Incredible India monthly contest August#2 |My best and worst memories of life.steemCreated with Sketch.

in Incredible India10 months ago (edited)

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের পিছনে ফেলে আসা কিছু স্মৃতি রয়েছে। যেই স্মৃতিগুলো কখনো ভোলার নয়, আপনি চাইলেও ভুলতে পারবেন না। এবং সেই স্মৃতিগুলোতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে।তেমনি কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম।

প্রথমে আমি আমাদের এডমিন ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, যিনি কিনা এত সুন্দর একটি বিষয় নির্ধারণ করেছেন প্রতিযোগিতার জন্য।

photo_6278358003765851240_y.jpgEdit by Canva
1.আপনি কি মনে করেন যে স্মৃতিগুলো নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক? কিভাবে বর্ণনা?

হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের স্মৃতিগুলো আমাদেরকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে পারে। তার যথেষ্ট কারণ আছে আমার কাছে;

আমি মোহাম্মদ রাসেল, আমি একটা সময় ভালো মানের একজন ক্রিকেট প্লেয়ার ছিলাম। আমাকে নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখত, আমি বাংলাদেশের জার্সি পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের হয়ে খেলব। আমি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ক্রিকেট ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। সেই সময় অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট টিমে খেলা থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে অনুর্ধ ১৯ দলে নির্বাচিত হই।

যখন আমার খেলার পারফরম্যান্স খুবই ভালো তখন আমার ভেতরে একটি অহংকারের সৃষ্টি হয়। আমি ভালো প্লেয়ার আমার সাথে কেউ তেমন খারাপ আচরণ করতে পারত না। আমি হুটহাট করেই সবার উপরে রেগে যেতাম। এমনকি আমি আমার কলেজের টিচারদের সাথেও ঘাড় বাঁকা করে কথা বলতাম সেই সময়।

কারণ বিকেএসপিতে যারা ভালো খেলোয়াড় তাদেরকে পড়াশোনার জন্য বেশি একটা চাপ দেওয়া হয় না। তাই আমি একটু উৎশৃঙ্খল হয়ে গিয়েছিলাম।
এই আচরণের ৬ মাস যেতে না যেতেই আমি একটি দুর্ঘটনার শিকার হই। দুর্ঘটনাটি হয়েছিল আমার বেপরোয়া জীবন যাপনের জন্য। বিকেসপিতে মোবাইল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ছিল, তা সত্ত্বেও আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম যা সবার আড়ালে। শুধু আমি নয় আরো অনেক ছাত্ররাই করত।

একদিন আমার ফোনটি আমার এক বন্ধু নিয়ে যায় সে আমার পাশের রুমেই থাকে। এবং আমার ফোনটি তার কাছ থেকে আনতে যাই বেলকনি দিয়ে। সেই ফোনটি তার কাছ থেকে নেওয়ার সময় আমি চার তলা থেকে নিচতলায় ধপাস করে পড়ে যাই। এবং তার সাথে সাথে আমার সকল স্বপ্নগুলো মাটিতে লুটিয়ে তছনছ হয়ে যায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে তো গিয়েছি কিন্তু স্বপ্নগুলো সব হারিয়ে ফেলেছি।

এবং তখন আমাকে ঢাকা মেডিকেল এ নিয়ে আসা হয় এবং দীর্ঘ একটি বছর মেডিকেলে কাটাতে হয় আমার। এবং তখনই আমি বুঝতে পারি আমার অহংকারের কারণেই আজ আমার পতন হয়েছে। অহংকার পতনের মূল এটা আমরা সবাই জানি।

এবং সেই শিক্ষা থেকে আজ পর্যন্ত আমি কোন বিষয় নিয়ে অহংকার করি না কারো সাথে। আমি নিজেকে এখন তুচ্ছ ও ছোট মনে করি সবার থেকে।

2. আপনার জীবনের সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তগুলি ভাগ করুন যা এখনও আপনার স্মৃতিতে জীবিত রয়েছে।
image.pngsource

আমার জীবনের সবথেকে সেরা মুহূর্ত:

আমাদের সময় বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া অনেক কষ্টের বিষয় ছিল। তখন সারা বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড় বেছে বেছে ১৪ দিনের জন্য ঢাকা, সাভার, জিরানি, বিকেএসপিতে নেওয়া হতো। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ১৪ দিনের একটি ক্যাম্প হতো এবং সেখান থেকেই বাছাই করে খেলোয়াড়দেরকে ভর্তি করানো হতো।

আমি সেই ১৪ দিনের ক্যাম্পে যাওয়ার সুযোগ পাই। তখন আমি একজন ফাস্ট বলার হিসাবে সেই ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলাম কিন্তু ১০ দিনের মাথায় আমার কোচ মতিউর রহমান মতি স্যার আমাকে স্প্রিং বল করার পরামর্শ দেন। এবং আমি তার পরামর্শ ও গ্রহণ করে একজন স্পিনার হয়ে গেলাম। এবং সেই সময় বিকেএসপির স্পিন কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন স্যার।

১৩ দিনের দিন শেষ দিন আজ আমাদের ক্যাম্পের প্র্যাক্টিস এবং এদিন সালাউদ্দিন স্যার নিজে সবার পরীক্ষা নিবেন সাথে ফাহিম স্যার ও ছিলেন। সেদিন আমি ভিজা জার্সি এবং ট্রাউজার পরে প্র্যাকটিসে এসেছি। কারণ তার আগের দিন প্র্যাকটিস করেছিলাম যার কারণে সকল জার্সি প্যান্ট ময়লা হয়ে গিয়েছিল আমি গিয়ে রাতে ধুয়ে দিয়েছিলাম সকাল পর্যন্ত তা শুকায়নি। ওই সময় সবার জার্সি ময়লা ছিল শুধু আমারটাই পরিষ্কার ছিল মনে হচ্ছিল আবর্জনার মধ্যে একটি হীরা ঝলমল করছে। এই কথাটি আমি বলিনি সালাউদ্দিন স্যার বলেছিলেন।

এবং এই কথাটি আজও আমার স্মৃতিতে বিচরণ হয়ে আছে। সেই দিন আমার স্প্রিং বলের ঘুর্নিতে সৌম্য সরকারকে নাস্তানাবুদ করেছিলাম যার কারণে সৌম্য সরকার সেই ক্যাম্প থেকে বাদ হয়ে পড়েছিল। কারণ সে আমার একটি বল ও ব্যাটে টাচ করতে পারেনি। এবং সেদিন সালাউদ্দিন স্যার এবং ফাহিম স্যার আমাকে ডেকে বলেছিলেন তোমাকে নিজের যত্ন নিজেকে নিতে হবে অনেক বড় হবা তুমি।

"আজ দেখুন সেই সৌম্য সরকার কোথায় আর আমি কোথায়"

সৌম্য সরকার তার পরের বছর ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।

image.pngsource

আমার জীবনের সবথেকে খারাপ মুহূর্ত:

আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম তখন আমি কল্পনাও করিনি আজ আমি এই অবস্থানে থাকবো! আমি যখন দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়েছিলাম তখন আমাদের বিকেএসপির ডিজি স্যার এসে নিজে আমাকে বলেছিলেন তুমি কিভাবে বিকেএসপি তে থাকো আমি দেখে নিব।

এবং সেই সময় আমাকে নিয়ে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়, তখন আমার কোর্স ছিলেন আখিনুরজ্জামান রুসু তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কি করবো এই ছেলেকে। তখন আমার স্যার একটি কথাই বলেছিলেন সে অনেক ভালো প্লেয়ার তাকে আমার দরকার। তার এই একটি কথার কারণে কেউ আমাকে বিকেএসপি থেকে বের করতে পারেনি কিন্তু আপত্তি সেখানেই হয়েছে আমার!

স্যার আমাকে খুব আদর করত আমাকে আব্বু বলে ডাকত। সবাই আমাকে স্যারের ছেলে বলে খেপাতো ইভেন্ট অন্যান্য কোচ রাও। আমি যখন অসুস্থ ছিলাম ঠিকমত খেলতে পারতাম না একদিন প্র্যাকটিসে গেলে এক সপ্তাহ যেতে পারতাম না কারণ আমার সমস্যা হয়ে যেত আর তখন অন্যান্য কোচরা স্যারকে খুব কুরুচি কথা বলতো। স্যার তো আমাকে কখনোই বলেনি কিন্তু আমি বুঝতে পারতাম আমার পারফরমেন্স স্যারকে হতাশ করছে।

তখন আমি সবথেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছিলাম যতটা না কষ্ট পেয়েছি আমার দুর্ঘটনাতে।

একদিন আমি এত ভালো পারফরমেন্স করেছি একটি ম্যাচে যা অকল্পনীয় আমার জন্য ছিল। একটি ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৩ উইকেট নিয়েছি মাত্র ৭ রান খরচ করেছি। সেদিন আমার স্যারের উল্লাস কে দেখে। কিন্তু তারপরের দিন সকাল বেলার প্র্যাকটিসে আমি আবার ইনজুরি হয়ে পড়ি। আবার আমাকে দীর্ঘ ছয় মাস মেডিকেলে কাটাতে হয় এদিকে স্যারকে নিয়ে নানানজন নানান মন্তব্য করে যাচ্ছে। আমার থেকে ঘুষ খেয়েছে টাকা নিয়েছে তাই আমাকে বের করতেছে না এরকম অবস্থায় অন্য কোন ছাত্র হলে তাকে বের করে দেওয়া হতো আরো নানান বাজে বাজে কথা।

তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়ি একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি নিজে নিজেই আমি আর বিকেএসপিতে থাকবো না। আমি চলে যাব আমার জন্য স্যারকে আমি কষ্ট দিতে পারবো না স্যার আমার বাবার মত।

উন্নত চিকিৎসার নামে একটি দরখাস্ত লিখি ৩০ দিনের ছুটি চেয়ে। এবং আমার সেই দরখাস্তটি মঞ্জুর করা হয়। সেই যে আমি বাসায় এসেছি আর বিকেএসপিতে ফিরে যাইনি। স্যার আমাকে বহুবার কল করেছে কিন্তু আমি যাইনি কারণ আমার শরীর আমার সাথ দিচ্ছিল না। আমি বুঝে গেছি আমার এই শরীরে আর ক্রিকেট খেলা হবে না।

এখনো আমি ডান হাত দিয়ে জোরে থ্রো করতে পারিনা খুব জোরে দৌড়াতে পারি না পা দিয়ে।

3. সেই স্মৃতিগুলির সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, আপনি কীভাবে সেই পরিস্থিতিগুলি মোকাবেলা করবেন?

আসলে আমার সেই স্মৃতিগুলোর অভিজ্ঞতা কিভাবে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। সেই স্মৃতিগুলোর কথা এখনো আমার মনে পড়লে আমার শরীরের প্রত্যেকটা পশম দাঁড়িয়ে যায়, ভয়ে। সেই সময়টা খুব কঠিন অবস্থায় পার করেছি আমি যা আমি বলে বা লিখে কোন ভাবেই আমি আপনাদেরকে বুঝাতে পারব না।

একেকটা সেকেন্ড আমার এক একটা বছরের মতো কেটেছে যা কল্পনারও অতীত। হয়তোবা আপনারা আমার উপর উক্তি লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারছেন কি অবস্থা দিয়ে আমি পার হয়ে এসেছি।

আজ হয়তো বা আপনারা আমার সাথে এভাবে কথা বলার সুযোগ পেতেন না যদি না সেই সময় আমি একটু নিজেকে গোছালোভাবে রাখতাম। হয়তোবা টিভির পর্দায় আমাকে দেখতেন বা চিনতেন।

এর থেকে আর বেশি কিছু আমি বলতে পারছি না ক্ষমা করবেন।

4. আপনি এই পরিস্থিতি থেকে কোন পাঠ শিখেছেন?

আমাকে এই পরিস্থিতি গুলো এত শিক্ষা দিয়েছে, এত শিক্ষা দিয়েছে যা কল্পনার ও অতীত!

"সব থেকে বড় শিক্ষা পেয়েছি, অহংকার পতনের মূল তার বাস্তব প্রমাণ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে"(অজানা )

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সবাইকে একটি অনুরোধ করতে চাই;

"যে যেখানে আছেন যে অবস্থায় আছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন, আর মনের ভেতর থেকে সকল অহংকার বের করে ফেলুন। নয়তো বা পতন নিশ্চিত আমার মত"(অজানা )

আমি এই পরিস্থিতি থেকে আরো শিক্ষা পেয়েছি, যে গুরুজনদের কখনো অসম্মান করা যাবে না, তাদের বদ দোয়া নেওয়া যাবে না, আমি যত বড়ই হই না কেন তাদের কাছে আমি সেই ছোট্ট রাসেল। নিজেকে কখনোই গুরুজনদের কাছে বড় প্রমাণ করতে যাবেন না কারণ আপনাকে বড় বানিয়েছেন এই গুরুজনরাই।

এই কথার প্রেক্ষিতে একটি উদাহরণস্বরূপ বলতে চাই, আপনারা যে সৌম্য সরকারকে চেনেন এত বড় একজন প্লেয়ার এই প্লেয়ারকে গড়ে তুলেছেন আমার কোচ আখিনুরজ্জামান রুশু স্যার এবং সৌম্য সরকারকে কজন চিনে আর আখিনুরজ্জামান স্যারকে কজন চিনে ভাবুন তো একবার!

এখন যদি সৌম্য সরকার এত বড় একজন সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়ার পর সেই কোচের সাথে বেয়াদবি করে যে তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে তখন কি সৃষ্টিকর্তা সইবে তার এই ব্যবহার।

আশা করি আমার এই উদাহরণ দেওয়ার উদ্দেশ্যটা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এবং তার সাথে সাথে আমার আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি।

আমার জীবনের স্মৃতি থেকে যেসব শিক্ষা আমি পেয়েছি তা অমূল্যবান কারণ জীবনের অনেক খানি পথ এখনো বাকি, চলতে হবে যেতে হবে বহুদূর। পেছনের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রইলে তো আর জীবন চলবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত পিছনে কি হয়েছে তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের পথগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেওয়া।

আমি আমার তিনজন বন্ধুকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি: @rashidaakter @sabus @rubina203

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

Sort:  

সত্যি আপনার পোস্টে অনেক শিক্ষনীয় ঘটনা রয়েছে। আপনার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আপনাকে অনেক কিছু থেকে বঞ্ছিত করেছে। যাইহোক আপনি হতাশ না হয়ে এখনো জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাই আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও এই প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করি।

আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব আমার ভাষা নেই আপনার কমেন্টটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে আর কিছু বলার নাই। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি আপনার শুভ কামনা করছি।

Congratulations for the deserving award.

 10 months ago 

আপনি এত সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, সেজন্য আপনাকে অভিনন্দন! সেই সাথে আমাকে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনি আপনার জীবনের অনেক মর্মান্তিক একটি ঘটনা, আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আপনি সেদিন বেঁচে গেছেন এটি আপনার সৌভাগ্য বলা যেতে পারে।

আমিও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব এবং সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব! ভালো থাকবেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য।

আমি আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতার সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারবেন।

আপনার জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

Loading...
 10 months ago 

প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

এরপরে আমি যেটা লক্ষ্য করলাম আপনি প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর আপনার জায়গা থেকে সঠিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন,,, জীবনে অতীতকে আঁকড়ে ধরে রাখলে,,, ভবিষ্যৎ অনেকটা অন্ধকার। তাই ভবিষ্যতকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে হবে।

জীবন থেকে যে জিনিসগুলো চলে গেছে,,, সেটা নিয়ে কখনো হতাশায় ভোগাটা উচিত নয়। কারণ হতাশা মানুষের জীবনটাকে নষ্ট করে দেয়। চেষ্টা করা উচিত হয়তোবা ভালো কিছু হবে ইনশাল্লাহ।

অসংখ্য ধন্যবাদ,,, আপনার জীবন থেকে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামতটি শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

আসলে পরিস্থিতি আমাদেরকে অনেক কিছু শিখায়। আপনার একটা ভুলের কারনে আপনার অনেক বড় একটা স্বপ্ন ভেঙে যায় যা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে আল্লাহ আপনার এই দুঃখ লাগাব করার তৌফিক দান করুক।

 10 months ago 

আসলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া বেদনার কথাটি তুলে ধরেছেন।বিকেএসপিতে আপনার যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল তা যে আপনার এই গাফিলতির কারণে নষ্ট হয়েছে এটা আপনি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। এ কথাটি সত্যি প্রশংসার যোগ্য।

আসলে ভাগ্যের অতিরিক্ত কেউ কিছু পায় না। হয়তো আপনার ভাগ্য ওখানে না থেকে অন্য কোথাও আরো ভালো আছে । সেজন্য আপনি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন। খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

এ প্রতিযোগিতা আপনার সফলতা কামনা করছি। ভালো থাকবেন।

আসসালামু আলাইকুম,
আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।

ইনশাআল্লাহ আল্লাহর উপর ভরসা আছে নিশ্চয়ই একদিন তিনি আমাকে সফলতা দিবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 62435.23
ETH 3369.42
USDT 1.00
SBD 2.45