"আমাদের মায়ের গন্তব্য বৃদ্ধাশ্রমে কেন?"("Why our mother's destination is in an old age home?")
যে ‘মা’ আমাদের ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখিয়েছেন। সেই মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে কেন?
Edit by Pixel Lab || Image collect
হ্যালো বন্ধুরা,
আজকে আমার আলোচনার বিষয় হলঃ "মা কেন বৃদ্ধাশ্রমে!"
মা এমন একটি শব্দ যা উচ্চারণ করলেও সৃষ্টিকর্তা খুশি হন। স্রষ্টা যদি মাকে সৃষ্টি না করতেন তাহলে তুমি আর আমি এই পৃথিবীর মুখ দেখতে পেতাম? এই যে আমরা এখন এত জ্ঞানী বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, পাইলট, কার জন্য কেউ কখনো ভেবেছে?
তুমি কি জানো মা কখন আমাদের ভালোবাসতে শুরু করে? আমার স্বল্প জ্ঞানে যা বুঝলাম, মা তার গর্ভ থেকেই আমাদের আদর করতে শুরু করেছেন।
source |
---|
আমরা যখন প্রথম মায়ের গর্ভে আসি এবং যখন আমাদের মা বুঝতে পারে, মা আমাদের নিয়ে চিন্তিত, তিনি সর্বদা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন কারণ আপনি জানেন, যাতে আমরা সুস্থভাবে এই পৃথিবীতে আসতে পারি। যখন আমাদের ছয় মাস হয়, তখন আমরা মাতৃগর্ভে অনেক নড়াচড়া করি, যার কারণে মায়ের অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু মা এই কষ্ট হাসিমুখে গ্রহণ করেন, বরং আমরা যত বেশি নড়াচড়া করি, মা ততই খুশি হন কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে আমরা সুস্থ আছি বলেই আমরা নড়াচড়া করছি। আমরা যদি এক দিনের জন্য নড়াচড়া না করি, মা অস্থির হয়ে ওঠেন এবং অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
আপনি কি জানেন যে আমরা প্রতিদিন কতবার মায়ের কলিজায় লাথি মারি? যখন আমাদের এই পৃথিবীতে আসার সময় হয় অর্থাৎ মাতৃগর্ভে সাত থেকে আট মাস। তখন মায়ের ছোট্ট পেটে আমাদের জন্য জায়গা নেই, তাই আমরা মায়ের বুকে প্রবেশ করি এবং আমাদের পা মায়ের কলিজা স্পর্শ করে। আর আমরা মায়ের কলিজায় ধাক্কা দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রবেশ করি। তারপর মায়ের কলিজায় একটা ক্ষত তৈরি হয়, এই ক্ষত পৃথিবীর কোনো ডাক্তার মেটাতে পারে না, কিন্তু মায়ের সন্তান পৃথিবীতে এসে কাঁদলেই মায়ের ক্ষত ভরে যায়।
আমরা কোন ধরনের বিপদে পড়লে প্রথমেই কিন্তু আমাদের মা জানতে পারে! কি করে? ওই যে মায়ের কলিজা ক্ষত করে আমরা পৃথিবীতে এসেছি, সেই মায়ের কলিজায় ব্যথা অনুভব করে! আর তখন মা বুঝতে পারে আমার সোনা মানিকের কোন বিপদ হয়েছে।
কিন্তু দেখ আমরা কত স্বার্থপর হয়ে গেছি; যে মা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমাদের এই পৃথিবীতে এনেছেন এবং সেই মাকে এই সমাজের কিছু কুলাঙ্গার সন্তান বৃদ্ধাশ্রমে রেখেছে। যে বয়সে মা নাতিকে নিয়ে খেলা করবেন, সেই বয়সে তাকে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে!
আর এই কাজটি বেশির ভাগই করে থাকে আমাদের শিক্ষিত সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষেরাই। আপনি যেকোন নার্সিংহোমে যাবেন এবং দেখবেন "একদিনের জন্য বৃদ্ধাশ্রমে গরিব বা ধর্ম নিয়ে আসছে এমন ব্যক্তির মাকেও দেখবেন না!" বেশির ভাগ সময়ই দেখবেন "উচ্চ শিক্ষিত সন্তানদের মায়েদের স্থান বেশি"।
আমার মনে হয় এখানে বাচ্চাদের কোন দোষ নেই যতটা দোষ মায়ের!
মায়ের প্রথম দোষ, বাচ্চা যখন বিছানায় প্রস্রাব করে বা বিছানা ভিজিয়ে ফেলে, মা বাচ্চাকে ভেজা জায়গায় না রেখে বুকের উপরে রাখে আর মা ভিজা জায়গায় শুয়ে থাকে। এটাই মায়ের সবচেয়ে বড় দোষ, মা তার নিজের বাপের বাড়ির লোকজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, যাতে ছেলের পড়ালেখায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। এটা কি কম বড় দোষ। মা কখনো তার স্বামীর কাছে নিজের জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি শুধু তার স্বামীর কাছে নানান কথা প্রকাশ করে আমার ছেলের এটা লাগবে ওটা লাগবে, আমার ছেলের জন্য এটা নিয়ে আসবে, সোনা মানিক এই জিনিসটা বেশি পছন্দ করে, নিজের চাহিদাকে কবর দিয়ে সন্তানের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
ঠিক বলেছি নাকি ভুল; আপনি কি জানতে চান?
কারণ আমি একটু কম বুঝি, তাই কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক তা নির্ধারণ করতে পারছি না!
তো বন্ধুরা, আজ আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি, আরেকদিন মাকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাওয়ার আগে একটা শেষ কথা বলুন যদি আপনার বাড়িতে মা থাকে তাহলে দয়া করে তাদের যত্ন নিন বিশ্বাস করুন যে তারা অর্থের জন্য গরীব নয় তারা ভালবাসার জন্য গরীব। তাদের একটু ভালোবাসা দিলেই তারা তৃপ্ত হয়। এরা এমনই জাতি যে খাবার না দিয়ে জোরে মা বলে ডাকলেই তাদের ক্ষুধা মিটে যায়।
"আমি কি আপনাকে একবারও জিজ্ঞেস করেছি, কেমন আছো? খেয়েছো? কিন্তু 'মা, দিনে ৫০ বার জিজ্ঞেস করে, বাবা কেমন আছো? কী খেয়েছো? খাও নাহলে অসুস্থ হয়ে যাবে!"
আপনাদের সকলের কাছে একটি অনুরোধ দয়া করে মাকে কষ্ট দেবেন না তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা তো দূরের কথা।
"বাবা মা"
তার উত্তর কি দিতে পারো!
এ যুব সমাজ;
তুমি কি কখনো হবে না!
"বাবা মা"
তোমার সন্তানও করবে,
এমন আচরণ!
প্রথম শিক্ষাই তো পাবে,
তোমার কাছেই!
তখন কি করবে?
এ যুবসমাজ!
তুমিও হও প্রস্তুত,
যেতে বৃদ্ধাশ্রম!
বৃদ্ধ বয়সে কেমন লাগে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে,
অনুভব করে নাও এখনি,
তোমার বাবা-মার কাছ থেকে!
হে শিক্ষিত যুব সমাজ!
দুই লাইনের কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি, কেমন হয়েছে জানি না, কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি মোহাম্মদ রাসেল। আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে আমার বাড়ি। বর্তমানে স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে এবং incredible India আমার পরিবার। আমি ফটোগ্রাফি, কবিতা, গল্প, ডাইরি গেম ইত্যাদি বিষয়ের উপরে ব্লগ লিখতে পছন্দ করি। ক্রিকেট খেলাটিকে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ ও ভালোবাসি।
বাবা মা কেন বৃদ্ধাশ্রমে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তোবা আমাদের কাছে নেই! কিন্তু যারা তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছে! তাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো বা থাকতে পারে! বড় বড় ফ্ল্যাটে বড় বড় জিনিসপত্র রাখার জায়গা থাকে! কিন্তু বাবা মা থাকার জায়গা থাকে না! এ কথাগুলো ভাবলেই চোখে জল চলে আসে।
জীবনে এমন একটা মুহূর্তের মধ্যে আমাদের কেউ পার করতে হবে! এমন একটা মুহূর্ত আমাদেরও পাড়ি দিতে হবে! এই কথা ভুলে গেলে চলবে না! মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করেছে! সেটা এখন আমরা একটু হলেও উপলব্ধি করি! বাবা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করেছে! সেটা একটু হলেও উপলব্ধি করছি।
আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের সামনে যে আচরণ করব,,, আমাদের শশুর শাশুড়ির সাথে! ঠিক সেই একই আচরণ আমাদের ছেলেমেয়েরা আমাদের সাথে করবে! এ কথাটা হয়তোবা অনেকেই ভুলে যায়! অসংখ্য ধন্যবাদ বাবা এবং মাকে নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আপু আপনার শরীরটা এখন কেমন আছে,
জি আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের সন্তানেরা আমাদের কাছ থেকেই শিখবে আমরা যা তাদেরকে শিখাবো যা তাদের সামনে করব তারা ঠিক তাই তাই শিখবে এবং করবে!
শিক্ষিত আর স্মার্ট সমাজে যখন দিনে দিনে বৃদ্ধ আশ্রম বেড়েই চলছে । আমার প্রশ্ন ঐ শিক্ষিত জাতির কাছে বৃদ্ধ আশ্রম গুলো বানানোর কি প্রয়োজন? মা দিবস বাবা দিবস পালন করি আসলে আমরা কি বাবা মাকে মন থেকে ভালবাসি না শুধু সমাজকে দেখানোর জন্য এগুলো করি। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা একটি মায়ের মনে যে কষ্ট এগুলো লেখার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখতে বসলেও শেষ হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ভাই যারা বাবা-মা দিবস পালন করে তারা শুধু ওই ফেসবুক আর সেলফির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
আপনি আমার কথার সাথে একমত হবেন কিনা জানিনা!
তারা আদতে কখনোই বাবা-মাকে সত্তিকারের ভালবাসেনা একটা দিনের জন্য লোক দেখানোর অভিনয় করে।
বর্তমান সময়ে সন্তানদের মধ্যে একটি বড় অংশ তারা পিতা মাতার প্রতি উদাসীন থাকে। শহরকেন্দ্রিক শিক্ষিত ছেলেমেয়েরায় পিতা-মাতাকে ব্যাকডেটেড মনে করে থাকে। তারা ভুলে যায় যে মা তাকে দশ মাস দশ দিন কত কষ্ট সহ্য করে পৃথিবীর আলো বাতাস দেখিয়েছে। আমাদের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধের অনেক ঘাটতি রয়েছে যার কারণে আমরা পিতামাতাকে পর্যাপ্ত সম্মান দিতে পারি না তার ফলশ্রুতিতে মা অথবা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রম এর মত জায়গায় জীবনের শেষ দিনগুলো পার করতে হয়। ভাই আপনার লেখনীর মধ্যেও দিয়ে চমৎকারভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সর্বশেষ আমি বলতে চাই আমাদের প্রত্যেক সন্তানদেরকে মনুষ্যত্বের জাগ্রত করতে হবে তাহলে কোন পিতা-মাতাকে শেষ বয়সে বৃদ্ধরাশ্রমের মতো জায়গায় শেষ ঠিকানা হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন ধর্মীয় শিক্ষার অভাব থাকার কারণে তারা এমন কাজটা বেশি করে থাকে।
আর যারা শহরকেন্দ্রিক তারাই বাবা-মাকে বেশি বৃদ্ধাশ্রমে রাখে।
আপনি দেখবেন একজন হুজুর বা মাওলানা ও দিনমজুরের বাবা-মা কখনোই বৃদ্ধাশ্রমে যায় না।
কিন্তু ধনী লোকদের তো টাকার অভাব নেই তারপরও কেন তারা তার বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে?
Still your title is inappropriate! It would be
"Why our mother's destination is in an old age home?"
Always ask if you have any doubt, even if it is about language, as this is not your mother tongue.
I hope you understand and follow the same in the future.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম।
নিঃসন্দেহে ম্যাম, আপনি যে টাইটেলটি দিয়েছেন এটি এই পোস্টের জন্য উপযুক্ত টাইটেল।
আমার টাইটেল চুজ করাটা ভুল হয়েছে এর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এবং অবশ্যই কোন ডাউট থাকলে আমি আপনার শরণাপন্ন হবো।
যখন আমরা আমাদের জন্ম থেকে শৈশব পর্যন্ত মায়ের ত্যাগের তুলনা করতে পারি না। তাহলে আমরা কিভাবে তাদের বৃদ্ধাশ্রমে ভর্তি করার কথা ভাবি।আপনার পোস্ট সবসময় খুব হৃদয় স্পর্শ,বাবা এবং মাকে নিয়ে আপনার কবিতাও খুব মন ছুঁয়ে যায়।
হ্যালো, দাদা ভাই কেমন আছেন,
আমি আপনাদের কয়েকজনের কমেন্ট পাওয়ার জন্য অনেক প্রতীক্ষায় থাকি।
আপনাদের মত মানুষদের কমেন্ট পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার!
দোয়া করবেন আমার জন্য আমি যাতে আপনাদের মত করে পোস্ট লিখতে পারি।
আমার কমেন্ট পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুব খুশি হলাম। আপনার পোস্ট গুলো আমার ভালো লাগে বলেই আমি পড়ি। আপনি ভালো থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন?
আমার পোস্ট পড়তে আপনার কাছে ভালো লাগে এটা জানতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে।
আপনাদের দোয়া ও সাপোর্ট কামনা করছি।
🤗
বাবা পরিবারের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।সেই বাবা মাকে বাড়ি ছেড়ে বদ্ধাশ্রমে যেয়ে থাকতে হয় ভাব্লেই কস্ট লাগে।এত চমৎকার করে এই বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন?
আমার পোস্টে আপনার কমেন্ট দেখে আমি খুব আনন্দিত।
আমার জন্য দোয়া করবেন।