আমিও একদিন হিরো আলম ছিলাম...!
কেন জানি না আনন্দময় সময়গুলো খুব দ্রুতই কেটে যায়। আর একাকিত্ব সময় গুলো যেন থমকে থাকে!
হ্যালো আমার প্রাণপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। আমি মোহাম্মদ রাসেল আজ আপনাদের সামনে আমার ফেলে আসা কিছু স্মৃতি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
![]() |
---|
পৃথিবীতে কারো বাবা না থাকলে সে সন্তান কখনোই এতিম হয় না, যদি কারো মা না থাকে এই স্বার্থপর পৃথিবীতে তার কোথাও ঠাঁই হয় না। তো বন্ধুরা এই কথার প্রেক্ষিতে আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন করতে চাই, আমার তো দুজনের মধ্যে একজনও নেই, আমার... কি.... অবস্থা?
বাবা তো চলে গিয়েছে যখন আমার মাত্র দেড় বছর। মা কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে সেও আবার অভিমান করে ওই..... যে দূর আকাশে হারিয়ে গেছে!
মাকে আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, মা.... অভিমান করে তো চলে গেলে কিন্তু তোমার এই হতবাকা ছেলেকে কার হাতে দিয়ে গেলে?
আমার কথায় কষ্ট পেওনা মা এটা তো অভিমান করে বলেছি, তবে এই ভিডিওটি মাগো তোমার জন্যই... বানিয়েছি। তুমি যে কপালে চুমু দিয়েছো সে কপাল কখনোই খারাপ হতে পারে না ইনশাআল্লাহ ভালো দিন আসবেই। তুমি উপর থেকে দেখে নিও মাগো এক দিনের পুরো শহরেই তোমার ছেলের নামেই চর্চা হবে।
আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন আমি একটি সময় হিরো আলমের থেকেও কম ছিলাম না আমার অভিনয়ের কাছে হিরো আলম ও হার মানতে বাধ্য হবে। Vigo নামে একটি অ্যাপস ছিল যে অ্যাপসটি হুবহু tiktok এর মত ছিল সেখানে আমি ভালই একটিভ ছিলাম। এবং আমার মোটামুটি ফলোয়ার ছিল ও কলকাতায় আমার একটা ভালো পরিচিতি ও ছিল। তাই আমি যদি কখনো লাইভে আসতাম আমার লাইভে কলকাতার ২০ থেকে ২৫ জন মেয়ে সব সময় আসতো এর মধ্যে অনেকেই আমার ক্রাশ ছিলো ।যদিও বা আমার চেহারাটা তেমন একটা ভালো না ওই যে হিরো আলম এর মত।
![]() |
---|
যাই হোক যখন আমি ভিডিও প্লাটফর্মগুলোতে কাজ করতাম তখনকার অনেক স্মৃতি আছে যা আসলে কখনো বোলার মতো নয় তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা এই ভিডিও তৈরি করার জন্য আমার ক্যামেরাম্যান ছিলেন আমার প্রাণপ্রিয় ভাই সৈয়দ রেজওয়ান সাহা যার সাথে ইতিমধ্যে আপনারা পরিচিত হয়েছিলেন ওই যে আমার পাকিস্তানের বন্ধু বলেন ভাই বলেন যাই বলেন ওই একজ।সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করছিলাম এবং আপনাদের সাথেও একটু শেয়ার করে নিচ্ছি।
এ হলো আমার সেই ভাই যাকে আমি কতটা ভালোবাসি আপনাদেরকে ভাষায় বা লিখে বলে বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না এতটাই ভালবাসি। আমার মনে হয় আমি তাকে যতটাই ভালোবাসি ততটাই কম হয়ে যায়। আমার এই ভাইটা আমার একটু খুশির জন্য একটু আনন্দের জন্য সপ্তাহে একদিন ছুটি পেতো সেই একটা দিন আমাকে কোথায় কোথায় নিয়ে যেত ভিডিও করার জন্য। আর কত কষ্ট না করতো ভাই, কারণ একটি ভিডিও করতে অনেকটাই সময় লাগতো কারণ আমি একটু লাজুক টাইপের ছিলাম লোকজন দেখলে ভিডিও করতে পারতাম না বন্ধ করে দিতাম আবার শুরু করতাম। তাই আমার বেশ অনেক সময় লেগেছে একটি ভিডিও করতে।
![]() |
---|
![]() |
---|
লুলু নামের একটি শপিংমল আছে তার একটি নতুন শাখা উদ্বোধন হয়েছিল এবং সেখানে আমরা গিয়েছিলাম শপিং মল টি অন্যান্য মার্কেটে তুলনায় অনেক বড় আকারে করা হয়েছিল। তাই আমার ভাই বলল চলো ওখানে আজ ভিডিও করতে যাব। তাই সেই শপিংমলে ভিডিও করতে গেলাম। এই সেই দুই ভিডিও আরো কয়েকটা ভিডিও ছিল যেগুলো আমাদেরকে ডিলেট করতে হয়েছে তখন ক্যামেরা থেকে। কারণ পুলিশের ঝামেলায় পড়েছিলাম পুলিশ আমাদেরকে শপিংমলের ভিতর ভিডিও করতে বারণ করে। কারণ এতে অন্য কারো প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে, তার কথা শুনে আমরা তখনই সেই ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছিলাম। আমার আনন্দের জন্য তো অন্য কারো প্রাইভেসি নষ্ট করে দিতে পারি না আমি।
![]() |
---|
তার পরের সপ্তাহে আমি ও আমার ভাই ওমানের একটি বেশ নামিদামি পার্ক এসেছি ভিডিও করতে এই মুহূর্তে সেই পার্কের নামটি আমার মনে নেই তাই আপনাদেরকে নামটি বলতে পারলাম না এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।
বিশ্বাস করেন ঐ পার্কে ভিডিও করতে আমার এত কষ্ট হয়েছে যা বলার ভাষা নেই। সেই পার্কে এমন অনেক লোক গিয়েছিল যারা আমাকে এই ভিডিওর মাধ্যমে মোটামুটি চিনে তাদের সাথে কথা বলতে আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এবং তারা আমার চারপাশ ঘিরে আমার সাথে ছবি তুলতে শুরু করে এবং আমি তো লজ্জায় মনে করেন দিশেহারা।
কোন রকমে দু-একটা ভিডিও করতে পেরেছিলাম ঐদিন। তাছাড়া ওই দেশি লোকজন আমার ভিডিও শুটিং দেখে বারবার তাকাচ্ছিল ছেলে-মেয়ে সবাই। আমি লজ্জায় পড়ে যাই তখন তাতেও আমার বেশ কষ্ট হয়ে গিয়েছিল ভিডিওগুলো করতে। এবং সেই কারণে ভালো ভিডিও করতে পারিনি সেদিন।
যাইহোক এতক্ষণে আপনারা বুঝেই গেছেন আমি যে হিরো আলমের থেকে কোন অংশে কম নয়। ও আচ্ছা, অনেকে হয়তো বা আমাদের হিরো আলমকে নাও চিনতে পারে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি হিরো আলম কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের একজন সুপারস্টার কথাটা মাথায় রাখবেন কিন্তু। এর মানে কি? আমিও কিন্তু সুপারস্টার!
![]() |
---|
এটা কিন্তু আমি আপনাদেরকে শিক্ষামূলক পোস্ট এবং ভিডিও, দুইটাই দিলাম এর জন্য তো ভাই আমাকে একটি কমেন্ট অবশ্যই করবেন এটাতে আপনার কতটা উপকার হলো বা ভবিষ্যতে হবে।
মা মানে আমার কাছে হল স্বর্গীয় একটি বাগান যে বাগানে আমরা ছোটবেলা থেকে খেলে খেলে বেড়ে উঠি এবং ভালো-মন্দ বোঝার জ্ঞান অর্জন। তাইতো মহা কবিরা বলে গিয়েছেন একটি শিক্ষিত জাতি তৈরি করতে হলে প্রথমে শিক্ষিত মা তৈরি করতে হবে।
আর এই কথাটির সাথে আমি একমত পোষণ করি কারণ আপনি একটিবার চিন্তা করে দেখুন যে ঘরের মা শিক্ষিত থাকে সেই ঘরের সন্তানও কিন্তু শিক্ষিত হয়।
সৃষ্টিকর্তার পরে যদি নিঃস্বার্থভাবে আমাদেরকে ভালোবেসে থাকে সেটি হলো মা। পৃথিবীর সকল ভালবাসায় ক্ষার থাকতে পারে কিন্তু মায়ের ভালোবাসায় বিন্দু পরিমান ক্ষার নেই।
তাইতো আমি বলি সৃষ্টিকর্তা নিজে পৃথিবীতে আসতে পারে না বলে, আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে এক একজন মা দিয়েছে। যিনি কিনা আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার মতোই আগলে রাখার চেষ্টা করে।
আপনি একা একা একটি কথা চিন্তা করে দেখবেন সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মায়ের গর্বের মাধ্যমে। কিন্তু কেন? তিনি তো চাইলেই বাবার গর্বের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে পাঠাতে পারতেন।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করতে চাই। যাওয়ার আগে একটি কথা বলতে চাই আপনাদের ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকলে তাদেরকে একটু যত্ন নেবে তাদেরকে একটু ভালোবাসা দিবেন। মনে রাখবেন তাদেরকে আপনি ভালবাসলেন না যেনো আপনার সৃষ্টিকর্তা কে আপনি ভালবাসেন।
আল্লাহ হাফেজ।
আমার ইউটিউব চ্যানেল লিংক
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQmJ5w5Hm6bybeTvZi2681TDrs6x67hvLFZetZszqWAkG/PicsArt_07-17-02.52.07.gif)
আসলে আমরা আমাদের জীবনটাকে অনেকভাবেই অনেক রঙে রাঙিয়ে তুলতে চাই! কিন্তু কিছু সময় ভালো হয় আবার কিছু সময় খারাপ,,, যার কারণে জীবন থেকে হারিয়ে যায় অনেকগুলো সময়! যে সময় গুলোকে আমরা পরবর্তীতে মনে করে হয়তোবা একটু অনুশোচনা করতে পারি! কিন্তু সেই সময়টা আর ফিরে পাই না।
আপনি আপনার মাকে নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন! সেগুলো আসলে অসম্ভব সুন্দর মায়ের প্রতি আমাদের প্রত্যেকের ভালোবাসা থাকে,, থাকবে আমরা যতদিন এই পৃথিবীতে থাকবো! আপনার মা মারা গেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি! সৃষ্টিকর্তা যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
পুরনো স্মৃতিকে জুড়ে,,, আপনি যে পোস্ট আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন,,, আসলেই অসম্ভব সুন্দর! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। এবং আমার মায়ের জন্য দোয়া করার জন্য।
ইনশাআল্লাহ আমিও ভালো থাকবো এবং আপনিও ভালো থাকবেন।
ভাই আপনার জীবনের পুরোনো অনেক স্মৃতি আমাদের কাছে তুলে ধরছেন খুব সুন্দর ভাবে। আসলেই সত্য আল্লাহ সুবাহানাতালার পরে যদি কেউ আমাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে সেটা হল মা। যার মা নাই সেই বোঝে এই মা হারানোর কষ্ট এবং মনে হয় যে এই পৃথিবীটা অর্ধেক শূন্য।
আমি আমার অন্তর থেকে দোয়া করি আপনার মায়ের জন্য। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যেন আপনার মাকে বিনা হিসাবে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।( আমিন)
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই মা না থাকলে এই পৃথিবীটা শূন্য হয়ে যায়।