মালয়েশিয়াতে আরো একটি ঈদুল আযহা উদযাপন।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে জানাই ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
শুভ সকাল
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অনেকটাই ভিন্ন রকম হাজার কিলোমিটার দূরে নিজের পরিবারকে রেখে একা একা ঈদ পালন করতে হয়।
যাই হোক ঈদের এই খুশির দিনে দুঃখের কথা শেয়ার না করে যেভাবে ঈদুল আযহা উদযাপন করেছি সেগুলোই আপনাদের কাছে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করব। কোরবানির ঈদ মুসলিমদের তেমন জাঁক চমকপূর্ণ হয়ে ওঠেনা কেননা এই ঈদের ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে আত্মত্যাগ। আমি এই বিষয়ে দুই দিন আগেও একটি আর্টিকেল আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছি।
ঈদের দিন রাত্রে সবাই রাত জাগলেও আমি সকাল সকাল ঘুমানোর চেষ্টা করি কেননা আমার টার্গেট থাকে শেষ রাত্রে উঠে অন্ততপক্ষে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বো এবং ফরজের নামাজ পড়ে ঈদগাহের ময়দানে যাব। তাই গতকাল রাত সাড়ে পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে তাহাজত নামাজ আদায় করে তারপরে একই সাথে ফরজের নামাজ আদায় করে কিছু সময় বসে কোরআন তেলাওয়াত করছি।
এরপর আমি প্রথমেই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নতুন জামা প্যান্ট পরিধান করে ঈদগাহের ময়দানে যাব বলে পরিপাটি হয়ে বসে আছি । আমার বন্ধুরাও একই সাথে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম রুম থেকেই সেলফি উঠানো শুরু করছি। আমাদের মসজিদটা একটু দূরে প্রায়ই আধা কিলোমিটার এর মত হবে।
ঈদের নামাজ পায়ে হেঁটে পড়তে যাওয়া সুন্নত তাই বাসা থেকে সবাই পায়ে হেঁটে মসজিদে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । রাস্তার মাঝখানেও দাঁড়িয়ে কয়েকটি সেলফি উঠেছি। শুধু যে আমরা পায়ে হেঁটে যাচ্ছি তা কিন্তু নয় আমাদের সাথে আরো অন্য মানুষ ও পায়ে হেঁটে মসজিদে যাচ্ছে। তাকবীর দিতে দিতে মসজিদে যাওয়ার আনন্দ টাই অন্যরকম,
আমরা এখন প্রায়ই মসজিদের সামনে মসজিদের উচ্চ গম্বুজ দেখতে পাচ্ছি আরো সামনে গিয়ে রাস্তা পার হবো বলে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু মালয়েশিয়ার মানুষ এত ভদ্র আমাদের দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাদের গাড়ি থামালো আমরা রাস্তা পার হওয়ার পরে হাত তুলে কৃতজ্ঞতা জানালাম। কথায় আছে সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।
রাস্তা পার হয়ে মসজিদের সামনে গিয়ে আরো একটি সেলফি উঠেছি এরপর আমরা মসজিদে প্রবেশ করলাম রুম থেকে অজু করে গিয়েছে বলে আর অজু করা লাগে নাই। যাইহোক প্রায় আধা ঘন্টা পরে নামাজ শুরু হল আজকে যেহেতু সকাল থেকে বাংলাদেশের খেলা ছিল তাই নামাজ শেষ করার পরে খুতবার সময় মাঝেমধ্যে বসে খেলার স্কোর দেখছিলাম।
মসজিদের ভিতরে খুব সুন্দর পরিবেশ আমরা দোতালায় গিয়ে বসেছি । আমাদের পাশেই মহিলাদের নামাজের জায়গা করেছে উপর থেকে ইমামের খুতবা শুনছিলাম বসে বসে। নামাজ শেষ হলে এবার আমার বন্ধু আর আমি মিলে কোলাকুলি করলাম।
নামাজ শেষে এবার আমার বন্ধু ছোট ভাই ও আমি মিলে একসাথে সেলফি উঠিয়েছি এরপর আমার বন্ধুকে বললাম আমি মসজিদের সামনে দাঁড়াচ্ছি আমার একটি পরিপূর্ণ ছবি উঠিয়ে দিয়েন রোদ্রের ভেতরে দাঁড়িয়ে আরো একটি ছবি উঠায়। আমাদের মত আরও অনেকেই এভাবে ছবি উঠানোর কাজে ব্যস্ত।
যেহেতু কোরবানির ঈদ তাই বাসা থেকে কোন কিছু না খেয়েই নামাজ পড়তে গিয়েছি । নামাজ পড়ে রুমে এসে এবার লাকছা সিমাই রান্না করেছি। সেই সাথে আমার বন্ধু নুডুলস রান্না করলো আর আমি সেমাই রান্না করছি। এরপর আমরা তিনজনে খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় বাংলাদেশের খেলা দেখেছি । এরপর আমি গরু কাটতে চলে যাই আর আমার বন্ধুরা বাসায় ছিল আমার রুমের পাশেই গরু কোরবানি দিচ্ছে তাদের কাজে সাহায্য করার জন্যই মূলত সেখানে গিয়েছি।
যাইহোক এভাবে কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছি খুব সাধারণ ভাবেই । ঈদুল আযহায় এবার ততটা আনন্দ হয়নাই কেননা এবার কোন বন্ধুরাই বাসায় আসে নাই তাদের ব্যস্ততার কারণে । মালয়েশিয়াতে ঈদুল আজহার ছুটি মাত্র একদিন থাকে । আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালোই কেটেছে আমাদের কোরবানির ঈদ ।
বন্ধুরা আপনাদের এবারের ঈদ কেমন কাটলো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আজকের মত ,আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন। ঈদের দিনটি আপনি শুরু করেছেন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে।অতঃপর ফজর শেষে ঈদের নামাজ পড়তে চলে গেলেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী লাচ্ছা সেমাই রান্না করলেন। হয়তো দেশে থাকলে আরো আনন্দ করতে পারতেন।কিন্তু বিদেশেও আপনি দেশের মতো করে ঈদের দিন পালন করেছেন। পাশে শুধু পরিবার বর্গ ছিল না এটাই পার্থক্য।
ভালো লাগলে আপনার ঈদের দিনের দিনলিপি পড়ে।
পরিবারের সুখেট জন্যই তাদের থেকে এত দুরে অবস্থান করে কষ্ট করে কাজ করেন আপনারা তবে তার থেকেও বেশি কষ্ট লাগে যখন এমন উৎসবের সময় পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায় না। আজ হেঁটেই মসজিদে গিয়েছিলেন। আপনি ঠিকই বলেছেন সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়। খুব সাধারণ ভাবে ঈদ উৎযাপন করেছেন। আপনি সেমাই ও আপনার বন্ধু নুডুলস রান্না করেছিলো। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আমার বন্ধু ভালো লোডুস রান্না করতে পারে সেজন্যই তার কাছে দিয়েছি নুডুলস রান্না করতে। সিমাই রান্না খুবই সহজ তাই আমি সেমাই রান্না করেছি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
প্রথমেই জানাই ঈদের অনেক শুভেচ্ছা ।আশা করি ঈদের দিনটি খুব ভালোভাবে কাটিয়েছেন ।সকলের সাথে ও আনন্দ করে কাটিয়েছেন। তবে সূত্রে পরিবার থেকে অনেক দূরে থাকেন। ঈদের দিনে পরিবার থেকে দূরে থাকা সত্যি খুব কষ্টকর। আপনি পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়েছেন নামাজ পড়ার জন্য। এটা খুবই সত্য কথা সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়। তবে আমাদের এদেশের মানুষের থেকে বিদেশের মানুষ অনেক ভালো। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। সত্যি তাই ঈদের দিন পরিবারের থেকে দূরে থাকাটাই অনেক কষ্টের। হেঁটে মসজিদে যাওয়া অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদাত মূলত আমি সেই জন্যই হেঁটে মসজিদে গিয়েছি।
আপনি ঈদের দিনটি খুব সুন্দরভাবে শুরু করেছেন। তাহাজ্জুদের নামাযের পর ফজরের নামায পড়ে তারপর ঈদগাহে গিয়েছিলেন। সম্মান দিলে,সম্মান পাওয়া যায় কথাটির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আপনি যে মসজিদে নামাজ পড়েছেন সেটিও খুব সুন্দর। প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় কষ্টই হচ্ছে পরিবার পরিজন ছাড়া বাইরে ঈদ করা। যাহোক তবুও ভালো ভাবেই আপনার ঈদ কেটেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। একদম তাই পরিবার ছাড়া ঈদের আনন্দ একদমই উপভোগ করা যায় না।। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্য দিয়েই তো দিন শেষে মনে প্রশান্তি নেমে আসে।
শুরুতেই ঈদের শুভেচ্ছা রইল এবং আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ঈদের দিন পার করেছেন। এবং আপনি পায়ে হেঁটে ঈদের নামাজে গিয়েছিলেন। এবং আপনি যেখানে নামাজ আদায় করেছিলেন অবশ্যই আমি আপনাদের সাথে একবার ঈদ কাটিয়েছি জানি সেই জায়গাটি অনেক সুন্দর এবং সেখানে অনেক মানুষ আশে এবং আপনাদের সাথে ঈদ কাটাতে অনেক ভালই লেগেছিল। এবং ঠিক এই বছরে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঈদ পালন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আহা আপনি একদম ঠিক ধরেছেন আগের জায়গাই আমরা ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম পায়ে হেঁটে বরাবরের মতো এবারও খুব আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করেছি।
আসলে আপনারা এইভাবে দিনেরপর দিন পরিবার ছেড়ে ঈদ পালন করছেন।তাই আপনাদের স্যালুট জানাই।শুধু পরিবারের কথা আর দেশের কথা ভেবেই এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করেন আপনারা।আপনি নামাজ পড়তে গেছিলেন আপনার বাসা থেকে আধা ঘন্টা পায়ে হেটে গিয়ে।এরপর বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি করেছেন আর বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করেছেন।খুব সুন্দর একটা মুহুর্ত অতিবাহিত করেছেন।ধন্যবাদ