মালয়েশিয়ান বন্ধুর বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান।
শুভ সকাল
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। অনেকদিন পরে মালয়েশিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুভূতিগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করতে এসেছি।
আমার বন্ধু, বন্ধুর বোন ও দুলাভাই। |
---|
গতকালকে মালয়েশিয়ান এক বন্ধুর বোনের বিয়ে ছিল কয়েকদিন আগে দাওয়াত দেয় আর গতকালকে সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সকালবেলা ডিউটি ছিল ডিউটি শেষ করার পর একটার পরে আমি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করে এরপর পরিপাটি হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই আমিও আমার মামা।
আপনারা জানলে অবাক হবেন যে মালেশিয়াতে বিয়ের অনুষ্ঠান মেয়ের বাড়িতে হলেও এ অনুষ্ঠানের সমস্ত খরচ ছেলেপক্ষ দিয়ে থাকে অর্থাৎ যে বিয়ে করছে তাকেই এই খরচ বহন করতে হবে। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের দিন মেয়ের মহরম সহ সমস্ত খরচ ছেলে পক্ষ দেবে অর্থাৎ যে ছেলে বিয়ে করছে তাকেই দিতে হবে। কত সুন্দর এই ইসলামী নিয়মটা যা একটি মেয়ের বাবার জন্য আনন্দ দায়ক ।
বন্ধুর বাবা ও তিন বন্ধু
বাংলাদেশের একটি মেয়ে হলে মেয়ের বাবার মাথায় অনেক চিন্তা থাকে যে কিভাবে এই মেয়েকে বিয়ে দেব কিন্তু মালয়েশিয়াতে সম্পূর্ণ ব্যতিক গত কাল যে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম অনেক বড় একটি অনুষ্ঠান আমার বন্ধুর আব্বাও অনেক ধনী তবে যে ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছে সে ছেলেটা ও একটি বড় কোম্পানিতে জব করে আর এই কারণেই অনেক মানুষের দাওয়াত দিয়েছে আমাদের কোম্পানির সবাইকে দাওয়াত দিয়েছিল এই বিয়েতে তবে সবাই সময়ের অভাবে যেতে পারি নাই আমরা অল্প কিছু মানুষ এই বিয়েতে গিয়েছিলাম।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনাকে কেউ খাদেমদারী করবে না অর্থাৎ আপনার নিজের যা পছন্দ হবে নিজের খাবার নিজে নিয়েই খেতে পারবেন সবগুলো খাবার টেবিলের উপরে সাজানো রয়েছে। আপনি যে কোন আইটেম খাবার যত ইচ্ছা তত খেতে পারবেন।
বাংলাদেশের যেমন খাদিম দার রাখে মেহমানদের খাওয়ানোর জন্য মালয়েশিয়াতে একজনও নাই এই খাদিম দার শুধুমাত্র টেবিল পরিস্কার ও প্লেট পরিষ্কার করার জন্য কিছু মহিলা রয়েছে তারা সবসময় টেবিল ও প্লেট পরিষ্কার করে আবার জায়গায় দিচ্ছে।
যে যতটুকু খেতে পারবে সে ঠিক ততটুকুই নিচ্ছে খাবারের অপচয় খুবই কম এখানে আমরাও আমাদের ইচ্ছামত মাছ ,মুরগির মাংস, ও গরুর মাংস সেই সাথে সব্জি নিয়েছি প্লেটে সাজিয়ে আমার মামা সহ আরো দুইজন আমরা এক টেবিলে বসেই প্রথমে খেয়ে নিয়েছি এরপর কিছু সময় গল্প করলাম। সকাল ১১ টা থেকে খাওয়া শুরু হয়েছে আর বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এভাবেই মানুষ খেতে থাকবে যে যতবার ইচ্ছা ততবার খেতে পারবে কেননা এটা একটা গ্রুপ প্যাকেজ এর আওতায় ম্যানেজমেন্ট করা।
সর্বশেষ ছবি তোলার পালা এবার আমরা সবাই সেলফি থেকে শুরু করে ফোনের পিছের ক্যামেরা দিয়েই অনেক ছবি উঠেছি। মালয়েশিয়াতে বর ও বউ দুজনেই একই রঙের পোশাক পরে এদেরকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল দুজনের মুখের হাসিটাও বেশ দারুন । তাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
তো বন্ধুরা এই ছিল মালয়েশিয়াতে বিয়ে খেতে যাওয়ার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের কাছে কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ।আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি ।আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
বিয়ে বাড়ি মানেই অনেক আনন্দে মজা। আর বিশেষ বিশেষ খাওয়া-দাওয়া। তবে মালয়েশিয়ায় বিয়েতে কি রকম অনুষ্ঠান হয় তা আমার জানা ছিল না। মালয়েশিয়ায় বিয়েতে ছেলেরা সবকিছু খরচ করে ।এরকমটা যদি সারাদেশে হত তাহলে খুব ভালোই হতো। আপনার বন্ধুর বোনের বিয়ের মুহূর্তটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
দিদি একদম ঠিক তাই কেননা একজন বাবা সারা জীবন একটি মেয়ে মানুষ করে নিঃস্বার্থভাবে ছেলেদের হাতে তুলে দেয় । আবার সেই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় তাকেই খরচ করতে হয় আসলে এটা বদলানো দরকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য ভালো থাকবেন।
সেখানে দেওয়া হয় একটু অন্যরকম। আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারি। তবে ছেলেকে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে বিবাহের সময়। তবে আমাদের বাংলাদেশে এইরকম পরিশোধ খুবই কম করা হয়।এ কারণে বাংলাদেশি মেয়ে হলে বোঝা মনে করে। ইসলাম কত সুন্দর সুযোগ করে দিয়েছে । সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।