পড়ন্ত বিকেলে চা এর রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্ত।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি এবং সুস্থ আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করবো বিকেলে লাল খেতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত। যদিও চা খাওয়া যায় না পান করতে হয় কিন্তু আমরা বলে অভ্যস্ত চা খেতে যাচ্ছি। তাই আমি নিজে যেটা বলতে চাচ্ছন্ন বোধ করি সেটাই প্রকাশ করছি।
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই এই বিষয়টা জানেন যে ব্রিটিশ আমলের আগে কেউ চা খেতে বুঝতো না এবং চা, খেতেই না বললে চলে। যখন ব্রিটিশ শাসন চালু হয় তার কয়েক বছর পর থেকেই ব্রিটিশরা ফ্রিতে চা খাওয়াতে শুরু সবাইকে। এভাবে এক থেকে দুই বছর ফ্রিতে মাইকিং করে করে চা খাওয়াতো ,একপর্যায়ে চা এর নিশা ধরিয়ে দিল। যখন সবাই চা খেতে খেতে অভ্যস্ত ঠিক একই সময়ে তখন তারা ফ্রিতে চা দেওয়ানো বন্ধ করে দিল। তারপর থেকে আস্তে আস্তে চাপ বিক্রি করতে শুরু করলো। এ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি ফ্রিতে সব জিনিস খেতে নাই।
এখন আধুনিক সোসাইটি কেমন যেন হয়ে পড়েছে সকালে এক কাপ লাল চা না খেলে যেন তার সকালটা ভালো কাটে না ঠিক আবার বিকালে আর এক কাপ লাল চা না খেলে যেন রাতে ভালো ঘুম হয় না।
যদিও আমার এই কথাগুলো বলার পিছনে কারণ রয়েছে। আমি চা খেতে খুব একটা পছন্দ করি না মাঝেমধ্য বন্ধুদের সাথে বিকালে ঘুরতে বেরহলে রেস্টুরেন্টে বসে সবাই মিলে আনন্দে ছলে দুই এক কাপ চা খেয়ে থাকি।
গতকাল পড়ন্ত বিকালে মামা সম্পর্কে একজন আমাকে বলল চলো মামা চা খেয়ে আসি। আমার এটা আপন মামা নয় মালয়েশিয়াতে একই সাথে ওটা বসা এই জন্য মামা বলে ডাকি ওনাকে। দুই মামা ভাগ্নে মিলে চা খেতে চলে আসলাম। আপনারা ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন যে ওপার প্রান্তে বসে আছে আমার মামা আর আমি তার অপারসাইটে। অনেক বয়স ব্যক্তি তবে মন মানসিকতার দিক দিয়ে খুবই ভালো আমার অনেক যত্ন করে।
আমার পিছনে অনেকেই বসে আছে। সবাই মালয়েশিয়ার নাগরিক তারাও এসেছে আমার মত চা খেতে। তবে লাল চা খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে আমি সেগুলো সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করছি,
লাল চা খেলে শরীরের ব্যথা অনেকটাই নিরময় হয় এবং লাল চা মেটাবলিজম স্পীডকে উন্নত করতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোয়ে সাহায্য সহজ পদ্ধতি। অনেকেই এই পদ্ধতি মেনে ওজন কমিয়ে থাকেন।
লাল চা বিশেষভাবে সেজুড়ে থাকা জনককে এটি স্থায়ি চাপ কমানোয় সাহায্য করে, যা হৃদয় রোগের ঝুঁকি কুমিয়ে আনে।
লাল চা অতিরিক্ত গরম খাওয়া ঠিক নয়, কেননা বেশি গরম খেলে মুখ জ্বলে যায় এবং মুখের স্বাদ কমে যায়। আমরা অনেকেই লাল চা গরম গরম খেতে পছন্দ করি এবং সেটা আবার ফু দিয়ে। দুইটাই ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মুখের মুখ পানিতে মিশে পানির ভিতর বাতাস ঢুকে যায় এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বেশি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সব সময় বলে যে আপনারা বেশি গরম জিনিস খাবেন না এবং গরম জিনিস কখনোই ফু দিয়ে খাবেন না।
তো বন্ধুরা গতকাল বিকালে চা খেতে যাওয়ার মুহূর্তটুকু আপনাদের কাছে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে । যদি আমার লেখার ভিতর কোন ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার ঐ সকল বন্ধুদের যারা আমার লেখাটি পরিদর্শন করছেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much sir for supporting
সত্যি ভাই এটা আমি জানি লাল চা খেলে আসলেই ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
কিন্তু তারপরেও চা আমি তেমন একটা পছন্দ করি না।
কিন্তু এখন থেকে মাঝেমধ্যে খাওয়ার অভ্যাস করব কারণ আপনার এই পোস্ট থেকে আমি আজকে জানতে পারলাম যে চা হৃদ রোগের ও উপকার করে। তাহলে চা খেলে মাঝেমধ্যে শরীরের জন্য অনেক উপকার হতে পারে।
ভাই আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে ও ধন্যবাদ আমার কমেন্টি পড়ার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে, বিকেলে রেস্টুরেন্টে বসে চা খাওয়ার মুহুর্ত আমাদের শেয়ার করার জন্য।
চা এমন একটি এনজাইমের নাম যা খেলে ক্লান্ত শরীর মুহুর্তেই চাঙ্গা হয়ে যায়।আমি যখন অনেক কাজের ভারে নেতিয়ে পড়ি তখন একটু চা পান করি মূহুর্তেই এনার্জি ফিরে পাই।যাইহোক, যেহেতু প্রসঙ্গ চা পান করা তাই চা পান করার ব্যাপারে একটি কথা প্রচলিত আছে। সেটা হলো,চা কখনই ফু দিয়ে পান করা উচিত নায়। কেনো ফু দিয়ে পান করা উচিত নয় তা ইন্টারনেটে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন৷
ভাই আপনি ঠিক বলছেন চা খাইলে শরীরের অলসতা দূর হয় এবং অন্যরকম এনার্জি ফিরে আসে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ একটি কমেন্ট করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।