Better Life with Steem || The Diary Game || 09 July 2024 ।। আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হল
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আজকে মঙ্গলবার ৯ই জুলাই ২০২৪, আমার বর্তমান সময়টা খুব ভালভাবে অতিবাহিত হচ্ছে, মাঝখানে কিছুদিন অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। আমার পা ভেঙে গিয়েছিল, আমার বেতন নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল, তখন অনেক কষ্টে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে, কথায় আছে "রাত যত গভীর হয় সকাল তত নিকটে আসে", আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে, যত ঝামেলা হয়েছে সবগুলো কেটে গিয়ে এখন খুব ভাল আছি।
আজকে আমি আরও একটা দিন সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করলাম, আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মত ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাই, বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি মসজিদের দায়িত্ব পালন করছি, ফজরের নামাজ আদায় করে এসে আবার একটু শুয়ে থাকি, বাড়িতে আমার সন্তানরা না থাকার কারণে অনেকটা একা একা অনুভব হচ্ছিল, তাই কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর বাজারের দিকে যাই।
আমাদের গ্রামে প্রতিদিন সকালে বাজার লাগে, বাজারটা ছোট হলেও এখানে প্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায়, এখন আম কাঁঠাল এর সময়, তাই বাজারে আম এবং কাঁঠাল পাওয়া যায়, অনেক মানুষ আম এবং কাঁঠাল বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে, এবং সেখানে ক্রেতার সংখ্যাও বেশি থাকে, কেউ দেখার জন্য সেখানে ভিড় করে আর কেউ কেনার জন্য দ্বাড়িয়ে থাকে। আজকে বাজার থেকে কিছুই কেনা হয় নাই, ভাল লাগছিল না তাই বাজারে গিয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ পর বাজার থেকে ফিরে এসে দেখি আমার মা সকালের খাবার তৈরী করে রেখেছেন, আমার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার কারণে আমার মা রান্না করেছেন, যেহেতু সকাল নয়টার আগে আমার কর্মস্থল মাদ্রাসায় যেতে হবে, তাই আমার মা সকালেই রান্না শেষ করেছেন, আজকের সকালের খাবারে ছিল ভাতের সাথে ছোট মাছের তরকারি।
আমাদের গ্রামের পাশেই যমুনা নদী, এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়, যমুনা নদীর টাটকা ছোট মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়, আমার মা আজকে নদীর ছোট মাছ আলু দিয়ে রান্না করেছেন, আজকের ছোট মাছ দিয়ে ভাত খেতে অনেক ভাল লাগছিল।
সকালের খাবার খাওয়া শেষ হলে আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তৈরী হই, রাস্তায় যাওয়ার সাথে সাথে একটা অটোরিক্সা আসে, আমি সেটাতে উঠে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই, সেখান থেকে আরেকটা সিএনজিতে উঠে আমাদের মাদ্রাসার কাছে গিয়ে নামি।
আজকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য জমির পাশ দিয়ে ছোট রাস্তা ব্যবহার করি, অনেকদিন হল এই রাস্তা দিয়ে যাই না, আমার পা ভাঙার পর থেকে এই রাস্তায় যাওয়া হয় না, এখন আমার পা অনেকটা ভাল হয়েছে, তাই এই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় যাই, সবুজ ফসলের মাঠের মাঝ দিয়ে ছোট রাস্তা, এই রাস্তায় যেতে আমার অনেক ভাল লাগে। এখন জমিতে ফসল নাই, কিছুদিন আগেই জমির ফসল ঘরে তোলা হয়েছে।
মাদ্রাসায় যাওয়ার পর আমার ক্লাসগুলো ঠিক মত নিয়ে সময়মত মাদ্রাসা ছুটি হয়, ছুটির পর বাড়ি ফিরে আসি, বাড়িতে আসার পর গোসল করি, এরপর যোহর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, যোহর নামাজ আদায় করে এসে দুপুরের খাবার খাই, দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মা-বাবার ঘরের ফ্যান ঠিক করে দেই।
গতকাল ফ্যানটা নষ্ট হয়েছে, আমাদের ঘরে আরেকটা ফ্যান ছিল, ফ্যানটা ভাল তাই মা-বাবার ঘরের ফ্যান খুলে সেই ভাল ফ্যানটা লাগিয়ে দেই, ফ্যান লাগানো শেষ হলে একটু শুয়ে থাকি, গতকাল রাতে ঘুমাতে একটু দেরী হয়েছিল এই জন্য একটু ঘুমানোর চেষ্টা করি, কিন্তু ঘুম আসে না, তাই ল্যাপটপ নিয়ে বসি এবং অনলাইনের কিছু কাজ করি।
এরপর আসর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াই, আজকে মক্তবে ছাত্র-ছাত্রী একটু কম এসেছে, শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াই, তারা খুব আনন্দের সাথে পড়তে আসে, তাদের পড়ানোর কারণে টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও আমি কোন টাকা নেই না, ফ্রিতেই পড়াই।
মাগরিবের নামাজের পর মোবাইলে বাংলাদেশের বিভিন্ন খবর দেখি, বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশের ভাইরাল নিউজ হচ্ছে, সৈয়দ আবেদ আলীর প্রশ্ন ফাঁসের খবর। কিছুক্ষণ পর এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, এশার নামাজের পর রাতের খাবার খাই, খাবার খাওয়া শেষ হলে ল্যাপটপ নিয়ে বসি এবং এই পোস্ট করি, সাথে অনলাইনের কিছু কাজ করি, অনলাইনের কাজ শেষ হলে ঘুমাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
আপনাকে অসংখ্যভাবে ধন্যবাদ আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করেই শেয়ার করেছেন, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেওয়ার জন্য এবং সাথে কমেন্ট করার জন্য, ভাল থাকবেন সব সময়ই।
আপনার পা ভেঙেছিল শুনে খারাপ লাগলো আবার পাশাপাশি পা এখন ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার স্ত্রী ও সন্তানরা বাসায় না থাকায় একা লাগার কারণে বাজারে গিয়েছিলেন।
সেখান থেকে ফিরে মায়ের হাতের রান্না করা ছোট মাছ দিয়েভাত খেয়ে মাদ্রাসাতে গিয়েছেন। যমুনা নদীর ছোট মাছ শুনে ভালো লাগলো। ঢাকায় তো নদীর মাছ বলে সব পালা মাছ বিক্রি করে। নদীর মাছের স্বাদই আলাদা।
আপনি মাদ্রাসার ছেলেদের বিনা বেতনে পড়ান শুনে ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে এমন দেখা যায় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য, ঐ দিনের কার্যক্রমগুলো সুন্দর ছিল, আমার পা এখন অনেক ভাল, যদিও হাল্কা ব্যথা পাই, মা এর হাতে অসাধারণ।
আপনার পা ভেঙে গিয়েছিল সেটা শুনেছিলাম আর এটার জন্য বেতন বন্ধ ছিল এটা জানা ছিল না।। যমুনা নদীর তীরে বাড়ি থাকায় ছোট মাছ কিনতে খুব বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় না আর কম দামে পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয়।। মা বাবা রুমে মা বাবা রুমে ভালো ফ্যান দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।।
নদীর কাছে বাড়ি হওয়ার কারণে প্রায় সময়ই নদীর টাটকা ছোট মাছ পাওয়া যায়। তুলনামূলক দাম একটু কম, জেলেরা ভাল মাছ পেলে আমাদের বাড়িতে দিয়ে যায়, আমি বলে রেখেছি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক সুবিধাবাদী মানুষ ভাই,, নিজের না যেয়ে জেলেদেরকেই বলেছেন বাসায় দিয়ে যাবে এর মত সুবিধা হয় আমাদের বাসায়ও পাঠিয়ে দিয়েন।।
আমি একটু অলস টাইপের মানুষ, অপেক্ষা করেন পাঠিয়ে দিব, পৃথিবীতে একটু সুবিধাবাদী না হলে কি আর হয় ভাই?
গ্রামে কিন্তু এমন ছোটখাটো বাজার থাকলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই করা যায় আপনাদের এখানে প্রতিদিন সকালে বাজার বসে এবং এখান থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রায় কিনে থাকেন।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আমাদের ছোট গ্রামে প্রতিদিন সকালে এই বাজার বসে, এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যায়, যার কারণে আমাদের গ্রাম সহ আশেপাশের কয়েকটা গ্রামের মানুষদের অনেক সুবিধা হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।