মানুষের ভিতর থেকে মানবতার ডিকশনারি ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে।
শুভ সকাল
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। আজকে খুব সকাল সকাল লিখতে বসেছি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি আর্টিকেল উপরের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন যে আমি কোন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করতে যাচ্ছে।
আমরা এটা বিশ্বাস করি যে সৃষ্টি জগতের যতগুলো মাখলুকাত রয়েছে তার ভেতরের শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত হলো আশরাফুল মাখলুকাত। আশরাফুল মাখলুকাত মানে, সৃষ্টিকুলের মানুষই একমাত্র শ্রেষ্ঠ। মানুষের নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক রয়েছে এই জন্যই মানুষ শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত। মানুষের ভিতরে মানবতার রয়েছে তবে ধীরে ধীরে এই মানবতা অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিতরে থেকে।
মানুষ কিভাবে হিংস্র হায়নার মতো আচরণ করতে পারে এটা আমার বোধগম্ভ নয় বাংলাদেশের একটি ঘটনা কেন্দ্র করে এই আর্টিকেল লিখতে বসেছি। আমরা সবাই স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় যাই মানুষের মত মানুষ হতে তবে সবাইকে আর মানুষের মতো মানুষ হতে পারে আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় কখনো মানুষের মত মানুষ তৈরি করে না বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে কিছু জ্ঞান দিতে পারে অথবা আপনার প্রফেশনাল জীবন কিভাবে চলবে সেটা আপনাকে প্রশিক্ষণ দিবে।
প্রকৃত মানুষ তো একটি পরিবার থেকেই হয়ে ওঠে আমি মনে করি পরিবার থেকে সুশিক্ষা যদি না দেওয়া হয় সেই সন্তান বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করেও মানুষের মত মানুষ তৈরি হবে না তার ভিতরে মানবতা কাজ করবে না মানবতার জ্ঞান একটি পরিবার থেকেই আমাদের ভিতরে ইন্সটল করে দেওয়া হয়।
যাইহোক ঘটনাটি একটু আলোকপাত করি শুনলে আপনাদের ও গা শিউরে উঠবে, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সামনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তথাকথিত কিছু শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা। আমি ঠিক বলতে পারবেনা এরা আদেও শিক্ষিত কিনা শিক্ষিত হওয়ার জন্য শিক্ষার কোন বই এরা করছে কিনা আমার বোধগম্য নয়।
এই ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে ব্যবহার করছি।
ছেলেটাকে সন্দেহ বসে চুরির দায়ে প্রথমে কয়েকজন ছেলে মারধর করা শুরু করে এক পর্যায়ে হলের আরো ছেলেরা ওখানে চলে আসে তারপর ওই ভাইটাকি একটি ঘরের ভেতরে যাই কয়েকজন ছেলে সেখানে প্রচুর পরিমাণ নির্যাতন করে এবং সেগুলো আবার আরেকজন ভিডিও ধারণ করছে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণ এটা ভাইরাল ।
এই ঘটনাটি একটি সিনিমাকে হার মানিয়ে দেবে কেননা নির্যাতন করার পর তাকে আবার দুপুরে খেতে দিয়েছে এর ভিতরে একজন জিজ্ঞাসা করছে যে খাবার কেমন হয়েছে সেই ভাই কি বলছে মাশাল্লাহ খাবার অনেক ভালো পাশ থেকে আরেকজন বলে উঠছে যে এটাই আজকে তোমার শেষ খাওয়া শিক্ষিত সমাজের বিবেক কোথায় গেছে একটু জানের মূল্য এতই কি সস্তা। এই কথাগুলো শোনার পর প্রতিটি মানুষের বিবেক নড়ে উঠছে কিভাবে পারলো এই শিক্ষিত সমাজ একটি ভারসাম্যহীন পাগল ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করতে।
শিক্ষিত সমাজ কোন সিদ্ধান্ত নিলেন আমরা সেটা সাদরে গ্রহণ করি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই শিক্ষিত সমাজ অশিক্ষিতের মতো আচরণ করে সমস্ত শিক্ষিত জাতির উপরে একটি অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করে ফেলে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় হত্যার কান্ড কে কেন্দ্র করে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কাটা গিয়েছে। মানুষের মনে সন্দেহ আসছে আমাদের সন্তানকে কোথায় পাঠাবো প্রকৃত মানুষ বানানোর জন্য।
আমি এই ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানাই আমি একজন মুসলিম হিসেবে শুধু একটি কথাই আমি বলব যদি একজন নিরপরাধ মানুষকে কেউ হত্যা করে তাহলে সে যেন গোটা জাতিকেই হত্যা করলো। মানুষ হত্যা মহাপাপ। কোন ব্যক্তি অন্যায় করলে সেই দেশের শাসন ব্যবস্থায় তাকে বিচারের আওতায় এনে সঠিক বিচার করে সাজা প্রদান করবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া অন্যায় ও অপরাধ এটার সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের আর্টিকেল সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
বর্তমান সময়ের মানুষের ভিতর থেকে মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে, দরকারে তারা বিভিন্ন ধরনের অন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করে না, বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন এই লোকের হত্যার ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে গেছে, এর হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবী জানাচ্ছি, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম সঠিক বলেছেন মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব আর এই মানুষ মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করে এ থেকে বোঝা যায় মানুষের মধ্যে মানবতা ও বিবেক বলতে কিছুই নেই।। আমিও এই তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনেছি এবং দেখেছি এতটা কষ্ট লাগছিল যেটা বলার মত না।। কেউ কেউ বলছে আবেগের বসে তাকে মেরেছে হায়রে শিক্ষিত মানুষ আজ আবেগের জন্য মানুষকে মেরে ফেলে।
মানুষ ধীরে ধীরে তার মনুষত্ব হারিয়ে ফেলছে। মানুষ অন্যায় করতে কোনভাবেই নিজেকে ছোট বোধ করেনা। অন্যায়কে কখনোই অন্যায় মনে করে না। এখন মানুষ সকল ধরনের খারাপ কাজ করছে কিন্তু মানুষ বুঝতেই পারছে না এটা খারাপ কাজ। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।