Betterlife : The Diary Game || (23-September-2023)
Canva |
---|
রাতের বেলা মোটরসাইকেল নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরে বেড়ানো অন্য রকম একটি মজা। লাখো পর্যটনের কক্সবাজার রাতের বেলা হয়ে ওঠে জনশূন্য হয়ে। আর এই সময়টাই কক্সবাজারে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে কেমন মজা অনুভব করা যায় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
রাত বাজে প্রায় দুইটা আমরা সাতজন বেরিয়েছি তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরার উদ্দেশ্যে। আমি যেই মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলাম সেখানে আমরা তিনজন উঠেছি, আমি আমার ছোট ভাই জনি এবং ড্রাইভার আমার বন্ধু রাশেদুল্লাহ। অন্য এক মোটরসাইকেলে ছিল ছোট ভাই মামুন এবং হৃদয়, তিন নাম্বার মোটরসাইকেলে ছিল বন্ধু রুবেল ও ছোট ভাই সরোয়ার।
আমরা প্রথমে সুগন্ধা বেচে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে গল্পগুজব করেছি। সেখান থেকে চা খাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি আবার কলাতলী বিচে। সেখানে গরুর দুধের চাওয়া পাওয়া যায় তাই আমরা গরুর দুধের চা খাওয়ার জন্য চলে গেলাম কলাতলী বীচে আমাদের পরিচিত এক চায়ের দোকানে।
সেখানে গিয়ে চা খাওয়ার আগেই আমার বন্ধু রাশেদুল্লাহ এবং ছোট ভাই মামুনের সাথে একটি সেলফি তুললাম। চা খাওয়ার পরেই ছোট ভাই জনি বললো এখন আমরা হিমছড়ি যাব, আমি বললাম এত রাতে যাওয়াটা ঠিক হবে না পুলিশ ঝামেলা করতে পারে। ছোট ভাই বলল না ভাই আমার যেতে খুব ইচ্ছে করছে এখন, তো আর কি করার হিমছড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সামনে কিছু দূর যেতে না যেতেই পুলিশ চেক পোস্টে আমাদের গতিরোধ করল এবং আমরা দাঁড়াতেই আমাদেরকে চার পাঁচ জন পুলিশ এসে ঘিরে ধরল। বলল আপনারা এত রাতে কোথায় যাচ্ছেন, আমরা বললাম এইতো ভাই একটু সামনে ঘুরতে যাব।
আসলে হিমছড়ি থেকে কক্সবাজারে রাতের বেলায় অনেক মাদক পাচার হয় তাই তারা আমাদেরকে সন্দেহ করে বসলো আমরা মাদক পাচারকারী কিনা। খুব ঝামেলা করছিল এবং একটি সময় তো আমাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার অবস্থা। আমাদের বড় ভাই কক্সবাজার থানার ওসি তাকে ফোন লাগিয়ে দিলাম এবং অন্য পুলিশদের সাথে কথা বলিয়ে দিলাম তাই তারা আমাদেরকে ছেড়ে দিল আর আমাদের বড় ভাই বলল এখন হিমছরে যাওয়ার দরকার নেই ওখানে কিছু ঝামেলা হচ্ছে। আমরা তারা দেশ মেনে আবার চলে আসলাম।
এবার আর কোথাও না গিয়ে সরাসরি বাসায় চলে এসেছি। বাসায় এসে আমরা লুডু খেলতে বসে পড়েছি। আমরা জোড়ায় জোড়ায় লুডু খেলতে বসেছি ৫০ টাকা করে যে হারবে সে ৫০ টাকা দিবে আমার পার্টনার ছিল মামু এবং অন্য বিপক্ষ দল ছিল রুবেল এবং রাশেদ এবং রুবেল বলছে আমরা নাকি তাদের সাথে পারবো না হেরে যাবো। তখন আমি তাকে বললাম আমি মুখে নয় কাজে প্রমাণ করব কি বল ছোট ভাই মামুন, মামুন বলল ঠিক বলেছেন ভাই।
অতঃপর খেলতে খেলতে ম্যাচটা খুব উত্তেজনা ময় হয়ে উঠেছে সর্বশেষ আমরাই জিতেছি। আমার বন্ধু রাশেদ ও অনেক কিছু বলেছিল আমরা পারবো না, তাই তার হারার মুখখানা ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। এখন পালা তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নেওয়ার কিন্তু তারা দিচ্ছে না বলছে আবারো খেলা হবে এবার ৬০ টাকা করে। বললাম ঠিক আছে আবারো খেলতে বসলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আবারও তা হেরে গেল। এবার তাদের কাছে টাকা চাইলাম ১১০ টাকা তারা বলল জুয়া খেলা হারাম তাই জুয়ার টাকা দেব না। এটা কি তারা ঠিক করেছে আপনারাই বলুন এটা তো জুয়া নয় সেই টাকা দিয়ে আমরা সবাই খাবো বললাম তাও দিল না।
অতঃপর ভোর পাঁচটা বাজে তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি কি আর করার ঘুমোতে তো হবে একটু তাই শুয়ে পড়লাম ঘুমানোর জন্য।
ভাই রাতটা মিস করতেছি বেশি, ভাই -বন্ধু মিলে যে মজাটা পাইছিলাম অসাধারণ ছিল🤜🤛❤️
রাতের বেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরা অন্যরকম এক আনন্দ পাওয়া যায় আর বিশেষ করে যদি কোন দর্শনীয় স্থান হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই।।।
আপনারা ঘুরে এসে বাসায় লুডু খেলতে বসেন আর সেখানে মজা করার জন্য বাজি ধরে খেলেন সেটা অনেক আনন্দের ছিল।।
ভাই প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই একটি সুন্দর দিনের কার্যবলি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য। আমি নিজে মোটরসাইকেল চালাতে পারি না তাই মাঝে মাঝে বন্ধুদের বাইকের পেছনে বসে আপনার মত অনেক আড্ডা দিয়েছি তবে রাতের বেলা বাইক চালানো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অনেক সময় পুলিশের হয়রানি তে পড়তে হয়।
এত রাতে তো রাস্তাঘাটে ভালো মানুষ পাওয়া যায় না। তাই হয়তো বা পুলিশ আপনাদের ধরেছে। তবে যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা হয়নি। এরপর বাসায় এসে লুডু খেলতে বসেছেন। এত রাতে কেউ লুডু খেলে ভাবতেই অবাক লাগতেছে। ভোর পাঁচটায় ঘুমিয়েছেন,,, সকাল তো হয়ে গেল আর ঘুমিয়েছেন কখন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।