Better Life With Steem || The Diary game || 14 June 2024 ||পবিত্র জুম্মার দিনের দিনলিপি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুভ সকাল
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আর এটাই হলো শেষ জুম্মা কোরবানি ঈদের আগে তাই তো অনেকটা ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই দিনটা পার হলো।
![]() |
---|
জুম্মার দিন বলে কথা ফরজের নামাজ তো পড়তেই হবে তাই প্রতিদিনের মতো আজও ছয়টা ত্রিশ মিনিটে মোবাইলে এলাম বাজার পর ঘুম ভাঙ্গলো । ঘুম থেকে উঠেই সর্বপ্রথম পানির বোতল টা হাতে নিয়ে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে এবার ফ্রেশ হয়ে অজু করে ফরজের নামাজ আদায় করে নিলাম। খালি পেটে সকালে পানি খাওয়ার উপকারিতা আপনারা সকলেই জানেন তাই আপনাদের সাথে এটা আর শেয়ার করলাম না।
![]() |
---|
যাই হোক নামাজ কালাম শেষ করে এবার দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়ারে প্রতিদিনের মতো সাজিয়ে নিয়েছি। আজকে আমাদের ফ্যাক্টরিতে যেতে অনেকটাই দেরি হয়েছে কেননা মালয়েশিয়ায় আজ থেকে কোরবানি ঈদের ছুটি পড়বে তাই সবাই অফিসিয়াল কাজগুলো সেরে নেওয়ার জন্য মনে হয় এক সাথেই বেরিয়ে পড়েছে খুব সকালে তাই তো রাস্তায় অনেকটাই জ্যাম। আটটা বাজার পাঁচ মিনিট আগেই আমরা আমাদের ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে যাই।
![]() |
---|
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি তাই কাজের তেমন কোন চাপ নাই অনেকটাই রিলাক্সের সাথে কাজ করছি । সকাল ১০ দশটার দিকে আমাদের সুপারভাইজার এসে বলল যে তিনটের পরে মিটিং আছে সবাই অফিসে পরিবেশ করবা। আপনারা অনেকেই জানেন যে দুইদিন আগে আমি বলেছিলাম আমাদের এই ট্যাংকিটা শেষ করা লাগবে শুক্রবারের ভিতরে আজকে আমাদের এই ট্যাংকিটা সম্পূর্ণই রেডি।
![]() |
---|
দুপুর বেলা + বিকাল বেলা
যেহেতু আজ শুক্রবার তাই দুপুর ১২:৩০ মিনিট হইতে আমাদের বিশ্রামের সময়। ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট আজকের বিশ্রামের সময় জুম্মার দিন ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট কোম্পানি আমাদের নামাজের জন্য দিয়ে থাকে। বারোটা ২০ মিনিটে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নামাজে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম আমার মালিশিয়ান এক বন্ধুর গাড়িতে উঠে । সে প্রত্যেক জুম্মায় আমাকে নামাজে নিয়ে যায় তারা নিজস্ব গাড়িতে করে। আমি সহ আরো তিনজন একসাথে নামাজের জন্য বেরিয়ে পড়েছি।
![]() |
---|
মসজিদে গিয়ে নামাজ শেষ করে যখন বাড়িতে আসবো তখন নিজের একটা সেলফি পাঠিয়েছি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা একসাথেই নামাজ শেষ করে বেরিয়ে পড়ছে এখানে একসাথে প্রায় ৫০০ মত মানুষ নামাজ পড়তে পারে।
![]() |
---|
নামাজের শেষে আরও একটি সুন্দর দৃশ্য যেটা দেখলে অনেকটাই ভালো লাগা কাজ করবে সেটি হল । মালয়েশিয়াতে প্রায় প্রত্যেক মসজিদে এমন সুস্বাদু ঠান্ডা শরবতের ব্যবস্থা করা হয় যাতে করে মুসল্লিরা তৃপ্তি করে খেতে পারে । দেখেন এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা তারা কত আনন্দ সাথে শরবতগুলো গ্রহণ করছে। তারা নিজেরাই নিচ্ছে। যদি বাংলাদেশের প্রত্যেক মসজিদে এমন ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ছোট ছোট বাচ্চারা তারা আনন্দের সাথে মসজিদে আসবে এবং বিভিন্ন রকম খাবার ও পানীয় আনন্দের সাথে গ্রহণ করবে । এই সুন্দর আয়োজন দেখে মনের ভিতরে আলাদা ভালোলাগা ভালোবাসা কাজ করে।
![]() |
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যাবেলা
প্রতিদিনের মতো আজও ৭:০০ টার সময় ডিউটি শেষ করে বাসায় এসে প্রথমেই মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম এরপর রান্নার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি যেহেতু কালকে রোজা রাখব তাই আজকে শুধু মাছের ভুনা করব যাতে করে শেষ রাত্রে ভালোভাবে খেতে পারি।
![]() |
---|
এই মাছের নাম আমি জানিনা তবে মালয়েশিয়াতে এই মাছগুলো কায়ুম মাছ বলে চিনে থাকে এগুলো খেতে খুব সুস্বাদু কিছুটা ইলিশ মাছের মত যাই হোক রান্না শেষ করে এবার লিখতে বসেছি আমার একটি দিনের কার্যক্রম।
![]() |
---|
তো বন্ধুরা এভাবেই আমার একটি দিন অতিবাহিত হল এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছি। যদি আমার লেখার ভেতরে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
প্রতিদিন এর মতোই ফজরের নামাজ পড়ে খালি পেটে একগ্লাস পানি খেয়েছেন।এরপর টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার নিয়ে কাজের জায়গার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন।
সামনেই কোরবানি ঈদের ছুটি তাই রাস্তায় ভালোই জ্যাম পরেছিলো। তারপরও ৮ টার ৫ মিনিট আগেই কাজের জায়গায় পৌঁছে যান।
বৃষ্টির কারনে কাজের চাপ কম ছিলো। ৩টার দিকে মিটিংও ছিলো। যেখানে আপনাদের সেফটি নিয়ে নতুন জিনিস শিখানো হয়।
বাসায় ফিরে মাছ ভুনা দিয়ে ভাত খান।
চমৎকার ভাবে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। আসলে মালয়েশিয়াতে যে কোন উৎসবের আগে রাস্তায় এমন জান দেখা যায় তবে কাল থেকে আবার রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা থাকবে।
জুম্মার দিন প্রতিটি মুসলমানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়াতে কিভাবে জুম্মাবার পালন করেন সে সম্পর্কে জানতে পারলাম। তাদের মসজিদের পাশে শরবত রাখার ব্যাপরটা আমার দারুন লেগেছে। সত্যিই এভাবে যদি বাংলাদেশে মসজিদগুলোয় রাখা যেত তাহলে শিশুরা মসজিদে যেতে আরও বেশী আগ্রহ প্রকাশ করতো। মালয়েশিয়ার কায়ুম মাছ দেখে সুস্বাদুই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভাই আপনি একদম ঠিক বলছেন যদি এই নিয়মটা বাংলাদেশে প্রতিটি মসজিদে হতো তাহলে আমাদের বাচ্চারা আরো আগ্রহের সাথে মসজিদে নামাজের জন্য আসত আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মালয়েশিয়াতেও ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে এটা আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম।ওখানে ঈদ কিভাবে ও কেমন করে কাটায় এটা নিয়ে একটি পোস্ট লিখলে খুব ভালো হতো। আসলে বিভিন্ন কালচার সম্পর্কে জানতে আমার খুব ভালো লাগে।
রোজা রাখবেন এজন্য ছোট মাছ ভুনা দিয়ে সেহরি করলেন।ভালো লাগে আপনার দিনলিপি পড়ে।
অবশ্যই আপু আমরা কিভাবে কোরবানির ঈদ উদযাপন করি এ বিষয় নিয়ে ইনশাল্লাহ কালকে একটি আর্টিকেল লিখব আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
মসজিদে শরবত দেওয়ার বিষয়টা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। যাক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্যাংকের কাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছেন। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারনে কাজের তেমন কোনো কাজ ছিলো না তবে একটা মিটিং ছিলো আজ। অফিস শেষ করে বাসায় এসে আবার রান্না করেছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
ফজরের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হননি এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়। বৃষ্টির কারনে আপনার কাজের চাপ খুব কম ছিলো।আপনার মিটিং ছিলো।আপনি আপনার মালেশিয়ান বন্ধু গাড়িতে করে জুমার নামাজ আদায় করতে গেছিলেন।সেখানকার মসজিদ গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে নামাজ শেষে শরবতের ব্যবস্থা করে।এই বিষয়টি সত্যি অসাধারণ সুন্দর। আপনি মাছভুলা করেছিলেন।মাছগুলো আমার কাছে নতুন।ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর দিনলিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।