বীর যোদ্ধা (পার্ট - ২)
![]() |
---|
পালিয়ে যাচ্ছোনা তো জীবন থেকে,,? কি হয়েছে তোমার,,? আমাকে বলতে পারো।
প্রেমীকা ছেকা দিয়েছে,,? তুমি আবার সুইসাইড করার কথা ভাবছোনা তো,,?
আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম, আগে যত টুকু কথা হয়েছে ওর সাথে,-হায়,,হ্যালো,,কমন আছো,, ভালো আছি ব্যাস এইটুকুই,,। এর পরের কথার কখনই উত্তর পাইনি,, কিন্তু আজ,,! এমন সব বিষয়ের ভাবতে ভাবতে কখন যে হুঁ লিখে সেন্ড করে ফেলেছি বুজতে পারলাম না,,,,, এবার শুরু হয়ে গেল,, - এ মা তুমি কি বোকা গো,,এই ছোট্ট সামান্য কারনে কেউ সুইসাইড করে নাকি,,? বছরের ঋতু পরিবর্তনের মতই প্রেমীক প্রেমীকারা আসে আর যায়,, ছাড়ো ওসব কথা এখন,,আর হে,,, তুমি চাইলে আমাকে ভালোবাসতে পারো। আমি দেখতেও খুব একটা খারাপ না,,। কথা দিচ্ছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বেইমানি করবোনা,,।
![]() |
---|
এবার আমি বিথীকে সংক্ষেপে আমার সব সমস্যা গুলোর কথা বললাম,,।
সব শুনে বিথী যে কথা গুলো বলল, - তুমি একজন বীর যোদ্ধা,, তোমার লড়াইয়ের উপরে আরো তিন তিনটি প্রাণীর বাঁচা মরা নির্ভর করছে,,। তুমি নিশ্চিত যানবে,, তোমার জীবনে যখন ঘনো অন্ধকার, , ঠিক তার পরেই ভগবান তোমার জন্য একটি সুন্দর সকাল রচনা করে রেখেছেন,,।
আরে বোকা সৃষ্টিকর্তা এভাবেই আমাদের পরিক্ষা নেন, তোমাকে যে উত্তির্ন হতেই হবে,, ।
কথা শেষ হতেই বিথীর একটা সেলফি ভেসে উঠলো মবাইলের স্ক্রিনে,,। আমাকে ছুঁয়ে কথা দাও এ লড়াইটা তুমি লড়বে,,। আমার ভালবাসার দিব্বি, এই লড়াই এ তোমাকে জিততেই হবে,, ।
![]() |
---|
বিছানার উপর মোবাইলটা রাখা,,পর পর লেখাগুলো ফুটে উঠছে,,মনে মনে লেখাগুলো আউরে যাচ্ছি, কি উত্তর দেব কিছু ভেবে পাচ্ছিনা,,। হাতের আঙুল গুল যেন অসার হয়ে গেছে,,আবার - কিহল কিছু তো বল,, । অনেক কষ্টে টাইপ করলাম,, আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই, বিথী – হাঁ নিশ্চই,, বল কবে কোথায় দেখা করতে চাও,,?
আমি বললাম – কাল বাবুঘাটে নদীর ধারের পার্কে বিকেল পাঁচটায় ওকে,,।
বিথী বললো – তুমি ঠিক আসবে তো,,? তোমার নাম্বার টা দাও যদি - তোমার আসতে যদি দেরি হয় আমি তোমাকে কলদিবো,,। আমি কিন্তু তোমার অপেক্ষা করবো,, তুমি না আসা পর্যন্ত,,, মনে থাকে জেনো।
আমি বললাম – হাঁ ঠিক আসবো,, সঙ্গে ফোন নাম্বার টাও টাইপ - করে দিলাম,,।
বিথী বললো – তাহলে এখন ভালছেলের মত ফোন রেখে ঘুমিয়ে পরো,,কাল তাহলে আমাদের দেখা হচ্ছে,,।
Good night Sweet dreams.. বলে অফলাইন হয়েগেল,,। আমিও ফোন বন্ধ করলাম,, । ভাবতে লাগলাম,, কে এই বিথী,,?
তা সে যেই হোক,, ওর কয়েকটা কথায় জীবনের সিদ্ধান্তটাই পাল্টে গেল,,। থেমে যাওয়া গাড়ি যেন নতুন করে আবার গতি ফিরে পেলো,,। আর প্রীয়া সেও তো একটা মেয়ে,, কত তফাৎ দুজনের মধ্যে,,। কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম,,। সকালে দরজা ধাক্কায় ঘুমটা ভেঙে গেল, খুলে দেখি আমার এক বন্ধু সুব্রত,,। বলল আমার দাদা আমার জন্য একটা কাজ দেখেছে,, কিন্তু আমি চাই কাজটা তুই কর,, এই মুহুর্তে কাজটা তোর খুবই দরকার, কলকাতায় এক চায়ের গোডাউনে লেবার দেখাশুনার কাজ,,মাইনে সাত হাজার দেবে,, এক তারিখে জয়েন্ট,পাঁচ দিন বাকি,,।
আমি বললাম – কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো,, সুব্রত - ওসব পরে হবে,, বলছি,,। চলে গেল সুব্রত,, । আমি দাদাকে ব্যাবস্থা করতে
বিথীর কথা যে এত তারাতারি ফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি,,। আজ বিকেলে বিথীর সাথে দেখা করতেই হবে যে করেই হোক।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আগামী পর্বে বিথির সাথে দেখা করা নিয়ে আপনাদের সামনে আবারো হাজির হব ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি আপনার প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম আর দ্বিতীয় পর্ব পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম।। এখন এটা পড়ে আরো কৌতুহল বেরে গেল। তৃতীয় পড়বে না জানি কি লুকিয়ে রয়েছে।। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার তৃতীয় পর্বটি পড়তে পারব এবং মনের অজানা অনেক কিছুই খুঁজে পাবো সেখানে।।
আসলে সত্যি কথা বলতে কিছু মানুষ আমাদের মনে কষ্ট দেয়। সেটা মেয়ে হোক কিংবা ছেলে। আবার কিছু মানুষ আমাদের জীবনটাকে পাল্টে দিতে পারে। আপনার গল্পের মধ্যে বিথী নামক মেয়েটা ওই ছেলেটার জীবনটাকে পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করছে।এবং তার জীবনটাকে নতুন করে একটা মোড় দিয়েছে।
জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়। কেউ আমাদেরকে ভুল পথ প্রদর্শন করে আবার কেউ সঠিক পথ। এই গল্পের মধ্যে বিথী নামক মেয়েটা ছেলেটাকে নিশ্চয়ই সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এত সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করার জন্য। অবশ্যই পরবর্তী পর্ব আরো সুন্দর হবে। ভালো থাকবেন।