বাঘ মামা ও পন্ডিত শিয়ালের বন্ধুত্ব কিভাবে হলো...?
![]() |
---|
শিয়ালটি অনেকদিন ধরে না খেতে পেয়ে প্রায় মড়ে মড়ে অবস্থা! সে একদিন বনের ভিতর হাঁটছিল এবং মনে মনে কথা বলছিল?
![]() |
---|
শিয়াল বলে: আমি অনেকদিন না খেতে পেরে আমার শরীরটা অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছে এই শরীরে আমি শিকার কি করে করব, এমনিতে ও এখন শিকার খুব সহজে করা যায় না! বন্য সব প্রাণীরা অনেক চালাক হয়ে গিয়েছে তাদের ধরতে অনেক কষ্ট হয়। |
---|
এসব কথাগুলো মনে মনে বলতে বলতে শিয়ালটি জঙ্গলের মধ্যে হাঁটছিল। হাঁটতে হাঁটতে কিছু দূর যাওয়ার পরেই তার নাকে রুটি মাংসের গন্ধ পেল!
![]() |
---|
রুটি মাংসের গন্ধ শুকতে শুকতে শিয়াল মামাটি একটি বাঁশ ঝাড়ের কাছে গিয়ে পৌঁছালো এবং বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে কিছু রুটি মাংস দেখতে পেল, এবং সেই খাবারের বেশ কিছুটা দূরে কিছু লোকজন দেখতে পেল যারা কাঠুরিয়া জঙ্গলে এসেছে কাঠ কাটার জন্য তাদেরই খাবার ছিল এই রুটি মাংসগুলো।
![]() |
---|
এখন শিয়াল মামাটি চিন্তায় পড়ে গেল সে কি করবে! তারও তো অনেক খিদে পেয়েছে, খিদের জ্বালায় প্রায় জান যায় যায় অবস্থা! সে আর বেশি চিন্তা-ভাবনা না করে ঢুকে পড়লেই বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে আর সাভার করে ফেলল রুটি মাংসগুলো।
খাবারটা শেষ করে শিয়াল বলতে লাগলো?
শিয়াল বলছে: আহা! কি মজাই না লাগলো অনেকদিন পরে রুটি মাংস খেলাম, পেটটা একদম ভরে গেলো এখন তো আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না মন তো চাইছে এখানেই শুয়ে পড়ি। না, না বাপু এখানে শোয়া যাবেনা কাঠুরিয়ারা আসলে আমাকে আস্ত রাখবে না! |
---|
এই বলেই শিয়ালটি বাঁশ ঝাড় থেকে বের হতে লাগলো কিন্তু শিয়ালটি এত পরিমানে খাবার খেয়েছে তার পেটটা ফুলে ডুম হয়ে গিয়েছে! এই ডুম পেট নিয়ে শিয়ালটি বাঁশ ঝাড় থেকে কিছুতেই বেরোতে পারছে না! তার পেটটা এতটাই বড় হয়ে গিয়েছে বাঁশ ঝাড়ের ফাঁকা দিয়ে বের হচ্ছে না!
![]() |
---|
এখন শিয়ালটি কান্না করতে শুরু করলো আর মনে মনে ভাবছে!
শিয়ালটি বলছে: ও আল্লাহ গো খিদার জ্বালা সইতে না পেরে সব খাবার খাইয়া ফালাইছি! এখন আমার পেটটা তো বেলুনের মত ফুইলা গেছে এই বাঁশ ঝাড় থেকে বের হতেই তো পারছি না একটু পরেই তো কাঠুরিয়ার খাবারের জন্য চলে আসবে এখানে,,, তখন আমার কি হবে হু হু হু করে কাঁদতে লাগলো! |
---|
আর সেই পথ ধরে তখনই একটি বাঘ 🐅 মামা যাচ্ছিল। এবং বাঘ মামা শিয়ালের কান্না শুনতে পেল এবং দেখল সে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে আছে তাই বাঘ মামা জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে শিয়াল 🦊?
শিয়ালটি তখন বলল, বাঘ মামা আমি তো অনেকদিন অনাহারে ছিলাম এই পথ দিয়ে যাওয়ার পথে কিছু রুটি মাংস দেখতে পেয়েছি আর খিদার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে সব খেয়ে ফেলেছি,,, এখন আমার পেটটা এত বড় হয়ে গিয়েছে এই বাঁশ ঝাড় থেকে বের হতে পারছি না? তুমি আমাকে একটু সাহায্য কর!
![]() |
---|
বাঘ মামাটি এক মিনিট চিন্তা করল এবং মনে মনে ভাবছিল এই শিয়াল ব্যাটাকে আজকে কাঠুরিয়াদের হাতে পিটুনি খাওয়াতে হবে,,, পেট ভরে খাবার তোর, ছুটাচ্ছি আমি, দাঁড়া শিয়াল!
বাঘ মামা এবার শিয়ালকে বলল, এত চিন্তা করছ কেন বেশি খেয়ে ফেলেছ তাই পেট বড় হয়ে গিয়েছে! কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো খাবার যখন হজম হয়ে যাবে তখন তো তুমি খুব আরাম করে বের হতে পারবা!
শিয়ালটি তখন বলল, ঠিক বলছো তো বাঘ মামা এই কথাটা তো ভাবি নাই!
অতঃপর শিয়ালটি বাস ঝাড়ের মধ্যেই অপেক্ষা করতে লাগল খাবারগুলো হজম হওয়ার জন্য!
এরই মধ্যে কাঠুরিয়াদের খাবারের সময় হয়ে গিয়েছে এবং সেজন্য তারা বাস ঝাড়ের কাছে চলে এসেছে খাবার খাওয়ার জন্য!
![]() |
---|
এসেই বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে দেখতে পেল শিয়ালটিকে এবং তারা বুঝতেও পারল তাদের খাবারগুলো এই শিয়ালটি সাভার করে দিয়েছে! তাই তাকে ইচ্ছেমতো ধোলাই দিয়েছে কাঠুরিয়ারা।
ধোলাই খেয়ে শিয়াল ব্যাটা যাচ্ছে আর ব্যথায় কাতরাচ্ছে এবং মনে মনে বলছে;
শিয়াল বলছে: বাঘের বাচ্চা বাঘ তুই আমাকে আজ কাঠুরিয়ারদের হাতে মার খাওয়াইলি আমি তোকে ছাড়বো না তোকেও আমি পেদানি খাওয়াবো একটু সবুর ধর! |
---|
এবং শিয়াল, বাঘ মামা টিকে নজরদারিতে রাখল সে কোথায় যায় কি করে সবকিছু দেখে নিল এবং সে দেখতে পেল সে প্রতিদিন গ্রামের ভিতরে গিয়ে হাঁস মুরগি শিকার করে খায়।
![]() |
---|
এবং পরদিন বাঘ মামা যখন গ্রামে হাঁস মুরগি স্বীকার করতে যাচ্ছিল বাঘ মামার পিছে পিছে শিয়াল আসতেছিল তা বাঘ মামা টেরই পায়নি এবং যখন বাঘ মামা গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে তখন শিয়ালটি গ্রামের বাইরে দাঁড়িয়ে হু হু করে ডাকতে শুরু করে!
অতঃপর গ্রামের মানুষ শিয়াল এসেছে ভেবে ঘর থেকে লাঠি সোটা নিয়ে বের হয় এসে তো দেখে বাঘ মামাকে এবং বাঘ মামাকে তখন গ্রামের বাসিন্দারা ধাওয়া করে ধরে আচ্ছা তারে গণপিটুনি দেয়।
![]() |
---|
এরপর বাঘ মামা গণপিটুনি খেয়ে ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে জঙ্গলের ভেতরে যায় এবং সেখানে শেয়াল এসে হাজির হয়।
বাঘ মামা বলে শিয়াল তুই আজ আমাকে গণপিটুনি খাওয়াইলি তোকে আমি সুযোগ পেলে ছাড়বো না।
শিয়াল বলে তুমিও আমাকে একদিন কাঠুরিয়াদের হাতে পেদানি খাওয়াইছো আজ আমি তোমারে গ্রামবাসীদের হাতে গণধোলাই খাওয়াইলাম সমানে সমান এবার।
এখন চলো আমরা দুজনে বন্ধুত্ব করি শত্রুতা বাদ দিয়ে কেননা এই জঙ্গলে আমাদেরকেই থাকতে হবে আর আমরা যদি মিলেমিশে না থাকি তাহলে এরকম হতেই থাকবে।
![]() |
---|
এবং তখন বাঘ মামা মনে মনে ভাবতে লাগলো শিয়াল অনেক পন্ডিত ওর সাথে শত্রুতামি করা যাবে না যাক মিলেমিশেই থাকি!
বাঘ কিছুক্ষণ চিন্তা করে শিয়ালকে বলল ঠিক বলছো শিয়াল আমরাই তো জঙ্গলে থাকবো নিজেরা নিজেরা মারামারি করবো কেনো? চলো এবার আমরা মিলেমিশে থাকবো।
এই গল্পটি আজ আমি এখানেই শেষ করছি আর লিখছি না।
এই গল্পটি লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমি ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখে। ভিডিওটি দেখে আমি আমার মত করে এই গল্পটি সাজানোর চেষ্টা করেছি। মূল গল্পের ভিডিও লিংকটি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আমি এই গল্পটি লেখা শেষ করে plagiarism চেক করলাম এই টুলস এর মাধ্যমেএবং সেখানে জিরো plagiarism পেলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
এবং AI content চেক করলাম এই টুলস এর মাধ্যমে যেখানে 100% human content দেখিয়েছে।
আমি চেষ্টা করি সর্বদা সত্যি কথা বলার, সত্যি কথা বলে যদি আমাকে ফাঁসিতেও চড়তে হয় তাতে আমার কোন আফসোস নেই।
পোষ্টের মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এই পোস্টে ব্যবহারকিত সকল ছবিগুলো ক্যানভা মোবাইল অ্যাপস দিয়ে এডিট করা হয়েছে। |
---|
অনেক সুন্দর একটা গল্প ছিল আর শিক্ষনীয় বটে। খুব ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা গল্প বলার জন্য।
জি ভাই এখানে কিছু শিক্ষনীয় বিষয়ের ছিল আমরা যারা একই জায়গায় বাস করি তারা একজন আরেকজনের পিছনে যদি লেগে থাকে তাহলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবো না।
আপনি কি অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য
গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক দিন পরে এই রকম গল্প পড়েছি। খুব সুন্দর হয়েছে গল্পের ছবি গুলো আর লেখার উপস্থাপনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য
ছোটকালের শিয়াল ও বাঘের অসংখ্য গল্প পড়েছি। ঠাকুরমার ঝুলি শিয়াল ও বাঘের গল্প আমার অনেক পছন্দ ছিল আর ছোটকালের ঠাকুরমার ঝুলি শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। কিন্তু আপনার গল্পটা একটু ভিন্ন ধরনের খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই ছোটবেলায় আমরা শিয়ালবাগের ঠাকুমার ঝুলির এই ধরনের অনেক গল্প শুনতাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য এবং শৈশবের স্মৃতি গুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
বাহ, খুব সুন্দর ভাবে আপনি গল্পটি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। পুরনো গল্পটি নতুন ভাবে পেয়ে ছোটও বেলার স্মৃতি মনে পরে গেল।খুবি শিক্ষণীয় একটি গল্প।এইসব গল্প গুলো নতুন প্রজন্মের সামনে আমাদের অনেক বেশি উপস্থাপন করা প্রয়োজন এতে করে তাদের মধ্যে বিবেক, মূল্যবোধ এবং সুবোধ জাগ্রত হবে যা ভবিষ্যতে তাদের সাহায্য করবে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল কেননা এই গল্পগুলো আমরা ছোটবেলায় অনেক পড়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই গল্পটির মাধ্যমে আপনি আমাদের ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।