সুখে থাকার জন্য করণীয় কি? আমরা কি সুখী।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে আরা আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি নতুন একটি বিষয়, আমরা মানুষ তাই প্রতিটা মানুষই সুখের আশায় ছুটে বেড়াই এমন কোন মানুষ নাই যে। সে সুখ চায় না প্রকৃতপক্ষে আমরা কি সবাই সুখি আছি। চলুন একটু বিশ্লেষণ করা যাবে ।
![]() |
---|
গ্রাম বাংলার একটা কথা পরিচালিত হয়েছে যে ব্যক্তি তাল গাছ লাগাই সেই ব্যক্তি ওই গাছের তাল খেয়ে যেতে পারে না। অর্থাৎ আমরা সাধারণত চিন্তা করি ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সে তালগাছ লাগানোর তবে এই সময় যদি আপনি তালগাছ লাগান তাহলে কখনোই এই গাছের তাল আপনার নসিবে থাকবেনা। কেননা একটি গাছে যখন তাল ধরে তখন তার বয়স হওয়া লাগে 20 থেকে 30 বছর যতক্ষণে আপনার বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু ৫৮ থেকে ৬০ বছর।
আমি তাল গাছ দিয়েছে উদাহরণটা দিয়েছি আসলে এটা আমাদের সঞ্চাই আমরা চিন্তা করি যে একটু সুখের জন্য আমাদের ইনকাম থেকে কিছুটা সঞ্জয় করব এবং আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা মেটাবো। মানুষের চাহিদা কখনোই শেষ হয় না! যার দশ তালা বিল্ডিং আছে সে বিশ তালা করতে চাই যার একটি গাড়ি আছে সে দুইটি কিভাবে করবে সেই ছিনতাই বিভোর থাকে। আল্লাহ সুবাহানাতালা বলেছেন যতক্ষণ না তোমাদের কবরের মাটি তোমাদের মুখে ভিতরে না যাই ততক্ষণ তোমাদের চাহিদার শেষ হবে না।আসলে সুখের আশায় আমরা প্রতিযোগিতায় নেমেছি কে কত সঞ্চয় করতে পারি।
আমরা যেগুলো সঞ্চয় করে যাচ্ছি তা কিন্তু আমরা ভোগ করতে পারছি না ঠিক তাল গাছ লাগানোর মত। আসলে কথা হল যে আমাদের জীবনটা সীমিত আপনি আমি যে টাকা ইনকাম করে কিছু কিছু করে সঞ্চয় করছি সেগুলো আমরা কখনই ভোগ করে যেতে পারবো না। সুখের নেশায় দৌড়াতে গিয়ে অনেকেই সঞ্চয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছি কে কত সঞ্চয় করতে পারি
অল্প সময়ের ভেতরে। আসলে কি এর ভিতরে সুখ আছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
সুখে থাকার কয়েকটি প্রয়োজনীয় পয়েন্ট উল্লেখ করব।
১/ সুখে থাকতে হলে আপনাকে প্রথমে লোভ লালোসা ত্যাগ করতে হবে। কথায় আছে অতি লোভে তাতি নষ্ট ব্যক্তির স্বভাবে কাপড় নষ্ট।
২/ কয়েকদিন আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম পৃথিবীতে প্রত্যেক চল্লিশ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ মারা যায় শুধুমাত্র ডিপ্রেশনের কারণে আর তাদের ভিতরেই একটি চিন্তা কিভাবে আরো সুন্দর জীবন যাপন করবে। তাই দ্বিতীয় করানো হলো ফ্রি মাইন্ডে ডিপ্রেশন মুক্ত থাকা।
৩/ নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তোলেন যাতে অল্পতেই তৃপ্তি পাওয়া যায় তবেই তো সুখে দেখা পাবেন।
- ৪/ চতুর্থ নম্বরে আমি রেখেছি শুকরিয়া আদায় করা যে যেভাবে আছেন যেখানেই আছেন সর্ব মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শুকরিয়া আদায় করলে তবে সুখের দেখা মিলবে।
- ৫/ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আপনার চাইতে গরিব মিসকিন তাদের কাদের উপর হাত রেখে কথা বলুন তাহলে বুঝতে পারবেন তাদের চেয়ে আপনি কতটা সুখী। মানুষের বিপদে আবাদে সব সময় পাশে দাঁড়ান তাদের দুঃখগুলো বোঝার চেষ্টা করেন তাদের কষ্টগুলো তাদের মুখ দিয়ে শুনুন তাহলেই আপনি ভিতর থেকে অনুভব করতে পারবেন আপনি একজন প্রকৃত সুখী।
উপসংহার
উপসংহারে আমি একটি উদাহরণ দিয়েই আমার আজকের আর্টিকেল শেষ করব, যারা ডাক্তার, জর্জ ব্যারিস্টার, তারা ঠিক তাদের লেভেলে ওঠাবসা করে, টাই, কোড, রাজকীয় পোশাক প্রধান করে এমন লোকজনের সাথে সব সময় ওঠাবসা তাদের তারা চাইলেই গরিবের কাঁধে হাত দিয়ে কথা বলতে পারে না , তাদের দুঃখগুলো শুনতে পারে না কেননা তারা সবসময় তাদের লেভেল অনুযায়ী ঐসব লোকদের সাথে ওঠা বসায় অভ্যস্ত। এছি বাড়ি রাজকীয় চেম্বার এছি গাড়ি এটার ভিতরে তারা সীমাবদ্ধ, এটার ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকলে কি আপনি সুখ অনুভব করতে পারবেন ? ভাই আমি বলবো না আপনার চাইতে যে দরিদ্র অভাবী তার কাঁধে যখন হাত দিবেন সে দেখবে একেবারে নরম হয়ে যাবে তখনই আপনি ভেতর থেকেই এই সুখটা অনুভব করতে পারবেন। তো আমি মনে করি যে আমরা একে অপরের সাহায্য করে নিজের সুখটা আরো বৃদ্ধি করতে পারি।
তো বন্ধুরা আমার সামান্য মেধা দিয়ে সুখে থাকার কিছু তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপনা করেছি যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার কাছে মনে হয় আমরা যতটুকু উপার্জন করি। তার মধ্য থেকে নিজে যতটুকু পারি সেটাকে ভোগ করা। এবং যদি আমাদের পাশে কোন মানুষ থাকে। অসহায় দরিদ্র তাদেরকে সাহায্য করা, এর চাইতে সুখী মানুষ হয়তবা, এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই বা কেউ হতেও পারে না।
সুখে থাকার বিষয়গুলো আপনি খুব চমৎকারভাবে আমাদের সাথে, পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করেছেন। যেগুলো আমাদের পথ চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে আপনাকে অনুরোধ করব। পোস্ট লেখার সময় ৩, ৪ লাইন প্যারা করে লিখবেন। এতে করে আপনার লেখা সুন্দর দেখাবে।
ভাই খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন।। আপনি তালগাছ নিয়ে যে উদাহরণ টা দিয়েছেন এটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।। আর হ্যাঁ আমরা একে অপরকে সাহায্য করে নিজের সুখ ও আনন্দটা বৃদ্ধি করতে হয়।।
জীবনটা খুব সীমিত অর্থের পেছনে দৌড়িয়ে জীবনের এক দ্বিতীয় অংশ শেষ করে ফেলি তবুও কোন আশায় যেন পূরণ হয় না। আপনার কাছে তাল গাছের উদাহরণটা ভালই লেগেছে এটা শুনে আমি অনেক খুশি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন অর্থের পেছনে যেয়ে আমরা নিজের ভালো লাগার কিছু মুহূর্ত বিসর্জন দেই।।
সুখী মানুষকে নিয়ে বেশ সুন্দর ভাবে উদাহরণ দিয়েছেন অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷ তার পাশাপাশি সুখী মানুষের করণীয় কেমন হতে পারে তা সবই উল্লেখ করেছেন আপনার পোস্টে ৷
ধন্যবাদ ভাই