"বিশ্বাস"
ছবির উৎস
হ্যালো মাই ডিয়ার স্টিম ফ্রেন্ডস আপনারা কিভাবে এই বিশ্বাস শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছেন তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ আমি বিশ্বাস এই ছোট শব্দটি নিয়ে আলোচনা করব।
আপনার জীবনের প্রথম বিশ্বাসী মানুষটি কে? তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
আচ্ছা আপনি কি কখনো কাউকে বিশ্বাস করে গোপন তথ্য বা গোপন কোনো কথা বলেছেন। আচ্ছা বলুন তো আপনি কি কখনো কাউকে বিশ্বাস করে টাকা পয়সা রাখতে দিয়েছিলেন!
আছে এবার চলুন মূল রহস্য খুঁজে দেখা যাক আপনার গল্প তো শুনবোই কমেন্টের মাধ্যমে।
হ্যালো বন্ধুরা আমি মোঃ রাসেল আজ আমি আমাকেই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব এই বিশ্বাস শব্দটার মাধ্যমে আমি কিভাবে মানুষকে বিশ্বাস করে কষ্ট পেয়েছি কিভাবে বিশ্বাস করে উপকৃত হয়েছি। সবাই যে আমার বিশ্বাসের প্রতিদান ভালোবাসা দিয়েছে বা কষ্ট দিয়েছে এমনটা কিন্তু নয় কেউ কষ্ট দিয়েছে কেউ আবার সুখও দিয়েছে এই দোনোটা নিয়েই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
ছবির উৎস
জীবনে প্রথম বিশ্বাস করা শুরু করেছি আমার গর্ভধারিনী মাকে। এখন হয়তো বা আপনি বলতে পারেন মাকে বিশ্বাস করে না এমন বোকা আছে নাকি আসলেই তাই মাকে বিশ্বাস করে না এমন কোন বোকাই নেই ঠিক তেমনি আমিও আমার মাকে অনেক বিশ্বাস করি তাই তো বললাম তাকে দিয়েই বিশ্বাস করা শুরু করেছি।
এবার আসুন বলি আমি আমার মাকে কিভাবে বিশ্বাস করতাম বা কেনই বিশ্বাস করতাম কি কারণ তার, শুনুন তাহলে,
আমার মা আমাকে খুব কষ্ট করে বড় করেছে তিনি জব করে আমার লেখাপড়া আমার খরচ আমার বেড়ে ওঠা আমার জামাকাপড় সব কিছুই বহন করেছে কারণ কি আমার বাবা ছিল না। বুঝতেই পারছেন মহিলা মানুষ যদি সংসার চালায় কতই বা ইনকাম করতে পারে তার পকেটের অবস্থা বা কি হতে পারে তা তো হয়তোবা আর আপনাদেরকে বলার প্রয়োজন আছে আমি মনে করি কারণ আপনারা সবই বুঝতে পারেন।
আমি কি তখন অত কিছু বুঝতাম নাকি তাই তো সারাক্ষণ এটা ওটার বায়না করেই যেতাম আর আমার মা দিব্যি হাসিমুখে আমার সকল বায়না মেনে নিতেন যদিও বা বায়না ধরার সাথে সাথেই কোন কিছুই পেতাম না কিন্তু মা আমাকে কথা দিত আমি তোমাকে কিনে দিবো কয়েকদিন সময় দাও। আর আমি বিশ্বাস করতাম আমার মা আমাকে কয়েকদিন পরে এটা কিনে দিবে। ঠিক তাই হতো কয়েকদিন পরে মায়ের হাতে যখনই টাকা পয়সা হত তখনই সে আমাকে কিনে দিতেন।
আর এভাবেই আমার মা ধীরে ধীরে আমার কাছে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। আমি লক্ষ্য করে দেখতাম আমার মা যখনই কোন বিষয়ের উপরে কথা দিতেন সেটা রাখার চেষ্টা করতেন কখনো তার বিপরীত হতে দেখিনি।
তো বন্ধুরা এবার বলুন আমি কি আমার মাকে বিশ্বাস করে ঠকেছি কখনোই না মাকে বিশ্বাস করে আমি ঠকিনি।
কিন্তু আপনারা হয়তো বা আমাকে বিশ্বাস করে ঠকছেন কারণ আমার লেখাটা আমি এখানেই আজ সমাপ্ত করব। আমি আমার এই লেখাটিকে একটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করতে চাই!
তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আশা করি আমার এই সিরিজটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে সামনে যতদিন যাবে ততই ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ। শুরুতে হয়তোবা একটু বোরিং লাগতে পারে।
ঠিক বলেছেন, বিশ্বাস শব্দটা খুব ছোট কিন্তু এর গুরুত্ব অনপক বেশি আমাদের জীবনে। যত দিন যাচ্ছে বিশ্বাস শব্দটা কেমন জানি মূল্যহীন হয়ে গিয়েছে। কাউকে কথা দিয়ে সেই কথা ভাঙ্গতে একবারও ভাবি না।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
ঠিক বলেছেন ভাই, আমরা কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখার চাইতে ভাঙার প্রতিযোগিতায় লেগেছে। বিশ্বাসঘাতকতার তো কথাই নেই স্বার্থ আঘাত লাগলেই সবকিছু ভুলে যাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি করার জন্য।
বর্তমানে ঈশ্বর আর নিজেকে বিশ্বাস করছি কারণ বাকিদের আচরণ দেখা হয়ে গেছে।
বর্তমানে ঈশ্বরকে ছাড়া নিজেকে ও বিশ্বাস করাই কঠিন বাকি সব তো অনেক দূরে!
তারপরও জীবন চলার পথে কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতেই হয়। আর এটাই সত্যি বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোন গতিই নেই।
তবে ম্যাম কাউকে বিশ্বাস করার পূর্বে তার অতীত ও বর্তমান দুটোই বিশ্লেষণ করা উচিত।
একটি প্রভাত রয়েছে ম্যাম যা হয়তোবা আপনিও জানেন যেমন,
নদীর পানি ঘোলা ভালো জাতের মেয়ে কালো ভালো।
আপনি অনেক ভালো মানুষ ম্যাম। তাইতো খুব সহজেই সব মানুষকে বিশ্বাস করেন। তবে এটা একদমই ঠিক না আগে মানুষ চিনুন তারপরে বিশ্বাস করুন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিনিয়ত আপনার জন্য প্রার্থনা করি তিনি যেন আপনাকে একটু ভালো রাখেন সুখে শান্তিতে রাখেন সব সময় সুস্থ রাখেন। কারন আমি আপনাকে বিশ্বাস করি ও ভালোবাসি।
আল্লাহ হাফেজ।
বিশ্বাস একমাত্র নিজের মাকেই করা যায় ৷ আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি দেখেছি শুনেছি মানুষের সাথে মিশেছি মানুষকে বিশ্বাস ও করেছি কিন্তু দিন শেষে আমি ঠকেছি ৷ আর মাকে বিশ্বাস করে কখনও ঠকিনি ৷
যাই হোক আপনার সিরিজ টি পড়ে ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন ৷
বিশ্বাস শব্দটা দিন দিন অনেক হাল্কা হয়ে যাচ্ছে। এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না, আবার করলেও বিশ্বাস এর মরযাদা খুব কম মানুষই দেয়। ধন্যবাদ ভাই এই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।