পেয়ারার ফুলের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
প্রিয় বন্ধুগন আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করব, আজকের ফটোগ্রাফির ছবিগুলো অনেকদিন আগে আমার শ্বশুরবাড়ির একটা পেয়ারা গাছ থেকে করেছিলাম, পেয়ারা গাছে তখন অল্প কিছু পেয়ারা ছিল কিন্তু পেয়ারার ফুল ছিল অনেক বেশি, পেয়ারার ফুল দেখে মনে হচ্ছিল এই বছর ঐ পেয়ারা গাছে অনেক ফল আসবে, কিন্তু পরবর্তিতে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যায়, সেখান থেকে অল্প কিছু পেয়ারা পাওয়া যায়।
পেয়ারার ফুলগুলো যখন ছোট একটা কলি থেকে ফুটে বাহির হয় তখন সেটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, ফুলের মধ্যে ছোট ছোট অনেকগুলো চিকন সুতোর মত থাকে এবং সেই সুতোর মাথায় ছোট একটা ফুলের দানা দেখা যায়, এবং এই ফুল থেকেই আস্তে পেয়ারা হয়, ফুলের চারপাশে কয়েকটা পাপড়ি থাকে, যেটা দেখে বোঝা যায় যে, এই ফুলটা একটা কলির মধ্যে ছিল এবং কলি ফেটে ফুলটা বাহিরে এসেছে।
ফুল থেকে যখন পেয়ারা ফল হওয়া শুরু করে তখন পেয়ারার মাথায় সেই ফুলের পাপড়িগুলো দেখতে পাওয়া যায়, পেয়ারা যত বড় হতে থাকে ফুলের পাপড়িগুলো তত শেষ হতে থাকে, একটা সময় ফুলের আর কোন চিহ্ন থাকে না, তখন শুধু ফল দেখা যায়, গাছের সব ফুল যখন ফলে রুপান্তরিত হয় তখন মনে হয় এই গাছে কোন ফুল ছিল না, যদিও কিছু কিছু গাছ থাকে যেটাতে বারো মাস ফল আসে, সেই গাছে সব সময় ফুল দেখতে পাওয়া যায়।
পেয়ারা অনেক সুস্বাদু একটা ফল এবং এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, আমরা জানি এবং ছোট বেলায় দাদীর মুখে শুনেছি যে, চারটা কমলার মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে একটা পেয়ারার মধ্যে সেই পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, এবং পাঁচটা কমলার মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে একটা পেয়ারার খোসার মধ্যে সেই পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, এটা একসময় বিশ্বাস হত না, কিন্তু এখন বিভিন্ন মাধ্যমে জেনে সেটা পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস হয়।
আমার বাবা পেয়ারা খুব বেশি পছন্দ করতেন, যার কারণে আমাদের বাড়িতে সব সময়ই পেয়ারার গাছ থাকত, কোন কারণে যদি পেয়ারা গাছ মারা যেত আমার বাবা পুনরায় গাছ লাগানোর চেষ্টা করত, যদিও পেয়ারার ভিতরে ছোট ছোট বিচি থাকার কারণে অনেক মানুষের খেতে কষ্ট হয় তারপরও পেয়ারা অনেক সুস্বাদু একটা ফল, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আমাদের সকলের প্রতিদিন কমপক্ষে একটা করে পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন।
আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির পেয়ারা পাওয়া যায়, কিছু পেয়ারার উপরে সবুজ এবং ভিতরে লাল থাকে, পেয়ারা মূলত সবুজ রঙের হয়ে থাকে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পেয়ারা পাওয়া যায়, ধারণা করা হয়ে থাকে ১৭শ শতাব্দীতে প্রথম পেয়ারা দেখতে পাওয়া যায়, অনেক জায়গায় পেয়ারার বাগান করা হয়, এবং অনেক মানুষ পেয়ারার বাগান করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হচ্ছে।
পেয়ারার ফুলের ফটোগ্রাফির কথা লিখতে গিয়ে পেয়ারা সম্পর্কে কিছু লিখে ফেললাম।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে পেয়ারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দর ছিল,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং অবশ্যই আশা করব ভবিষ্যতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনার কাছ থেকে আমরা দেখতে পাবো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, দোয়া করবেন আমি যেন আরও সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর সুন্দর পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। ভাল থাকবেন।
পেয়ারা খেতে অনেকেই খুব ভালোবাসে আর তাদের মধ্যে আমি একজন। অনেক সময় গাছে অনেক ফুল ধরে তবে সেই তুলনায় ফল খুবই কম ফলে। নানা কারনে ফুল ঝরে যায়। এবার আমাদের লিচু গাছে অনেক ফুল ধরেছিলো তবে ফলন ভালো হয় নি।
আজ আপনি আমাদের সাথে পেয়ারা ফুলের ফটোগ্রাফি, যেটা খুব ভালো লাগছে। আর এই ফটোগ্রাফিগুলো আপনি আপনার শশুরবাড়ি থেকে তুলেছিলেন, যদিও দুঃখের বিষয় যে ভালো ফল পাননি এবার। ভালো থাকবেন।
আমিও পেয়ারা ফল খুব পছন্দ করি, যখনই সুযোগ থাকে পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেওয়ার জন্য এবং মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পেয়ারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আমাদের বাড়িতেও পেয়ারা গাছ রয়েছে। কিন্তু ফুলগুলোকে অত ভালোভাবে আমাদের দেখা হয় না। আপনার পোস্টে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। বাড়ির গাছে প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা ধরে। আমি পেয়ারা খেতে ভীষণ ভালোবাসি। আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা অনেক সময় অনেক কিছুই খেয়াল করি না, যার কারণে অনেক সুন্দর জিনিস মিস হয়ে যায়, আপনি পেয়ারা খেতে ভালবাসেন দেখে ভাল লাগল, ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, আপনার মন্তব্য দেখে আমি আনন্দিত।
আপনার ধারণ করা পেয়ারা ফুল গুলি দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। অনেক দিন পরে পেয়ারা গাছের ফুল আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম যেটা দেখে আমি অনেক আনন্দিত। এবং আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মনে হলো আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করতে পারেন। এবং তার পাশাপাশি খুবই সুন্দর লেখা উপহার দিয়েছেন দেখে আরো বেশি আনন্দিত অনুভব করলাম।
আমি এখনও বেশি ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারি না, তবে শেখার চেষ্টা করছি, যেন আরও সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করতে পারি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, ভাল থাকবেন।
আমি জানি আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করে থাকেন আর আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাই।। পেয়ারার ফোন নিয়ে বেশ আলোচনা করেছেন আসলেই ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।।
এখনও ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারি না ভাই, তবে শিখতেছি আরও সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং সাথে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন না তাহলে যেগুলো দেখছেন এগুলো কি ভাই 😊😊 আসলে ভালো ও ভালো আছে এটা অবশ্যই বুঝতে হবে।। দোয়া করি এর চাইতে ভালো ফটোগ্রাফি নিয়ে আবারো হাজির হবেন।।
আরও ভাল করার চেষ্টা করতেছি, দোয়া করবেন যেন আরও ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যায়নের জন্য।
প্রতি প্রতিটা জিনিসের ভিতরে তার নিজস্ব সৌন্দর্য হয়েছে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি ফল তার ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে খুব সুন্দর আলোকপাত করেছেন।
আপনার তোলা প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পেয়ারা ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
গ্রামের অধিকাংশ জায়গায় এই পেয়ারা গাছ দেখতে পাওয়া যায়, পেয়ারার ফুল অনেক সুন্দর এই ফটোগ্রাফি করার পর বুঝেছি, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।