শামির বিধ্বংস বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ভারত।🇮🇳
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ সকাল 🌄
আমি মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি মালয়েশিয়া থেকে বরাবরের মতো আবারো ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ রিভিউ নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। গত ১৫-১১-২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের সাথে আরেকটি ম্যাচ। আর এই ম্যাচ জেতার মধ্য দিয়েই ফাইনাল খেলতে পারবে একটি দল।
![]() |
---|
কাজ টর্চ করার আগে দুই দলের অনুভূতি জানতে চেয়েছিল ভারতের মিডিয়া তবে ভারতের অধিনায়ক ও নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক একই কথা বলছিল যে যদি তারা টর্চ যেতে তাহলে অবশ্যই ব্যাটিং নেবে কেননা এটা একটি ব্যাটিং পিস আমি মনে করি ভাগ্য খুবই ভালো রহিত শর্মার তাই তিনি টর্চ জিতে ব্যাটিং নিতে পেরেছিলেন। টর্চ জেতার পরে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছিল যে ২০১৯ সালে যেভাবে তারা সেমিফাইন এর মুখোমুখি হয়েছিল ঠিক আজকেরো তেমন অনুভুতি হচ্ছে তবে তিনি আরো বলছিল যে আজকের ম্যাচ জিততে পারলে আরো বেশি ভালো লাগবে
খেলার প্রথম অধ্যায়,
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ,শুভমন গিল সাথে নিয়ে ওপেনিং করতে নামেন, প্রথম ৮ ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং এর মধ্য দিয়ে ৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৭০ রান। ২০ বলে ২০ রান শুভমনের। ২৮ বলে ৪৭ রান রোহিতের। তবে ভাগ্যের কি পরিণতি তিন রানের জন্য, হাফ সেঞ্চুরি করতে পারল না রোহিত শর্মাকে পরবর্তী ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হলো।
![]() |
---|
আজকে প্রথম থেকেই খুবই ভালো ছন্দে খেলছিলেনশুভমন গিল ১৬ অভার শেষে আরো একটি হাফ সেঞ্চুরি নিজের করে নিল । ইতি মধ্যেই ভারতের দলীয় ১২১ রান ১ উইকেট হারিয়ে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শুভমন গিল বেশিক্ষণ সময় খেলতে পারলেন না দুরন্ত একটি বল এসে তার পায়ে লাগে আর এর ফলে ইনজুরিতে পড়তে হয় পরবর্তীতে ২২ ওভার চলাকালীন সময়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তার ব্যক্তিগত রান ৩টি ছক্কা, ৮টি চারের হাত ধরে ৬৫ বলে ৭৯ করেছে।
![]() |
---|
পরবর্তীতে ভারতের দুই ফিনিশার শ্রেয়স ও বিরাট কোহলি দুজনে নাচতানাবোধ করে দিল নিউজিল্যান্ডের বোলিং দের। এই দুজনের বিধ্বংস ব্যাটিংয়ে যেন ভারতের জয়ের আশা ফিরে পেল দুজনেই সেঞ্চুরি করে পাহাড় সমান রানের একটি ইনিংস খেললো। ধর্মশালায় ৪০ ওভার শেষ। ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ২৮৭ রান। ১০২ বলে ৯৫ রান কোহলির। ৪৪ বলে ৬১ রান শ্রেয়সের। বলতে না বলতেই সাড়ে ৩৫০ রান পেরিয়ে গেল ৪৭ ওভার শেষে। তবে ১১৩ বলে ১১৭ রান করে বিরাট কোহলি আউট হলেন তার পরবর্তী তে মাঠে নামেন কে এল রাহুল।
![]() |
---|
![]() |
---|
শ্রেয়স তার ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পার করে ১০৫ রানে আউট হলেও ততক্ষণে ভারতের দলীয় রান ৪৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮২ রান। শেষের অভারে আরো একটি উইকেট হারালেও ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর দিয়ে দাঁড়ায় ৩৯৭ রান ৪ উইকেট এর বিনিময়ে। আর এই মেসেজ দিতে হলে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রান করতে হবে।
![]() |
---|
খেলার দ্বিতীয় অধ্যায়,
টিম নিউজিল্যান্ড শুরুতে মোহাম্মদ শামির বোলিংয়ের ধাক্কা না সামলাতে পেরে দশ আবার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের দলীয় ৪৬ রান । নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ডেভন কনওয়েকে ও রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে অনেকটাই স্বস্তির মুখ দেখল ভারত।
![]() |
---|
তবে পরবর্তীতে ক্রিজে ঝড় তুলতে আরম্ভ করল মিচেলে ও উইলিয়ামস এই দুই জুটিকে তারা জয়ের মুখ দেখতে আরম্ভ করল তবে অনেকটা হতাশা মুখে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া আমি নিজেও অনেক চাপের মুখে ছিলাম কেননা আমার সকল বন্ধুরা আমাকে নিয়ে ট্রোল করছিল সবাই বলছিল যে আজকে ভারতকে দিয়েছি আর কোন উইকেট না পড়েই তারা নাকি জিতে যাবে। তবে আমি একটি কথা বলেছিলাম খেলা সবে মাত্র শুরু হয়েছে এখনো আসল খেলা বাকি রয়েছে তোমরা শুধু দেখতে থাকো।
![]() |
---|
ওভারের পর ওভার শেষ হয় কিন্তু কনে বলাই যেন কাজ করছিল সর্বশেষ ৩২ ওভারে ভোমরার বলে একটি ক্যাচ মিস করলো মোহাম্মদ শামী তখন তো আরো মনে হচ্ছিল যে আজকে এই ম্যাচ কোনভাবেই ভারত জিততে পারবো না কিন্তু আমার মনোবল অটল ছিল আমরা জিতবোই । পরের ওভারে মোহাম্মদ শামি বোলিংয়ে এসে তাদের এই দুজনের জুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হয়। তবে অনেকটা রান ইতিমধ্যে হয়ে গেছিল ৩৪ ওভার অবশেষে নিউজিল্যান্ডের দলীয় ২২০ রান ৩ উইকেট এর বিনিময়ে।
![]() |
---|
৩৫ ওভারে মোহাম্মদ শমি আবার বোলিংয়ে এসে আরেকটি উইকেট তুলে নিল। ৪ উইকেট এর বিনিময়ে ২২৪ রান। তবে ক্রিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন নিউজিল্যান্ডের বাম হাতি ব্যাটসম্যান মিচেল তিনি ১৩৪ রানে আউট হওয়ার পর ম্যাচ ইন্ডিয়া অনুকূলে চলে আসে। তবে এই ম্যাচ জেতার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে মোহাম্মদ শামি তিনি একাই সাত উইকেট পেয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ঘোষিত হয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
৪৯ তম ওভার মোহাম্মদ শামি ২ উইকেট নেওয়ার ফলে টিম নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করতে সক্ষম হয়েছে সর্বশেষ ৩২৯ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। আর ভারত এ ম্যাচ জয়ের ফলে ফাইনাল নিশ্চিত করলেন । সবাইকে ফাইনাল ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ রইল আগামী ১৯ শে নভেম্বর । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি ।
আমি আপনাকে কিছু দিন আগে বলেছিলেন যে, এবারের বিশ্বকাপ মনে হয় ভারত জিতবে। আর জিতবে বাই না কেন। ভারতের আছে মোহাম্মদ সামি। যে কোন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ঘটাতে পারে আর যেকোন ব্যাটিং এর বুকে কাপন ধরিয়ে দেয়।
তার বল খেলা খুবই কঠিন। তার মত বলিং খুবই কমই আছে এই উপমহাদেশে । আর আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটা রিভিউ করেছেন।
আপনার লেখাটা পড়ে আমার খুবই ভালো লাগল। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
দেখা যাক আগামী একটি ম্যাচটিতে হয় ১৯ তারিখে দেখা যাবে আমিও আশাবাদী যে ভারত এবার আর বিশ্বকাপ জয়ী হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামত জানানোর জন্য।
মোহাম্মদ শামি নি:সন্দেহে ভারতের লাকি ম্যান। যেদিন থেকে স্কোয়াডে ঢুকেছে সেদিন থেকে উইকেটের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। ভারত এবার কাপ নিলে শামির কারণেই নিবে।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
এই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোন দল সামনে দাড়াতেই পারতেছে না ৷ মোহাম্মদ শামির অসাধারণ বোলিং এ সব ম্যাচ গুলো খুব সহজেই জিতে যাচ্ছে ৷ শুধু বোলিং ভালো করলেই হয় না ম্যাচে রান ও দরকার আর বিশেষ করে ভারতের ব্যাটিং গুলোও ভালো খেলতেছে পর্যাপ্ত রান করে যাচ্ছে তারা ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
প্রথম দিন থেকেই ভারতের দাপট শুরু হয়েছে এখন পর্যন্ত আছে আশা করি ফাইনাল ও থাকবে।।
নিজের পছন্দের দল যখন ভালো খেলে তখন সত্যি ভালো লাগে আমি জানি আপনিও ভারতের সাপোর্টার।।
জি ভাই আপনি ঠিক ধরছেন আমি একজন ভারতের সাপোর্টার তবে এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে আপনি আমার সাথে আছেন।
জি ভাই।।। দুজনে একই সাপোর্টার
আমিও খেলাটি দেখেছি ভাই। শামি দূর্দান্ত বোলিং করেছে। সে যখন কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচটা ছেড়ে দিয়েছিলো তখন হয়তো সবাই তাকে গালাগালি করছিলো। কিন্তু তারপরেই এক ওভাবে উইলিয়ামসন ও টম লাথামের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচকে ভারতের হাতে নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত শামি ৭ টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয় ও অনন্য সব রেকর্ড করে।
বিয়ের আগে সময় করে খেলা দেখতে বসতাম তবে এখন আর তেমন একটা সময় না পেলেও মাঝেমধ্যে দেখার চেষ্টা করি তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক তথ্যই জানতে পারি।