সামাজিক অবক্ষয় রোধে যুব সমাজের ভূমিকা অনেক
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সূর্য কেবলমাত্র উঁকি মারছে। পরিস্থিতি এখন যে রকম মনে হচ্ছে তার চেয়েও অনেক খারাপ ছিল সকালবেলা। আমি স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম সাড়ে দশটার দিকে। সাধারণত ট্রেন আটটার মধ্যেই চলে আসে। কিন্তু আজকে সপ্তাহের শেষ দিন হওয়াতে সিডিউল একদমই ঠিক রাখতে পারে না। পরের দিন রবিবার ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | রেল স্টেশন, কুড়িগ্রাম |
শীতের সময় আমার সাধারণত রিক্সায় উঠতে ইচ্ছা করে না। খুব বেশি দূরত্ব না হলে হেঁটে চলে যাই। আমার বাড়ি থেকে অবশ্য রেল স্টেশন খুব বেশি দূরে নয়। শর্ট রাস্তায় পায়ে হেঁটে খুব তাড়াতাড়ি স্টেশনে পৌঁছানো যায়। তাই আমি স্টেশনের উল্টো দিক দিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে থাকি। একা একা ভালই হেঁটে যাচ্ছিলাম স্টেশন সন্নিকটে।
সামনে কয়েকটা ছেলেকে লক্ষ্য করলাম জ্যাকেটের টুপি মাথায় দিয়ে কি যেন করছে। দেখে আমার সন্দেহ হলো, যা ভেবেছিলাম তাই। কয়েকজন মিলে শীতের সকালে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করছে। কিছু বোতল আর অন্যান্য সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখে আমার আর বুঝতে বাকি রইল না কি হতে পারে। আমি নিজেও পছন্দ ঠাণ্ডার কারণে মাথা মুখ ঢেকে স্টেশনের দিকে যাচ্ছি।
আমার নিজেরে দেখা হওয়াতে কোন কিছু না ভেবে আমি চলতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো চাকু হাতে নিয়ে আমার সামনে চলে আসলো। সামনে এসে আমাকে দেখেই তারা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। লজ্জায় কে কোন দিকে পালিয়ে যাবে দিক খুঁজে পাচ্ছে না। এই ছেলেগুলোকে আমি খুব ভালো করে চিনি, এদের কারণে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা কোনভাবেই ঠিক থাকেনা।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | রেল স্টেশন, কুড়িগ্রাম |
যেকোনো সমাজের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে যুবসমাজ। সেই যুব সমাজ যদি পথভ্রষ্ট হয়ে নেশার জগতে চলে যায় তাহলে সমাজকে ঠিকিয়ে রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয় না। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সামাজিক অবক্ষয় রোধে আমাদের এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। যুব সমাজই পারে আমাদের সমাজের গতিপথ সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনতে।
যুব সমাজ যদি নিজেদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে এই সমাজ তথা আমাদের দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে। কোন সমাজে যুবকরা যদি উন্নয়ন কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সমাজ দ্রুত উন্নতি লাভ করে। পক্ষান্তরে দিকভ্রষ্ট যুব সমাজের জন্যই সেই সমাজের দুর্নাম সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন ভদ্র সমাজের লোকজন সব সময় তাদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে সম্মানের ভয়ে।
উদাহরণস্বরূপ আমি আমার শ্বশুর বাড়ির গ্রামের কথা বলতে পারি। সেই গ্রামের একটি ছেলের নাম রুবেল। মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট করার পর ছেলেটি চাকরি না করে গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সে গ্রামের ছোট বাচ্চাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করেছে নিজ উদ্যোগে। তাছাড়া গ্রামের বাকি যুবকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাছ চাষ, সবজি চাষ ও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে।
ফলে সেই গ্রামে আমাদের সমাজের বর্তমান অবস্থার মত কোন চিত্র লক্ষ্য করা যায় না। অচেনা জায়গা আমি নিজেও গভীর রাতে আনুমানিক ১.০০ থেকে ১.৩০ মিনিট হবে, একা অনেকবার গিয়েছি কখনো কোন সমস্যা হয়নি। উল্টো আমার মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে একটি ছেলে আমাকে লাইট জ্বালিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। অথচ স্টেশনের সামনে আমাকে দিনের বেলায় ছিনতাইকারী আক্রমণ করেছিল
ভাগ্যিস ছেলেগুলো আমার পরিচিত ছিল। তানাহলে হয়তো অনেক বড় বিপদ হতে পারতো। একদিকে যুব সমাজের সঠিক দিক নির্দেশনায় সেই এলাকা দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অপরদিকে সেই যুবক সমাজের কারণেই সকলের জীবন আমাদের সমাজ চরম হুমকির সম্মুখীন। কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারে না রাতে বাড়ি চুরি হওয়ার ভয়ে। আবার রাত করে বাড়ি ফিরতে পারে না ছিনতাইয়ের ভয়ে।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | রেল স্টেশন, কুড়িগ্রাম |
আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ জায়গা গুলোর মধ্যে বাস স্ট্যান্ড আর রেল স্টেশন। এই জায়গা গুলোতে লক্ষ্য করবেন সবচেয়ে বেশি খরাপ চরিত্রের লোকজন বেশি থাকে। রাত হলেই তারা মাতাল হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালায়।
যাইহোক আমাদের সমাজ তথা দেশকে রক্ষা করতে হলে যুবক সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। আসলে এক্ষেত্রে দেশের নীতি নির্ধারকদের যেমন দায়িত্ব আছে ঠিক তেমনি আমাদের পরিবারেরও কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। মানুষের শিক্ষার শুরু হয় পরিবার থেকে। পরিবারে শিশুদের এমনভাবে বড় করতে হবে যেন নৈতিক শিক্ষা তারা ছোট থেকেই শিখতে পারে।
যুব সমাজ সঠিক পথে পরিচালিত হয় তাহলে আমরা অতি সহজেই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে পারবো। একটি সমাজের ভিত্তি টিকিয়ে রাখতে হলে যুব সমাজকেই সর্ব প্রথম এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে না পারলে আমরা বাঙালি জাতি কোনদিনই মাথা উচু করে বাঁচতে পারবো না।
তাই আমাদের জাতিকে, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে সাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। আমরা নিজেদের ভালোবাসার পাশাপাশি আমাদের সমাজকেও ভালোবাসি। তাই আমাদের সামাজিক অবক্ষয় রোদ করতে যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
জি ভাই সমাজের মেইন চালিকা শক্তি যুবসমাজ ৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে যুবমসাজ অধপতনে ৷
যা হোক ভাই আপনি তো এই কমিউনিটি মডারেটর পথ পেয়েছেন ৷ যদিও আপনি আমার বাংলা ব্লগের একজন সদস্য ৷
যা হোক আমিও পোষ্ট করতে পারবো ৷ না কি পরিচিত মূলক পোষ্ট করতে হবে৷ যদি বলতেন অনেক উপকারে আসতো ৷
ধন্যবাদ
আমি পরামর্শ দিব আপনি আমাদের কমিউনিটির ডিসকর্ড join করুন। সেখানে কথা বললে আপনাকে কি করতে হবে বুঝতে পারবেন।
ভাই তাহলে যদি ডিসকর্ড লিংক টা দিতেন
Diskord link:
https://discord.gg/bjbVJbyR