Better Life With Steem || The Diary game || 07 June 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের মাঝে নতুন একটি দিনলিপি নিয়ে উপস্থিত হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আল্লাহর কাছে লাখ কোটি শুকরিয়া যে সুস্থভাবে একটি দিন অতিবাহিত করতে পেরেছি।
![]() |
---|
দুই তিন দিন ধরে কাশি ও সর্দি লাগছেই আছে কোনভাবেই কাশি কমছে না যত রাত বাড়ছে ততই যেন কাশির তীব্রতা বেড়েই চলেছে, কোন ঔষধে ঠিকমতো কাজ করছে না। কাশির জন্য সিরাপ খাচ্ছি আরো অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করছি কোন কিছুতেই নরম মিলছেনা ,জানিনা কাশি কবে নাগাদ কমবে।
সকালে ডিউটিতে যাওয়ার আগেই ফরজের নামাজ আদায় করে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা বানিয়েছি লবঙ্গ ও আদা দিয়ে চিনি ছাড়াই লবণ দিয়ে চা খেয়েছি যাতে করে গলাটা একটু ছাড়ে তবে চা খেয়ে মনে হলো যে কিছু সময় ভালো কাটছে মনে হয় এভাবে দু একদিন করে চা খেলে হয়তো বা কাশি সেরে যেতে পারে তবে কাশি সেরে গেলেও সর্দি কোনভাবেই কমছে না।
সকালে এক কাপ চা খেয়েই ডিউটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম সকাল আটটা থেকে আমাদের কাজ শুরু আজকেও রোদ্দুরের ভিতরে কাজ করতে হচ্ছে ঠান্ডা লাগার কারণে নাকপুরাই ও বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
দুপুর বেলা
আমরা সব সময় সেফটি মেন্টেন করে কাজ করার চেষ্টা করি কেননা আমাদের কোম্পানি কখনোই চায়না যে কোন ওয়ার্কারের শরীরের ক্ষতি হোক তাইতো আমরা যখনই উপরে কাজ করি তখনই কোমরে দড়ি বেঁধে তারপর কাজ করি যাতে করে পড়ে গেলেও কোন ক্ষতি না হয়।
তবে আমার পাশের ফ্যাক্টরিতে কাজ করছে তাদের সাহস দেখে আমি পুরাই অবাক হয়ে গেছি মাটি থেকে প্রায় ১০০ ফুট উপরে তারা কাজ করছে তবে কোন সেফটি ব্যবহার না করে । আল্লাহ না করুক যদি কোন দুর্ঘটনা হয় তাহলে একেবারেই জায়গায় শেষ। আপনারা এই ছবিতে হয়তোবা বুঝতে পারছেন তারা কতটা উপরে কাজ করছে মাথায় কোন হেলমেট নাই তার পাশাপাশি যদি পড়ে যায় কোন সেফটি হ্যান্ডাস ব্যবহার করি নাই। এমনটা করা আমাদের ঠিক নয় কেননা বিপদ কখন কিভাবে আসবে তা আমরা নিজেই জানিনা তাই সব সময় সতর্কতা থেকে কাজ করাটাই উত্তম।
বিকাল বেলা
বিকাল পাঁচটার পর থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি একটানা দুই ঘন্টা মতো বৃষ্টি হয়েছে আর এই বৃষ্টির কারণে আমরা বাইরে কোন কাজ করতে পারি নাই। বৃষ্টির পরেই অফিসের সামনে যাই এবং সেখানে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর নাম অজানা এই ফুলগুলো ফুটে রয়েছে দেখতে বেশ দারুন লাগছিল আমার ফোনের ক্যামেরা বের করেই দুইটা ছবি উঠাই।
তার পাশেই ছিল খুব সুন্দর একটি আনারস গাছ। মানে ওখানেই বেশ কিছু আনারস ছিল তবে একটি গাছে ফল ধরছে আর ওই গাছটিতে ফল সহ দেখতে বেশ দারুন লাগছিল এই আনারস কাজগুলো লাগানো রয়েছে ঠিক আমাদের অফিসের সামনে।
সন্ধ্যাবেলা
সন্ধ্যা সাতটায় আমরা ডিউটি শেষ করে এবার বাসার পথে রওনা দেব আমাদের মিনি বাসটি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য বাসের ভিতরে উঠেই একটি ছবি উঠাই সামনে সিটে বসা আছে আমাদের এক বড় ভাই সেই ড্রাইভারের সাথে গল্প করছে।
বাসায় এসে প্রথমেই মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম এরপর আমার বন্ধু ও আমি মিলে রান্না করে নিলাম একটু দ্রুত করে। এরপর আমি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে, বাড়িতে কিছু সময় কথা বলি তার পরপরই কয়েকজনের কমেন্ট করি কেননা অসুস্থ থাকার কারণে তিন দিন কোন কমেন্ট করতে পারি নাই । তাই চেষ্টা করছি আজকে কিছু কমেন্ট করে আগাতে যেন পারি। তো বন্ধুরা এভাবে আমার একটি দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকো সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
সর্বপ্রথম প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুস্থতা দান করুক, সর্দি কাশি অনেক মানুষের হয়ে থাকে এবং কাশি সেরে গেলেও সর্দি মানুষের থেকে যায় কিসের জন্য জানিনা। তবে সকালে লবঙ্গ ও আদা দিয়ে চা খাওয়া আসলে অনেক ভালো একটি কাজ এবং এতে গলা ভালো থাকে এবং সর্দি কাশি নরম পড়ে এভাবে খেতে থাকলে ইনশাল্লাহ সেরে যাবে। সকালে আটটার সময় ডিউটিতে যাওয়ার আগে একটা চা খেয়ে চলে গিয়েছেন। আমিও মাঝে মাঝে চা খেয়ে ডিউটিতে চলে যাই আর কিছু খাওয়া হয় না।
এখন দিনের বেলায় যা সূর্যের তাপ গরমে সবাই ঘেমে সেই ঘাম গায়ে বসে ।অনেকেরই জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। আপনি ভালোই বলেছেন লবঙ্গ ,আদা দিয়ে চা খেয়েছেন। আশা করি তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনাদের ওখানে তাও বৃষ্টি হচ্ছে ।কিন্তু আমাদের কৃষ্ণনগরে বৃষ্টির দেখা নেই। আপনার পোস্টে আনারস গাছের ছবিটা ও সুন্দর লাগছে। আপনার সারাদিনের কাজ কর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাতে কাশির পরিমাণ বেড়ে যায় এটা হয়ত সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আপনার শরীর অনেক অসুস্থ সেটা আগেই জেনেছিলাম। আর হ্যা, আনারসের ছবিটা কিন্তু দেখতে ভালো লাগছে।
কাজ করার ক্ষেত্রে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কোমরে দড়ি বেঁধে উপরে কাজ করে উচি করেছেন এতে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। প্রবাস জীবনে যতই অসুস্থ থাকুন না কেন আপনাকে কোম্পানিতে গিয়ে কাজ করতেই হবে। আপনি আপনার পাশের কোম্পানির কিছু মানুষের কথা আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। প্রবাস জীবনটাই হয়তোবা এমন, অনেক উঁচুতে উঠে কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু মানুষ এখান থেকে পড়ে আবার মারা যায়। যাই হোক সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে তারা যেন সবসময় ভালো থাকে। আনারস দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। এই কাঁচা আনারস দিয়ে যদি আপনি লবণ মরিচ মাখিয়ে খেতে পারতেন। তাহলে আপনার সর্দি জ্বর অনেকটাই কমে যেত। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অতিরিক্ত গরম এবং রোদ-বৃষ্টি, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয় । তাইতো আপনি সর্দি কাশিতে ভুগছেন ।হ্যাঁ লবঙ্গ আদা দিয়ে চা খেলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায় ।যদি কাশি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে তবে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসার পরামর্শ নিতে পারেন ।
প্রবাসী ভাইদের এই কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়েই ওদের পরিবার ও দেশের উন্নতি হচ্ছে ।আমরা তো দেশে বসে মনে করি, বিদেশ মানেই টাকা আর টাকা। কিন্তু এই টাকা অর্জন করতে হলে কত কষ্ট করতে হয় তা শুধু প্রবাসী ভাইয়েরাই বুঝতে পারেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল ।সতর্কতার সাথে কাজ করবেন এবং নিজের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখবেন ।
কয়েকদিন যাবত আমারো একই অবস্থা।সর্দিজ্বরে অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। অনেক ওষুধ ট্রাই করার পরেও ঝামেলা যাচ্ছে না।আপনাদের কাজে অনেক ঝুঁকি রয়েছে।তাই সেফটি নিয়েই কাজ করার ভালো।পাশের ফ্যাক্টরিতে সেফটি ছাড়া কাজ হচ্ছে।এটি খুবি খারাপ বিষয়। আপনি অসুস্থ থাকার পরে যথাসময়ে নামাজ আদায় করেছেন।ধন্যবাদ
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য এরকম অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আপনিও বেশ কয়েকদিন থেকে অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। তবে হ্যাঁ কাশির জন্য রং এবং আদা দিয়ে রং চা খেলে ভালোই লাগে।
আসলে ভাই যেকোন কাজ করার আগে নিজের সেফটি দরকার। আপনাদের কোম্পানি প্রতিটি ওয়ার্কারের কথা চিন্তা করেই সেফটির ব্যবস্থা করেছে। বিষয়টি আসলেই ভালো লাগলো।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। প্রত্যেক কোম্পানিতে যদি সেফটির রুলস গুলো মানা হয় তাহলে অনেক দুর্ঘটনার হাত থেকে বিদেশী শ্রমিকরা কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকে। আমাদের কোম্পানিতে যে নিয়মগুলো রয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে মানার চেষ্টা করি।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, যেকোন কাজের ক্ষেত্রে যদি কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের সেফটি নিয়ে চিন্তা করতো। তাহলে অনেক শ্রমিক দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যেত। হ্যাঁ ভাই যেহেতু আপনাদের কোম্পানি সেফটি নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য আপনারা সেটা ভালোভাবে মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।