আইয়ামে জাহেলিয়া অর্থাৎ অন্ধকার যুগ, কেন বলা হয়?
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
স্কুলের প্রশ্নের উত্তরের মতো ভূমিকা দিয়ে শুরু করছি,
ইসলামের দৃষ্টিকণ থেকে (আইয়ামে জাহেলিয়া)
শব্দটি আরবি, আইয়ামে শব্দের বাংলা অর্থ, সময় যুগ, কাল, কে বোঝানো হয় এবং জাহিলাত শব্দের অর্থ অন্ধকার। ইতিহাসের বইতে পাওয়া যায় ইসলাম পূর্ব আরবের সামাজিক জীবন অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা ও নানা পাপাচারে লিখতে ছিল সেই সময় লোকজন। ঐ সময়ে আরবে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা বিদ্যমান ছিল। আসলে ওই যুগকে বলা হত অন্ধকার একটি যুগ।
ইসলামের ইতিহাসে ৫১০ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ )এর আবির্ভাবের আগে যে সময় কাল অতিবাহিত হয়েছে তাকে অন্ধকার যুগ বলে অনেকেই ধারণা মতে। আরব সমাজে তেমন কোন ধর্মীয় শাসন নীতিমালা ছিল না। মানুষের ভেতরে জ্ঞানের আলো দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না । আসলে সেই যুগে ধর্মর জ্ঞান ছাড়া অন্য কোন জ্ঞান মানুষের আলোকিত করতে পারত না। জাহেলী বা অন্ধকার যুগ বলতে বুঝায় আরবের সেই সময়কালকে বোঝাই যখন সেখানে কোনাে নবী-রাসূলের আবির্ভাব ঘটেনি বা কোনাে ঐশী কিতাব নাযিল হয়নি।
আরব সমাজে সেই যুগে পরিচালিত ছিল ধর্মীয় কুসংস্কার, সামাজিক অনাচার, হানাহানি, বিপর্যস্ত অর্থনীতির ফলে যে অজ্ঞতার সমাজের ভিতর প্রচলিত ছিল অন্যের সম্পদ লুব্ধুন নারীদের অমানবিক নির্যাতন। শিশু হত্যার মতো অমানবিক কার্যকলাপ।
ঐতিহাসিক P. K. Hitti তার একটি উক্তিতে বলেছে যে।
আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে সাধারণত সেই অজ্ঞতার যুগকে বুঝায়- যে যুগে আরবে কোনাে নিয়ম কানুন ছিল না, কোনাে নবীর আবির্ভাব ঘটেনি এবং কোনাে আসমানী কিতাবও অবতীর্ণ হয়নি।
এই লেখা টি আমি যে সাইট থেকে নিয়েছি তার লিংক🔗
অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা লিখেছেন যে আরব সমাজে অন্ধকার নেমে আসে ঈসা (আঃ)সালাম ইন্তেকালের ১৫ বছর পর থেকে কেননা ঈসা আঃ এর কাছে আল্লাহর বার্তা এসেছিল এবং সেটি মানুষ গ্রহণ করছিল তখন আরব সমাজে সভ্যতা বিদ্যমান ছিল যখন কিতাবগুলো আর মানুষ পড়তো না অবহেলা করতো আস্তে আস্তে করে আরব সমাজে আইয়ামে জাহেলিয়াত শুরু হয় অর্থাৎ অন্ধকার যুগে নিমেষিত হয়ে পড়ে। আমরা এর থেকে শিখতে পারি যে কোন জাতি ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়া আলোকিত হতে পারে না। আমরা যখন জন্ম গ্রহণ করেছি তখন আমাদের কোন জ্ঞানই ছিল না আস্তে আস্তে করে যখন বড় হয়েছি আমাদের পরিবার পরিজন বিভিন্ন জ্ঞান দিয়ে আমাদেরকে আলোকিত করেছে। যেমন আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তেমনি ভাবে আল্লাহর জ্ঞানী আমাদেরকে আলোকিত করেছেন সমাজের বুকে। আমি মনে করি যে প্রত্যেক ধর্মের ভিতরেই আলোর জ্ঞান রয়েছে জীবন পরিচালনার জ্ঞান রয়েছে। সমাজ ব্যবস্থাপনার জ্ঞান রয়েছে।
নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সালাম যখন জন্মগ্রহণ করলেন কুরাইশ বংশে তখন আরবের পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার, ধর্মীয় হানাহানি ব্যভিচারের মত ঘৃণিত কাজে লিপ্ত ছিল অধিকাংশ মানুষ। সমাজের কোন শৃঙ্খলাবোধ ছিল না।
যখন মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স ১০ বছর সেই যুগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে আলামিন বলে ডাকত, তার সততা নিষ্ঠা দেখে সবাই মুগ্ধ হত খুবই কম কথা বলতো তবে যেগুলো কথা বলতো অনেক জ্ঞান সম্পন্ন কথা।
একথা গুলো সুস্পষ্ট যে, মহানবী (স)-এর আবির্ভাবে নীতি নৈতিকতাহীন । অন্ধকার যুগের পরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে ওঠার ধর্মীয় জ্ঞান মানুষের মূল্যবোধ সমাজ ব্যবস্থাপনা সমাজের নীতি নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা। আরব সমাজে মহানবী (স)- ইসলামের আদর্শে উজ্জ্বল প্রদীপের মত হয়ে সুষ্ঠু সমাজ সভ্যতার গড়ে তোলে।
আইয়ামে জাহেলিয়া সম্পর্কে আপনি অনেক কথা বলেছেন। যেখানে অনেক পুরনো দিনের অনেক কথা উল্লেখ করেছে যেগুলো আমার অনেক কিছু জানা ছিল না।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক অজানা তথ্য পেয়েছি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, সেজন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।
আইয়ামে জাহেলিয়া সম্পর্কে আমার অনেক আগেই জানা আছে নতুন করে মনে করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে।
আশা করি আমাদের মাঝে সব সময় আপনার সুন্দর পোস্ট ভাগ করে নিবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
আইয়ামে জাহেলিয়া মানে অন্ধকার যুগ সম্পর্কে অনেক ভালোভাবে সব কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে আপনি পুরোনো এবং বাস্তব জীবনে কিছু কথা বলেছেন যা অনেক কার্যকারী। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভাই আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।