ভদ্রবেশে মুখোশধারী লোক থেকে সব সময় সাবধান।
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা!
বন্ধুরা আমার আজকের আলোচ্য বিষয় হলো:-
"মুখোশধারী ভদ্র ব্যক্তি হওয়ার চেয়ে স্পষ্টবাদী অভদ্র ব্যক্তি হওয়া ভালো।"কারণ আমাদের চারপাশে এমন মুখোশধারী ভদ্রলোকের অভাব নাই। তারা সব সময় মানুষের ক্ষতি সাধন করে থাকে ।শুধুমাত্র নিজেকে ভালো রাখার জন্য ভদ্রবেশে মুখোশ পরে থাকে যাতে করে সমাজের মানুষের কাছে নিজেকে ভদ্র হিসাবে প্রকাশ করতে পারে। এমন মানুষগুলো এরা সমাজের জন্য অনেক বেশি বিপদজনক এদের থেকে নিজেদেরকে সবসময় দূরে রাখায় উত্তম।
এই মুখোশধারী ভদ্রলোক গুলো এরা মানুষের সামনাসামনি অনেক বেশি সুমিষ্টি কথা বলে কিন্তু আপনার অগোচরে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করে এবং আপনার কিসে ক্ষতি হবে সে সেটি সাধন করবে। পক্ষান্তরে সমাজে এমন কিছু ব্যক্তিও আছে যারা সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলে অভিহিত করবে। এমন স্পষ্টবাদী মুখের উপর সত্য বলা মানুষগুলো অনেকের চোখে অভদ্র হিসেবে পরিগণিত হয় কিন্তু তারা কখনোই অন্যের ক্ষতি সাধন করে না ভদ্র সেজে মুখোশের আড়ালে।
বর্তমান সমাজে এমন মুখোশধারী ভদ্র লোকের অভাব নাই কারণ আমাদের আশেপাশে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে ব্যক্তি চামচামি গোলামী এবং তেল বাজি করতে পারে সেই সবার কাছে ভালো কিন্তু যে ব্যক্তি মুখের উপর সত্য কথা বলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সে সকলের কাছে খারাপ অভদ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। তাইতো দিন দিন আমাদের সমাজটা রসাতলে যাচ্ছে। কারণ মুখোশধারী ব্যক্তি গুলো এরা মানুষের সামনে ভালো সেজে বেড়ায় অথচ তার মনে সব সময় অন্যরকম কুমন্ত্রণা থাকে। এরা খুবই ভয়ংকর প্রকৃতির হয়ে থাকে। আপনি এদের চাল-চলন বেশভূষা দেখে কখনোই বুঝতে পারবেন না যে এরা ভদ্রবেশে শয়তান।
বর্তমান সময়ে মুখের উপর সত্য বলা মানুষগুলোকে কেউই পছন্দ করে না। কারণ আমাদের চারপাশে ভদ্রবেশে মুখোশ পরা লোকের সংখ্যাই বেশি। এই মুখোশধারী লোকেরা সব সময় নিজের মধ্যে একটা মিথ্যার দেয়াল তৈরি করে রাখে যাতে করে তার আসল চেহারাটা কেউই বুঝতে না পারে। এরা অতি বেশি ভয়ংকর। এরা নিজের স্বার্থ ছাড়া কখনো অন্যের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। আমাদেরকে সব সময় এমন মুখোশধারী শয়তানদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাই উত্তম, না হলে আপনি যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন এমন মুখোশধারী ভদ্রলোকের দ্বারা।
একটি সমাজ তখনই নষ্ট হয় যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বা সত্যকে সত্য বলার মানুষের অভাব দেখা দেয়। আমাদেরকে একজন ভালো মানুষ হতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হবে না হলে সমাজ তথা রাষ্ট্র চরম সংকটের মুখে পড়বে।
আমাদের সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ভদ্রবেশে মুখোশধারী লোকদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের মুখোশকে উন্মোচন করে দিতে হবে দেশ তথা সমাজের কাছে। তাহলেই সমাজ সুন্দর হবে।
বন্ধুরা পরিশেষে বলতে চাই যে, এমন মুখোশধারী লোকদের থেকে নিজেদেরকে সবসময় বিরত রাখবেন এবং নিজেকে সবসময় একজন সৎ নিষ্ঠাবান এবং স্পষ্টবাদী মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন। তাহলেই আপনার জীবন ষোল আনা সার্থক।
সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এ প্রত্যাশা রইল। আজকের মতো এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।
মুখোশধারী ভদ্রলোকের অভাব নাই এখন এই সমাজে। এমন ব্যক্তিরা তাদের কথাগুলো খুবই মধুর হয় এরা সব সময় মানুষের সামনে থেকেই প্রশংসা করে থাকে কিন্তু তারা পিছনে আর একজনের সাথে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গীবত করে। গীবত করা মহাপাপ। আর এই পাপেমোচন করতে হলে যাকে নিয়ে আপনি গীবত করছেন সেই ব্যক্তির সামনে আপনাকে ক্ষমা চেয়ে ওই ব্যক্তির নামে প্রশংসা করতে হবে তবেই গীবতের গুনাহ থেকে মাফ পাওয়া যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপনা করার জন্য
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অভদ্র কিছু যানজট। এই যানজটের খপ্পরে আপনি একবার পড়েন বেরিয়ে আসা এত সোজা না এটা ঢাকা রাজধানীর যানজট নয়।
এটাকে বলে মুখোশের আড়ালের যানজট তার মানে হল সামনে দেখতে একদম ফেরেশতার মত কিন্তু তার পিছনে রয়েছে অনেক বড় রহস।
এই মুখোশধারী মানুষগুলোকে চেনা খুবই কঠিন, কারণ তাদের মুখে থাকে মিষ্টি সুর আর মনে থাকে বিষাক্ত সাপের ছোবল।
এরা আপনার সামনে আপনার প্রশংসায় আপনাকে ভাসিয়ে দিবে আর পেছনে আপনার দুর্নামের পাহাড় তৈরি করবে।
এই ধরনের মানুষ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত রাখুক। আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।