Better Life with Steem || The Diary Game || 19 August 2024 || I had a very happy day today
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Photo edit by canva |
---|
আমাদের জীবনে কিছু কিছু দিন থাকে যে দিনগুলো খুব আনন্দে অতিবাহিত হয়ে যায়, জীবনের আনন্দময় দিনগুলো অতি দ্রুত ফুরিয়ে যায়, আর কষ্টের দিনগুলো যেন শেষ হতে চায় না, এজন্য কথায় বলা হয় আনন্দের দিনগুলো ছোট হয় আর কষ্টের দিনগুলো অনেক বড় হয়, আমরা সবাই আনন্দের দিনগুলো বারবার ফিরে পেতে চাই।
পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের জীবনে কখনো আনন্দের দিন আসে আবার কখনো কষ্টের দিন আসে, আনন্দ এবং কষ্টের মধ্যে দিয়েই আমাদের জীবন অতিবাহিত হয়ে যায়, আমার আজকের দিনটা খুব আনন্দের সাথে কেটেছে, আমি আজকের দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
গতকাল রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম, যেটা আমি প্রতিদিনই করি, কিন্তু মধ্যরাতে মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তাই ফজরের আজান শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি, প্রস্তুত হয়ে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে আবার একটু ঘুমাই, যদিও মাঝে মাঝে এই ঘুমটা মিস হয়ে যায় বিভিন্ন কারণে।
কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর আমার সন্তানদের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়, আমার সন্তানদের সাথে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পর সকালের নাস্তা করি, সকালের নাস্তা করা শেষ হলে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয়, প্রতিদিন আমার বড় ছেলে আমার সাথে মাদ্রাসায় যায়, কিন্তু আজকে সে যায় নাই, কারণ আমাদের বাড়িতে মেহমান এসেছে, তাদের সাথে সে খেলা করছে।
আমি তৈরি হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাঁড়াই, সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটা অটো রিক্সা পাই, হালকা একটু বৃষ্টি ছিল যেই কারণে গাড়ি পেতে দেরি হচ্ছিল, বর্তমানে রাস্তায় চলতে মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হই, কোন কোন সময় রাস্তায় কোন যানবাহন পাওয়া যায় না, তখন মনে চায় নিজের একটা মোটরসাইকেল কিনতে।
আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে তিনজনের মোটরসাইকেল আছে, প্রতিদিন মাদ্রাসা থেকে ফেরার সময় তাদের মোটরসাইকেলে মাদ্রাসা থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসি, তারা প্রতিদিন আমার সাথে ঠাট্টা করেন, এবং আমাকে বলেন যে আপনি মোটরসাইকেল কবে কিনবেন? আমারও মোটরসাইকেল কেনার খুব ইচ্ছা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে কেনা হচ্ছে না।
এরপর সেই অটো রিক্সাতে উঠে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই, সেখান থেকে আর একটা অটো ভ্যানে করে আমাদের মাদ্রাসার কাছে বাসস্ট্যান্ডে যাই, আজকে মাদ্রাসায় যেতে একটু দেরি হয়ে যায়, আমাদের মাদ্রাসার প্রথম ক্লাস আমার নিতে হয়, আজকে বাইরের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর ছিল, বাহিরে বাতাস বইছিল, যার কারনে চেয়ার নিয়ে মাদ্রাসার অফিস রুমের বাহিরে বসে ছিলাম, এবং শিক্ষকদের তিনটা মোটরসাইকেল দেখছিলাম।
মাদ্রাসায় ক্লাস নেওয়া শেষ হলে নির্ধারিত সময়ে মাদ্রাসা ছুটি হয়, আমি বাড়ি ফিরে আসি, ততক্ষণে প্রায় জোহরের নামাজের সময় হয়ে গেছে, বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রী মুরগির বাচ্চা কিনেছে, এর আগেও কয়েকটা মুরগির বাচ্চা লালন পালন করেছিল, আমি মুরগির বাচ্চা গুলো দেখে গোসল করতে যাই, গোসল করে এসে জোহরের নামাজের জন্য মসজিদে যাই।
জোহরের নামাজ আদায় করে এসে দুপুরের খাবার খাই, এরপর মুরগির খাবার এবং খাবারের পাত্র কেনার জন্য বাজারে যাই, বাজার থেকে মুরগির জন্য পানিপাত্র এবং খাবারের পাত্র কিনে সাথে তাদের জন্য ফিট খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি, ততক্ষণে আসরের সময় হয়ে যায়, মুরগির খাবার গুলো বাড়িতে রেখে আমি আসরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যাই।
প্রতিদিনের নিয়ম মত আসর এর পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত মক্তবের ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়াই, আজকে পড়ানোর শুরুতেই খুব খুশি হয়েছিলাম, কারণ একটা ছাত্র একটা শাপলা ফুল আমাকে উপহার দিয়েছে, আমি সেই শাপলা ফুলটা খুব যত্ন করে বাড়িতে নিয়ে এসে পানির ভিতরে রেখে দিয়েছি, আমি ফুল খুব ভালোবাসি।
এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে আমার সন্তানদেরকে পড়াশুনায় সহযোগিতা করি, কিছুক্ষণ পর এশার নামাজের আজান হলে মসজিদে যাই, এশার নামাজ আদায় করে এসে রাতের খাবার খাই, এরপরে অনলাইনে কাজ নিয়ে বসি, সাথে এই পোস্ট লিখি, অনলাইনে কাজ শেষ হলে ঘুমাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন একই রকম ভাবে অতিবাহিত হয় না। ভালো মন্দ মিলিয়ে আমাদের জীবন। আমরা সুখের সাথে নিজেকে বেশি মানিয়ে নিতে পছন্দ করি আর কষ্ট থেকে নিজেকে দুরে রাখতে চাই এজন্য মনে হয় সুখের সময় দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে আর কষ্টের মুহুর্ত কাটতেই চায় না, অথচ সময় কিন্তু নিজের আপন গতিতেই পার হচ্ছে।
আমাদের চলার পথে অনেক কিছুর চাহিদা থাকে কিন্তু বিভিন্ন কারনে হয়ত সেই ইচ্ছে গুলো পূরন হয় না। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল আর আজ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে শাপলা ফুল উপহার হিসাবে পেয়েছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন, সুখের সাথে মিশে যাওয়ার কারণে সেই সময়টা মনে হয় দ্রুত অতিবাহিত হয়ে গেল, আর কষ্টের সময় মনের ভিতর কষ্ট থাকার কারণে মনে হয় সময়টা যেন অতিক্রম করছে না, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পেজটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।