটামুটি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে এবং বসে থেকে গল্প করে। সিদ্ধান্ত নিলাম একটু খাওয়া দাওয়ার। আমাদের বগুড়াতে একটা হোটেল আছে যার নাম হল সুজনের ভর্তা হোটেল।
এই ভর্তা হোটেলের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে প্রায় 100 আইটেমের ভর্তা থাকে। তবে রানিং অবস্থায় মোটামুটি 50 থেকে 60 আইটেমের ভর্তা বানানো হয়। ভর্তা হোটেল নামে পরিচিত বলে এই নয় যে, শুধু ভর্তাই পাওয়া যায়। নাহ তা নয়... সবকিছুই পাওয়া যায় কিন্তু ভর্তার দিক দিয়ে নামকরা।
যাইহোক অনেকে ভাবতে পারেন যে ভর্তা হোটেলে কেন? আমরা তো রেস্টুরেন্টেও যেতে পারতাম বা কোন ভাল কোন চাইনিজ ফুড ও খেতে পারতাম। আসলে আমার প্রিয় খাবারের মধ্যে থেকে ভর্তা, ভাজি অন্যতম একটা খাবার।
যেখানে খরচও কম এবং পেটও ভরে অনায়াসে। যাইহোক আমি আর সে অল্প খরচেই পেট ভরে খেলাম। মোটামুটি মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো। খেয়েও তৃপ্তি পেলাম।
ভাই মন ভালো করার একটি ওষুধ আমার জানা আছে দরকার হলে আমাকে বইলেন আর যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন এবং আপনার মনটা হঠাৎ করে চেঞ্জ হচ্ছে যার জন্য যখন তখন যে কোন কিছু করতে ইচ্ছে করছে তবে যে খাওয়া-দাওয়ার ছবিগুলো আপনি দেখালেন আসলে দেখে তো আমার নিজেরও লোভ লেগে যাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে যদি এখন সামনে পেতাম তাহলে তাইতো সবগুলোই খেয়ে ফেলতাম অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হা ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী মন্তব্য করেছেন। ভালো থাকবেন
আসলে আপনার পোস্ট ওপেন করার সাথে সাথে ভর্তার যে ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম, এটা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আমিও ভর্তা পাগল মানুষ, ভর্তা আর পাতলা ডাল হলে, আমার আর কিছুই লাগে না।
যাক আপনারা অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরে, এই হোটেলে গিয়েছেন এবং ভর্তা দিয়ে বেশ আয়েশ করে খাওয়া দাওয়া করেছেন। বিষয়টা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার পোস্ট পড়ে আসলেই ভালো লাগলো, মন ভালো করার জন্য একটু ঘুরাঘুরি করেছেন, তার সাথে খাওয়া-দাওয়া অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন আমার জন্য একটু দোয়া করবেন।
হুম ভর্তা প্রায় মানুষই পছন্দ করেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ে সে অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য।
অবুঝ মন কখন কি চাই কেউ বলতে পারে না কিন্তু আপনার মন খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে খাওয়া-দাওয়ার ইচ্ছাটা জাগল এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো আপনার খাওয়া-দাওয়া ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে এবং আপনার লেখাগুলো খুবই দারুণ হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
হুম ভাই, কিছু কিছু সময় প্রিয় খাবার খেলেও মন টা হালকা হয়ে যায়, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এবং দেখতে পেলাম অনেকগুলো ভর্তার ছবি যা দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। ভাই আমি তো আপনার পোস্ট করে অবাক হয়ে গেছি যে সুজনের হোটেলে ১০০ রকমের ভর্তা পাওয়া যায় ।আসলে আমি যখন ঢাকা সাভারে থাকতাম তখন একটা হোটেলে ৭০ রকমের ভর্তা দেখেছিলাম কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আবার আজকে নতুন করে জানতে পারলাম যে সুজনের হোটেলে ১০০ রকমের ভর্তা পাওয়া যায় । শুধু ভর্তায় বলে পাওয়া যায় না এখানে বিভিন্ন আইটেমের জিনিস পাওয়া যায় এ কথা ও আপনি বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ।ভালো থাকবেন ভাই
হ্যা ভাই, বগুড়া আসলে নক করবেন। ইনশাআল্লাহ সেই হোটেলে নিয়ে যাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওকে ভাই গেলে সাড়া দিয়েন???