গরমের সময় বিদ্যুত না থাকলে অনেক কষ্ট হয়।
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Copyright free image downloaded from pixabay.com |
---|
বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের কারণে খুব সমস্যার মধ্যে আছি, একে তো প্রচন্ড গরম তার উপর দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না, যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাই, যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন সব কাজ বন্ধ থাকে, বিশেষ করে অনলাইনের সকল কাজই বন্ধ রাখতে হয়।
যদিও মোবাইলে এমবি থাকলে বিদ্যুৎ না থাকলেও অনলাইনের কাজ করা যায়, কিন্তু আমাদের বাড়িতে ওয়াইফাই এর লাইন নেওয়ার পর থেকে আমি এমবি কিনি না, এর বিশেষ কিছু কারণ আছে, মোবাইলে যখন এমবি থাকে তখন অনেক সময় নিজের দৈনন্দিন দায়িত্বের প্রতি অবহেলা চলে আসে, যেটা আমি কখনো মেনে নিতে পারি না।
যেমন যখন মাদ্রাসায় যাই তখন সাধারণত মোবাইল ব্যবহার করি না, কিন্তু যখন মোবাইলে এমবি থাকবে তখন মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায়ও মোবাইল বাহির করে অনলাইনের বিভিন্ন কাজ চেক করতে মনে চাবে, এবং সেটা অটোমেটিক হয়ে যাবে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনের সাথে যুক্ত আছি, সুযোগ পেলেই অনলাইনে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি, এটা ব্যতীত থাকতে পারিনা, এজন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই এমবি কিনি না।
Copyright free image downloaded from pixabay.com |
---|
এমনিতেই আমাদের মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকগণ জানেন যে, আমি অনলাইনে কাজ করি, এখন যদি আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পরে ছাত্রদের সময় না দিয়ে সব সময় মোবাইল নিয়ে থাকি, তখন অন্যান্য শিক্ষকরা আমার প্রতি একটা মন্দ ধারণা পোষণ করবে, এবং সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হবে, আর আমি সব সময় সমালোচনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
যখন বাড়িতে আসি ওয়াইফাই লাইন থাকে তখন অনলাইনের কাজ করি, কিন্তু কয়েকদিন হল বিদ্যুতের খুব সমস্যা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে রাতে যখন কাজ শুরু করব তখন বিদ্যুৎ চলে যায়, আর আমি রাত ব্যতীত অনলাইনের কাজ করতে পারি না, আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ রয়েছে, এবং দৈনন্দিন জীবনের কিছু ব্যস্ততা রয়েছে।
গতকাল রাতে অনলাইনে কাজ শুরু করব এরকম সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, প্রায় দুই ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ আসে, যখন বিদ্যুৎ আসে তখন অনলাইনের কাজ শুরু করি, একঘন্টা বিদ্যুৎ থাকার পর আবার চলে যায়, তখন আর কোন কাজ করা হয় না, আবার একঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসে, তখন অনেক রাত হয়ে যায়, কাজ করার মন মানসিকতা থাকে না।
Copyright free image downloaded from pixabay.com |
---|
রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে কষ্টটা একটু বেশি হয়, কারণ বিদ্যুৎ যাওয়ার কারনে প্রচন্ড গরম সহ্য করতে হয়, যে গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না, এবং বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথে আমার সন্তানরা ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে যায়, তারা গরম সহ্য করতে পারে না, যার কারণে যতক্ষণ বিদ্যুৎ না আসে ততক্ষণ হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়, হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা বন্ধ করে দিলেই তারা কান্না শুরু করে দেয়, এই কারণে যতক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকে ততক্ষণ ঘুমাতে পারি না।
অনেক মানুষ মজার ছলে বলে যে, "আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ যায় না বরং মাঝে মাঝে আসে", অনেক আগে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, তখন আমাদের চলাফেরা করতে এত কষ্ট হয়নি, কিন্তু এখন আমাদের জীবন বিদ্যুতের সাথে মিশে গেছে, যে কোন কাজ করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তার কারণে বিদ্যুত না থাকলে অনেক কষ্ট হয়।
যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন তাদের অফিসে যোগাযোগ করলে বলে যে লোডশেডিং চলতেছে, এটা তাদের নিয়ম, লোডশেডিং এর মাধ্যমে তারা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, আমরা যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি আমাদের সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন, বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা প্রয়োজন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
গতকাল থেকে গরম অনেকটাই কমে এসেছে।
তবে বিগত সপ্তাহে গরমে তীব্রতা এত বেশি ছিল এবং সেই সাথে লোডশেডিং এত বেশি ছিল যে রাত্রিতে দুইবার বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে ঘুমের প্রচুর সমস্যা হয়েছে।
গরমে প্রচুর অস্থিরতা লেগেছে এমন কি শরীর অসুস্থ পর্যন্ত হয়েছে।
একটা বিষয় সত্যিই ভাবতে হয়,
এইতো ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন থাকতাম,
কখনো এতটা অস্থির লাগেনি। কিন্তু এখন একটু বিদ্যুৎ ছাড়া প্রচুর অস্বস্তি লাগে।
যাই হোক আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল।
গরম কমার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছি, যখন বিদ্যুৎ ছিল এত কষ্ট হচ্ছে না, কিন্তু এখন বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক কষ্ট হয়, বিদ্যুতের সাথে যেন আমাদের জীবন জড়িয়ে গিয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।