অসাধ্য সাধন করেছি এবার গ্রামে গিয়ে||আমার মৎস্য শিকার||
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
সারাদিন এতোটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। একেবারে শেষ বিকালে এসে কিছুটা রোদের আলোকছটা দেখা দিয়েছে। রোদের তীব্রতা তেমন ছিল না কিন্তু দিনের উজ্জ্বলতা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশ ভালই ছিল। যেটা আমার ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে।
যাইহোক দিনটি আমার জন্য অন্যরকম বলেছিলাম বিশেষ এক কারণে। আপনার হয়তো ইতিমধ্যেই আমার পোস্টে জেনেছিলেন যে কিছুদিন আগে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম। সপ্তাহখানেক ছিলাম গ্রামে। এই কয়েকদিনের মধ্যে আমার বেশ ভালো কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে।
তার মধ্যে অন্যতম বলতে পারি মৎস্য শিকার করা। সাধারণত শহরে এসবের কোন বালাই নেই। বছর শেষে যখন একবার গ্রামে যাই তখন সবকিছু উপভোগ করার চেষ্টা করি। গত বছর দুবার এই পুকুরে মাছ ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মুঠো জাল কোনোভাবেই ছড়াতে পারছিলাম না।
জাল ভালোভাবে ছড়াতে না পারলে কি আর জালে মাছ উঠবে? তাই আমার জালেও দু-একটা টেংরা, পুঁটি ছাড়া আর কিছু ওঠেনি। এদিনও প্রথমের দিকে অনেকবার চেষ্টা করেছি শুধু কয়েকটি চিংড়ি পোনা ও দুটো পুঁটি মাছ পেয়েছিলাম।
কিন্তু আসল ঘটনা ঘটেছিল শেষের দিকে, তার আগে কি হয়েছিল একটু দেখে নেই।
মুঠো জাল দিয়ে মাছ ধরবো শুনে আমার ছেলে মেয়ে দুটো দৌড়ে পুকুর পাড়ে আসলো। ওদের দেখে আমি আনন্দিত হবো নাকি লজ্জা পাবো এই নিয়ে ভাবছি। জানি মাছ ধরতে পারলে খুব ভালো লাগবে ওদেরও কিন্তু যদি মাছ না পাই তাহলে অনেক লজ্জায় পরে যাব।
জাল গুছিয়ে হাতের মধ্যে নিয়ে খুব সাবধানে পানির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পানিতে বেশি শব্দ করলে হয়তো মাছ ভয়ে পালিয়ে যাবে। এটা আমার ধারণা তাই খুব সাবধানে এগোচ্ছি।
যাইহোক ভুল কিংবা সঠিক সেটা জানি না তবে মাছ ধরতে হবে এই সংকল্প ছিল মনে।
প্রথমবারই ব্যালেন্স ঠিক রাখতে না পেরে পানিতে পড়ে গেলাম। কোন রকমে সামলে নিয়েছি কিন্তু তারপরও অর্ধেক ভিজতে হয়েছে। খুব সাবধানে ধীরে ধীরে জাল টেনে তুলছি। আমি জানিনা আস্তে কিংবা জোরে জাল টানলে কি হতে পারে।
শুধু এতটুকু শুনেছি পানি থেকে জাল তোলার সময় আস্তে আস্তে টানতে হয়। সম্ভবত তাড়াহুড়ো করতে গেলে নিচ দিয়ে মাছ বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরের অংশটুকুর ফটোগ্রাফা আর দিলাম না। কারণ সেখানে এক লজ্জাজনক ইতিহাস। শুধু কিছু গাছের ডাল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। আবার জাল ঠিকমতো ছড়াতে না পারলে কি আর মাছ উঠবে?
তাই বলে তো চুপ মেরে থাকা যাবে না বেশ কয়েকবার এইভাবেই চেষ্টা করে গেলাম। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে ভাবলাম মনে হয় আর মাছ ধরতে পারবো না। যখন চলে যাওয়ার কথা ভাবছি তখনই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত সেই ঘটনা।
আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রচুর মাছ উঠলো জালে। শুধু একবার নয় পরপর দুবার যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়েছিল তাতেই প্রায় অর্ধেক বালতি হয়ে গেল। ছেলে মেয়ে মাছ দেখে সবাই খুশি।
আমারও কিন্তু কম ভালো লাগেনি। মনে ভাবতে লাগলাম আমি এক অসাধ্য সাধন করেছি। আগে এতবার চেষ্টা করার পরেও মাছ না ওঠার কারণ, জাল ঠিকমত ছড়াতে পারছিলাম না। শেষের দুবার খুব ভালোভাবে সেটা করতে পেরেছি। তাই এত মাছ।
মাছ ধরা শেষে মেয়ের বায়না আসে সাঁতার শিখবে। তাই একপ্রকার জোর করেই পানিতে নেমে পরল। কিন্তু সাঁতার কিভাবে শেখাবো আমি নিজেই তো সাঁতার জানিনা হা হা হা।
যাইহোক বেশি গভীরে না গিয়ে কাছাকাছি কিছুক্ষণ সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করলাম। সাঁতার শেখা কি আর এত সহজ কাজ, এটা শিখতে অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই কিছুক্ষণ বৃথা চেষ্টা করে পানি থেকে উঠে আসলাম। আমি জানি এরকমটাই হবে শুধুমাত্র মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই এই প্রচেষ্টা।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
আসলে আপনি খুব বড় একটা কথা বলেছেন ওর সাথে থাকে সাধন করেছেন। আসলে গ্রামের বাড়িতে আসলে এমন কিছু দৃশ্য আমরা সবাই দেখতে পাই।
আপনার মাছ ধরা দৃশ্যটা বেশ ভালো লাগলো। তারপরে আপনি মাছ ধরতে গিয়ে নিজেকে সামলাতে না পেরে জলে পড়ে গেলেন। আসলে অসাধারণ লাগলো। আপনার লেখাটা তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ।