দুঃখ মানসিক অবস্থা এবং তাদের নিজেই নির্মিত।
source |
---|
একবার দুঃখে আবৃত হয়েছিল একজন মানুষ। তার জীবনে অনেক কষ্ট এবং প্রতিশোধ ছিল। তিনি সময়ের সাথে একটি গল্প শুনেছিলেন যা তাকে অদ্ভুত প্রভাবিত করল।
গল্পটি ছিল একজন মহান বোধিসত্ত্ববাদী বৃদ্ধ মহাত্মা সংসারের দুঃখের উপর বিচার করতে গিয়ে। সে বেশ সাধারণ একটি প্রশ্ন করলেন, কেন মানুষেরা পরবর্তী দিনে দুঃখ ভোগ করলে তাদের কাছে সেই দুঃখ মনে হয় না, এবং যখন আপন মনে দুঃখ দিলে তারা তা মেনে নেয়া যায় না?
মহাত্মার উত্তর দিয়ে গল্পটি ভূগোলে লিপিবদ্ধ হয়ে গেল।
একটি সময়ের মাঝে একজন যুবক পথে দুঃখে আছে দেখলেন মহাত্মা। তিনি যুবককে বললেন, কেন তুমি দুঃখে আছো, যুবক? কেন তুমি সেই দুঃখটি মনে করতে পারছ না?
যুবকটি জবাব দিল, আমি আমার প্রেমিকা হারিয়ে গেছি এবং এটা আমাকে অনেক ব্যথা দিচ্ছে। আমি তাকে ভুলতে পারছি না।
মহাত্মা একটি ফুল ধারণ করে বললেন, যুবক, আমি তোমাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। যদি তুমি হাওয়ায় ফুলের সুগন্ধ অনুভব করতে চাও, তুমি কি তাকে ধারণ করতে পারবে?
source |
---|
যুবকটি চিন্তিত হয়ে বলল, না, মহাত্মা, আমি তাকে ধারণ করতে পারব না। কারণ ফুলটি নেই তো কী আছে আমার হাতে?
মহাত্মা হাসি দিয়ে বললেন, তুমি সঠিক উত্তর দিলে। যখন তুমি হাওয়ায় ফুলের সুগন্ধ অনুভব করতে পারবে না, তখন সেই ফুলের অস্তিত্বও তোমার কাছে মনে হয় না। তুমি তোমার প্রেমিকাকে হারিয়ে গেছো, তিনিও তোমার কাছে নেই। তাই তুমি তাকে ভুলতে পারছো না। তোমার মনে এই দুঃখ তৈরি হচ্ছে তুমি নিজেই, তোমার মনে তৈরি হচ্ছে সেই অনুভূতি।
যুবকটি সাম্যের মুখে মহাত্মার কথাগুলি শুনে ভাবতে লাগল। তিনি বুঝলেন যে দুঃখ একটি মানসিক অবস্থা এবং সেটি তাদের নিজেই নির্মিত। তারা অপরকে দুঃখ দিলে সেটি স্বীকার করার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রভাবিত করতে পারে না। তবে তাদের মনে দুঃখ দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি তাদের প্রভাবিত করতে পারে। তাই তিনি নিজেকে এবং অন্যদেরকে পরিবর্তন করার জন্য দুঃখ ব্যবহার করতেন না।
দুঃখ একটি মানসিক অবস্থা যা মানুষের মনে উত্পন্ন হয় এবং তারা নিজেই তাদের মনে তা নির্মিত করে। মানুষের আন্তরিক অভিজ্ঞতা, মনের স্থিতি, সম্পর্ক, অপেক্ষা ইত্যাদি এসব উপাদান দুঃখের উদ্ভাবন করতে পারে এবং এগুলি নিয়ন্ত্রণ করে দুঃখ বা সুখের অনুভব হয়।
মানুষের মন অনেকটা একটি সঙ্গীতের মতো যেখানে দুঃখ এবং সুখ সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত আছে। এই মনের সঙ্গীতে দুঃখের সংগ্রাম হলে মানুষ তার জীবনের বিশাল স্বাধীনতা পায় না এবং সেটি তার মানসিক স্থিতিকে প্রভাবিত করে নেয়। তবে মনের জটিল স্বাধীনতা ও মানুষের সামরিক শক্তি তাকে সহায়তা করতে পারে দুঃখ বোধ করে এবং তাকে পরিবর্তন করতে পারে স্বীকৃতিপূর্ণ সুখের দিকে।
source |
---|
মানুষের মানসিক শক্তি ও সামরিক দক্ষতা বিকাশের সাথে সাথে তিনি দুঃখকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে সুখ এবং উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারেন। এমনকি মানুষ দুঃখে আচ্ছন্ন হলেও একটি পরিবর্তিতমানুষ নিজেই তাদের মানসিক অবস্থা নির্মিত করে এবং দুঃখের বা সুখের অনুভব হয়। এটি নিজের মনের ভাবনা, মনের প্রক্রিয়া এবং মনের সাথে বাহিরের পরিস্থিতির সমন্বয়ে ঘটে। একাধিক কারণ থাকতে পারে যেমন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, সামাজিক পরিবেশ, পরিবার ও সঙ্গীতের প্রভাব, স্বাস্থ্য অবস্থা, পরিবেশের পরিবর্তন ইত্যাদি।
মনের স্বাধীনতা এবং নিজের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করে দুঃখে থাকা থেকে সুখে পাল্টানো সম্ভব। এটি সময় নিয়ে নিজেকে বাধাও দেতে পারে কিন্তু এটি সম্ভব যখন মানুষ পরিবর্তন করার উপর প্রয়াস করে, নিজের সাথে কাজ করে এবং নতুন উপায় খুঁজে বের করে। মনের পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দৈনন্দিন জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য সমর্পন ও সামরিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।
মনের সম্পর্কে সচেতন হওয়া, নিজের ভাবনা ও মনোবৃত্তিকে সমীক্ষা করা, নিজের জীবনে আনন্দের উপাদান বৃদ্ধির পথ খুঁজে বের করা ও নতুন করে শিখা গণ্য হতে পারে। মনের সামরিক স্বাস্থ্য বিকাশে যোগাযোগ, মনোযোগ প্রায়োগিক কাজ, সুযোগপূর্ণ ক্রিয়াকলাপ, স্বাস্থ ইত্যাদি।
সুখ দুঃখ নিয়ে একটি মানুষ তার জীবন অতিক্রম করে তবে সব সময় মানুষ মনে করে সে দুঃখে আছে এবং কষ্টে আছে কেননা শোকের সময় গুলো অতি দ্রুত কেটে যায় , সুখে থাকার পর কেউ যদি দুঃখ অনুভব করে তার কষ্টটা বেশি মনে হয়, আপন মানুষের কষ্ট গুলো সব সময় আমাদের হৃদয়ে আঘাত করে কেননা আপন মানুষ কখনোই কষ্ট দেবে তা আমরা কল্পনা করতে পারে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই লিখনে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
বাহ্ খুবই সুন্দর একটি পোস্ট। আপনার পোস্টে অনেক কিছু জানার মতো আছে। খুবই সুন্দর করে আপনি এখানে কথা গুলো উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাই, ভালো থাকবেন সবসময়।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আজকে আপনি একটি গল্প দিয়ে আমাদেরকে দুঃখ মানসিক অবস্থা তাদের নিজেই নির্মিত করে।।। আর গল্পটি থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে আমাদের।।।
অসম্ভব ভালো হয়েছে আজকের গল্পটি আপনার খুবই ভালো লাগলো পড়ে এবং অনেক কিছু বুঝতে পারলাম।।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন।।।
আসলেই সত্যি দুঃখ আমরা মানুষেরাই নির্মাণ করে থাকি। যে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে তার কথা ভেবে কখনো কষ্ট পাওয়া উচিত নয়। এতে করে নিজে কষ্ট পাওয়া আর পরিবারকে কষ্ট দেয়ার কোন মানে হয় না। যে চলে গেছে তাকে ভুলে গিয়ে নতুন কাউকে নিয়ে বেঁচে থাকাটাই উত্তম।
অসাধারণ একটা গল্প আজকে আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, গল্পের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ যে আমরা নিজেরাই নির্মাণ করি। সেটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।