Better Life with Steem|| The Diary Game||29 april 2024.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুভ সকাল
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। আজকে আমি উপস্থাপনা করব আমার একটি দিনের কার্যক্রম।
প্রতিদিন অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলেও গতকালকে আর অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে নাই তার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে। ছয়টা বিশ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করে নিলাম এরপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে অজু করে ফরজের নামাজ আদায় করে নিলাম ।এরপর কিছু সময় বসে দোয়া দরুদ পাঠ করলাম।
সাতটা বাজতে না বাজতেই কানে ভেসে আসছে পাখিদের কিচিরমিচির ডাক। তার মধ্যে আজ সকাল সকাল কোকিল ডাকা শুরু করছে। সকালে পাখিদের ডাক শুনতে কতই না মধুর লাগে।
সাতটা বিশ মিনিটে তরকারি গরম করে টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে নিলাম দুপুরে খাওয়ার জন্য। এর মধ্য আমার বন্ধু গোসল করে বের হয়েছে। তারপর আমিও গোসল করে ফ্রেশ হয়ে এক মুঠো বাদাম ,ছোলা ও কিসমিস হাতে নিয়ে খেতে খেতে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
আজকে রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকার কারণে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে আমাদের কোম্পানিতে পৌঁছাতে। আনুমানিক 7: 45মিনিটে আমরা আমাদের কোম্পানিতে পৌঁছাতে পেরেছি।
প্রতিদিনের মতো আজও সকালে এসে আমার পোষা বিড়াল গুলোকে খেতে দিয়েছি এরপর আটটা দশ মিনিট হইতে কাজ শুরু করেছি।
দুপুর বেলা
সকাল দশটার দিকে আমাদের সুপারভাইজার এসে বলেছিলেন যে আজকে অফিসের ভিতরে মিটিং আছে লাঞ্চ করার পরে সবাই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবে।
সুপারভাইজারের কথামতো ১: ১০ মিনিটে আমরা মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করি প্রত্যেক মাসের শেষের দিকে আমাদের কোম্পানিতে মাসিক সেফটি মিটিং করা হয়। তবে আজকে স্বাস্থ্য বিষয়ক সেফটি সম্পর্কে কিছু টিপস আমাদেরকে জানানো হয়।
যেমন আমরা যখন কাজ শুরু করব তখন যেন অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করি, যাতে করে ধুলাবালি নাকের ভেতরে গিয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়ি। অতিরিক্ত গরমের ভেতরে বেশি বেশি পানি খাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছিল, আমাদের এখানে নাইট্রোজেন গ্যাস যখন ছাড়ে তখন অক্সিজেন অনেক কম পাওয়া যায় তাই বলল যে যখন নাইট্রোজেন গ্যাস ট্যাংকে থেকে ছাড়া হবে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়বে তখন সবাই একটু সাইডে যাবে। আরো অনেক কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান দিয়েছে।
বিকাল বেলা
বিকাল পাঁচটা ত্রিশ মিনিটে আসরের নামাজ আদায় করে কিছু সময় বসে রইলাম এরপর ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি যে বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে অনেক আগে কাজের মধ্যে থাকাই বুঝতে পারি নাই। তারপর আমি বাড়িতে ফোন দিয়ে।
মূলত বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছিল ঘরের রং কেমন হয়েছে তা দেখাতে। তারপর আমি দেখি যে আমি যেভাবে বলছি ওভাবে করতে পারি নাই এরপর আমি মিস্ত্রির সাথে কথা বলি যে সম্পূর্ণ ডিজাইনটি লাল রং হবে উপরের টোকার মত যে নকশা রয়েছে তার একটি করে বিট পুরোটাই লাল হবে। তারপর তারা আবারও আমার কথামতো সংশোধন করে দিয়েছে।
ছবিটা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আলহামদুলিল্লাহ ঘরের রং আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে । বন্ধুরা আপনাদের কাছে কেমন লাগছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। বন্ধুরা ঘর রং সুন্দর দেখানোর জন্য আপনাদের মাথায় যদি কোন আইডিয়া থাকে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে উল্লেখ করবেন।
সন্ধ্যাবেলা
সন্ধ্যা সাতটায় ডিউটি ছেড়ে দিয়ে বাসায় যেতে যেতে সাতটা ২৫ বাজে তারপর একটু দ্রুত করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। মাগরিবের নামাজ শেষ যখন রান্না করতে যাব তখন আমার বন্ধু বলল যে চাউল ফুরায় গেছে তারপর আমি মানি ব্যাগ টা নিয়ে মার্কেটে যাই মার্কেটে গিয়ে ১০ কেজি চাউল কিনে নিয়ে আসি । ১০ কেজি চাউলের দাম নিয়েছিল ৩৭ রিংগিত যা বাংলাদেশী টাকায় ৯৬০ টাকা প্লাস।
হেঁটে মার্কেটে গিয়েছি এজন্য একটু দেরি হয়েছে এসে দেখি আমার বন্ধুদের রান্না শেষ আমি শুধু রাইস কুকারে ভাত চাপিয়ে দিয়ে গোসল করে নিলাম।
এরপর বাড়িতে কিছু সময় কথা বলে লিখতে বসেছি আমার একটি দিনের কার্যক্রম তো বন্ধুরা এভাবে গতকাল সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত হয়েছে। আপনারা দের দিনটা কেমন কেটেছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়ার অভ্যাসটা আমার ছোটবেলা থেকেই। আর এটা খুব ভালো অভ্যাস বলে আমি মনে করি। তারপর স্নান করে দুপুরের খাবার নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলেন। সন্ধ্যাবেলায় বেশ কিছু কেনাকাটাও করেছিলেন এবং বাংলাদেশী মূল্যে উল্লেখ্য করেছেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
বিগত পোস্টেও পড়েছি আপনি সবসময় বাদাম, ছোলা ও কিসমিস হাতে নিয়ে খেতে খেতে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
আপনার স্বপ্নের বাড়ির ছবিটি দেখে খুব ভালো লাগলো। দোয়া করি প্রবাস জীবনের কষ্ট শেষ করে যেন, বাসায় এসে পরিবার পরিজন নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে পারেন।
আপনাদের কোম্পানির মিটিংয়ে দেয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ গুলো আমারও ভালো লেগেছে।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর মত আজকেও আপনার এলার্মের শব্দেই ঘুম ভেঙে গেছে।ফজরের নামাজ আদায় করে কিছু সময় জিকির করেন।
এরপর দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে
কাজের জায়গার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। আপনার বিড়ালের বাচ্চার প্রতি টান আমার সবসময় খুব ভালো লাগে। আমি নিজেও বিড়াল খুব পছন্দ করি।
প্রতি মাসে আপনাদের সেফটি ট্রেনিং হয় এটা আগেও আপনার লেখাতে পড়েছিলাম। এই জিনিসটা আসলে খুব প্রয়োজনীয়।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সব সময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।