আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি।
মেয়েদের মত অতটা সুন্দর হয় না রান্না তবুও চেষ্টা করি অন্ততপক্ষে যেন নিজের মুখে স্বাদ লাগে এমন রান্না করার। হয়তোবা বাংলাদেশের কোন পুরুষ খুব একটা বেশি রান্না করে না বেশি অংশ মেয়েরা রান্না করে। তবে দেশের বাইরে থাকার কারণে কিছু কিছু রান্না শিখেছি নিজে খেয়ে যেন বেঁচে থাকতে পারি। তবে আপনারা অতটা অবহেলা করেন না রান্নার হাত যে একেবারে খারাপ তাও কিন্তু না।
তেল | আনুমানিক ৭০ গ্রামের মত চাইলে কম বেশি করতে পারেন |
রান্না এক ধরনের আর্ট যদিও আমি এই ধরনের রেসিপি আগে কখনোই আপনাদের কাছে শেয়ার করে নাই । আজকে সর্বপ্রথম শেয়ার করছি ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এটা আমি নিজের হাতেই তৈরি করছি তো চলুন দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি পেয়াজ রসুন ঝাল ও আলু গুলো কেটে নিয়েছি । এরপর সেগুলো পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করে কুচি কুচি করে কেটে এক সাইডে রেখে দিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
একটি কড়াই পরিষ্কার করে আধা লিটার মত পানি দিয়েছি ২০০ গ্রাম ডাল সিদ্ধ করার জন্য। ডাউল এর ভিতরে একই সাথে কেটে রাখা ঝাল , পেঁয়াজ, লবণ , দিয়ে দিয়েছি সেই সাথে হলুদ ও মসলা গুলো একসাথে এ্যাড করে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
সমস্ত মসলা গুলো দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত ডাউল আদা সিদ্ধ হয়ে না ওঠে। যখন ডাউল আধা সিদ্ধ হয়ে উঠেছে তখন কেটে রাখা থানকুনির পাতাগুলো দিয়ে দিয়েছে এরপর সুন্দর করে কষিয়ে নিয়ে হালকা একটু পানি অ্যাড করেছি।
তৃতীয় ধাপ
থানকুনির পাতাগুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে আসলে চুলার জাল কমিয়ে দিয়েছি এদিকে যে পানিতে অ্যাড করেছি সেটাও শুকিয়ে এসেছে সেই সাথে খুব সুন্দর কালার এসেছে তরকারিতে। এখন ডাউল ও থানকুনি পাতা রান্না প্রায় শেষ পর্যায়ে।
চতুর্থ ধাপ
আলাদা আরেকটি কড়াই নিয়ে সেটা হালকা গরম হয়ে উঠলে তার ভিতরে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি বাগার দেওয়ার জন্য, তেল গরম হয়ে উঠলে কয়েকটি আস্ত জিরা, দুইটা সাদা মসলা সেই সাথে আগে থেকে কেটে রাখা রসুন ও দুইটা শুকনো মরিচ দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছে ।
পঞ্চম ধাপ
রসুন ভাজার শেষ পর্যায়ে দুইটা ডিম দিয়ে দিয়েছি এরপর কিছু সময় না ছাড়া করে ডিমগুলো ভেঙ্গে খুব সুন্দরভাবে ভেজে নিয়েছি এরপর ডালের উপর ভাজা রসুন ও ডিম গুলো ঢেলে দিয়েছি। সর্বশেষ ডিম ও রসুন গুলো তরকারির ভিতর দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে চুলার জাল বন্ধ করে দিয়েছি ।আমার রেসিপিটা এখন সম্পূর্ণ রেডি খাবার উপযুক্ত।
তো বন্ধুরা আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে এই রেসিপিটা তৈরি করেছি অল্প সময়ের মধ্যে খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনারা ও চাইলই বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন অত্যন্ত সুস্বাদু রেসিপিটা।
তো বন্ধুরা আজকের মত আপনি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
Posted using SteemMobile
থানা কুনির পাতা দিয়ে ডাল তৈরি করা যায় এটা আমার জানা ছিল না। ধোনের পাতা পেটের সমস্যা হলে খায় এটা জানতাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম থানকুনি পাতা দিয়ে ডালের কথা। সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দিদি আমিও আগে কখনো রান্না করি নাই তবে গতকালকে মনে হল যে রান্না করে দেখি কেমন লাগে কেননা থানকুনির পাতা তো কাঁচা খাওয়া যায় রান্না করে দেখে খুব সুন্দর লাগছে।
থানকুনি পাতা দিয়ে ডাল রান্নার রেসিপিটা প্রথম দেখলাম, আপনি ভালই রান্না করতে জানেন, আপনার বউয়ের জন্য খুব সুবিধা হবে, আপনার ডাল রান্নার রেসিপিটা খুব ভালো লেগেছে, অসংখ্য ধন্যবাদ সহজ পদ্ধতিতে এই রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য । স্বামী স্ত্রীর ভেতর ভালোবাসা বাড়াতে গেলে অবশ্যই দুই একদিন স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়াতে হয়।
রান্না একটা শিল্প যেটা ছেলে ও মেয়ে সবার মধ্য থাকে। তবে মেয়েরা রান্নার বিষয়ে বিষয়ে বেশি অভিজ্ঞ হয়ে থাকে। আপনি যদি বাড়িতে থাকতেন তাহলে হয়তো আপনার রান্না করা লাগত না তবে এখন তো করতে হয় বাধ্য হয়ে। থানকুনি পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারি। শুনেছি থানকুনি পাতা খেলে নাকি সৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। খুব সুন্দরভাবে আপনি আপনার রেসিপি তুলে ধরছেন। ভালো থাকবেন।
থানকুনি পাতায় বহুমুখী উপকারী রয়েছে সেই সাথে এর ভর্তাও অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার রেসিপিটা পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন।
এই প্রথমবার হয়তো আপনার একটি রেসিপি দেখতে পেলাম।। শুধু মেয়েরাই রেসিপি তৈরি করতে পারে না ছেলেরাও পারে। বিশেষ করে আমার শ্রদ্ধের শাহীন ভাইও পারে।। খুবই চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন রান্নার রেসিপি খুবই ভালো লেগেছে।।
এই রেসিপিটা আমার আগে জানা ছিল না আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম। আপনার উপস্থাপন করা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি ধাপে ধাপে সবগুলো বর্ণনা করেছেন। আপনার সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপি এবং উপস্থাপনাটি দারুণ লাগল! রান্নার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। মালয়েশিয়ায় থাকার সময় আপনি যে নতুন রেসিপি শিখেছেন, তা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। থানকুনি পাতা দিয়ে ডাল রান্নার এই রেসিপিটি দেখতে খুব মজাদার লাগছে। আশা করি, সবাই এটি চেষ্টা করবে এবং আপনার মতোই রান্নায় আগ্রহী হবে।
ভাই আমার রেসিপিটা না খেয়েই প্রশংসা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি একদম ঠিক বলছেন এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি এটা খেতে অনেক স্বাদ চেষ্টা করে দেখতে পারেন আপনারাও পারবেন।