Patience is a great quality of people.//ধৈর্য মানুষের একটি মহৎ গুণ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
শুভ সন্ধ্যা,
সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি এবং সুস্থ আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব ধৈর্যশীল ব্যক্তি সম্পর্কে।
ধৈর্য মানুষের মহৎ একটি গুণ যা সবার মাঝে থাকে না যে ব্যক্তির মাঝে ধৈর্য থাকে না সে কখনোই কোন কাজের সফল হতে পারে না। আর যার ভেতরে ধৈর্য আসে সে কোন কাজেই অপরাজয় হয় না।ধৈর্য একটি মৌলিক স্বভাব বা কৌশল হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি গুণ যা আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে বিভিন্ন ভূমিকার রাখে।
বন্ধুরা আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। কৃষি আমার বাবার মূল পেশা। আমরা অন্যের জমি লিস্ট নিয়ে ফসল করে থাকি। আমাদের নিজস্ব কোন জমি নাই। আমাদের পরিবারে ছয়জন সদস্য আমার বাবা একমাত্র আয়ের উৎস ছিল। এ কথাগুলো বলার পেছনে রয়েছে একটি লম্বা কাহিনী। আমার বয়স যখন 14 বছর আমার বাবা আমাকে বলল তোমাকে আর স্কুল যেতে হবে না। আমার সাথে মাঠের কাজে সহযোগিতা করতে হবে,আমি আর একা পারছিনা এই সংসার চালাতে। কথাটা শোনার পর আমি একটু চমকে গেলাম, সবে মাত্র আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। আমার ইচ্ছা আমি অত্যন্ত এসএসসি পাস করব। এবং আমার এই কথাটি আমার বাবাকে গিয়ে বললাম তখন আমার বাবা উত্তর দিল যে আমি তোমার পড়াশুনার খরচ দিতে পারব না। আমি তখন আমার বাবাকে ঠান্ডা মাথায় বললাম যে আপনাকে পড়াশোনার খরচ দিতে হবে না আমি আমার পড়াশোনা খরচ নিজেই চালিয়ে নেব। তখন আমার বাবা বলল আমার সাথে কাজ করতে হবে কিন্তু কিভাবে করবি তা আমি জানিনা। আমি বললাম আমার স্কুল ছুটি হয় তিনটার সময় আমি প্রতিদিন তিনটার পর থেকে কাজ করব সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর শুক্রবার ছুটির দিন সারাদিন করতে পারব। এভাবেই ধৈর্য ধরে দুই বছর পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। দুই বছরে মনে হয় আমি ছয় মাসে ও প্রাইভেট পড়ি নাই। প্রতিদিন রাতে বারোটা পর্যন্ত পড়েছি। সকালে ক্লাস করেছি বিকালে বাবার কাজে সহযোগিতা করেছি। ধৈর্য ধরে পড়াশোনাটা চালিয়ে গেছি বলে এসএসসি পাশ করতে পেরেছি।
ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন এবং যত্নশীল হয়। তারা বিভিন্ন সময়ের প্রকৃতি এবং উপযোগিতা সম্পর্কে বিশেষ অনুভব করতে পারে । ধৈর্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেরই ধৈর্য শক্তি কমে যায়।
ধৈর্য একটি স্থিতিশীল মানসিকতা প্রদর্শন করে, যা কঠিন সময়ে ভুগতানী করতে সাহায্য করে। ধৈর্যশীল মানসিকতার মানুষগুলো শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে তারা আস্তে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা রেগে গেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তো বন্ধুরা ধৈর্য সম্পর্কে লেখা আমার এই আর্টিকেলটি কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি (আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন)
আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার ওই সকল বন্ধুদের যারা আমার লেখাটি পরিদর্শন করছেন।
ধৈর্য এক আশ্চর্য জিনিস। যা মানুষকে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে।কেউ যদি যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করতে পারে তবে সে সফলকাম হয়ই হয়৷ আর মহান রবও ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লাগল। ধৈর্য মানুষের একটি মহৎ গুণ।ধৈর্য মানবজীবনের মহৎ একটি গুণ যা মানবজীবনের সফলতার চাবিকাঠি। ধৈর্যের অনুশীলন ছাড়া ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে সাফল্য অর্জন করা অসম্ভব। আনন্দ, ঝামেলা, দুঃখ ও উদ্বেগ ইত্যাদি সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আল্লাহ ও রাসূল সা: কর্তৃক নির্ধারিত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকাই হলো ধৈর্য। ধৈর্যের আভিধানিক অর্থ আনন্দ, প্রতিকূলতা, দুঃখ ও উদ্বেগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য ধারণ করো এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন করো। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাকো যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পারো।’ (সূরা আলে ইমরান-২০০)
ধৈর্য ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ তবুও সমাজের মানুষের কল্যাণের জন্য তা করা আবশ্যক। সমাজ জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণময় জীবনযাপনের জন্য ধৈর্যের গুরুত্ব অপরিসীম।মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদ, সফলতা-বিফলতা, ভয়-পরাজয় আসবেই। তাই বলে সামান্য এই দুঃখ, বিপদ আর বিফলতায় পড়ে দুনিয়ার মায়ায় আটকে থাকা যাবে না। বান্দার মনে রাখতে হবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের বেশি পরীক্ষা নেন। আর সেই বান্দা সফল হবে যে আল্লাহর পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন