মাদ্রাসার পাশের গাছের আম খেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্মৃতি ভোলার চেষ্টা
হ্যা লো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
কিছুদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বদলি হয়ে সিরাজগঞ্জে আসার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের কথা খুব মনে পড়ছে, এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে খুব মিস করছিলাম, আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের মধ্যে আমের জন্য বিখ্যাত হলো রাজশাহী জেলা, আমি নিজেও এ কথা জানতাম, কিন্তু আমি চাপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার পর দেখি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমের বাগান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ হচ্ছে রাজশাহী জেলার পাশের একটা জেলা।
আমি পাঁচ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চাকরি করেছি, আমার কর্মস্থলও একটা আমের বাগানের ভিতরে ছিল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমাদের মাদ্রাসার চতুর্পাশে শুধু আম গাছ ছিল, মাদ্রাসার একটা আমের বাগান ছিল, মাদ্রাসার আমের বাগান থাকার কারণে অনেক বেশি আম খেয়েছি, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম রপ্তানি হয়।
আমের সময় আমি যখন ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসতাম, তখনই চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিভিন্ন ধরনের আম নিয়ে আসতাম, আমি আমের বিভিন্ন জাত চিনেছি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেই, এজন্য যখনই আম দেখি বা আম খায় তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের কথা আমার খুব মনে পড়ে, আমার মনে চায় আম খাওয়ার জন্য হলেও আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাই।
এখন আমের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে, অনেক এলাকায় গাছের আম শেষ হয়ে গেছে, এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় শুধু রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম পাওয়া যায়, আমাদের বাড়িতেও কয়েকটা আম গাছ আছে কিন্তু আম শেষ হয়ে গেছে, এখন আম খাওয়ার ইচ্ছা হলে বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে খেতে হয়।
আমি বর্তমানে যেখানে কর্মরত আছি, (পশ্চিম গজারিয়া দারুল আরকাম ইতেদায়ী মাদ্রাসা) আমাদের মাদ্রাসার পাশে কয়েকটা আম গাছ আছে, যদিও আমগাছ কয়েকটা আমাদের মাদ্রাসার কারো না, কিছুদিন আগে আম গাছগুলোতে বেশ কিছু আম দেখা দিয়েছিল, চোখের সামনে আম দেখে না খেয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল।
এজন্য একদিন গাছের মালিককে খবর দিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে আসি, এবং তার সাথে কথা বলে গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই, গাছের মালিক আমাদের কথায় রাজি হয়ে যায়, সে বলে যে, এই গাছের আম এলাকার যুবক ছেলেরাই বেশি খায়, আপনারা খেলে তো আমার জন্য আরো সৌভাগ্যের বিষয়, সে এই কথা বলে আমাদের আম খাওয়ার অনুমতি দিয়ে চলে যায়।
আমরা কয়েকজন শিক্ষক মিলে আম পাড়ার সিদ্ধান্ত নেই, আমি আর আরেকজন শিক্ষক দুইজন আম পাড়ার সিদ্ধান্ত নেই, আর অবশিষ্ট শিক্ষকরা ক্লাস পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়, আমি গাছে উঠতে জানিনা এজন্য আমার সাথের শিক্ষককে গাছে উঠিয়ে দিই, সে খুব ভালো গাছে উঠতে পারে, সে গাছে উঠে আম পাড়তে থাকে আর আমি নিচে থেকে ধরতে থাকি।
বেশ কিছু আম পারার পর সে গাছ থেকে নেমে আসে, তার অনুমতি নিয়েই গাছসহ তার কিছু ছবি তুলি, আম নিয়ে অফিস রুমে খাওয়ার সময় দেখি আম কিছুটা টক, এজন্য ঝাল আর লবণের ব্যবস্থা করি, ঝাল আর লবণ দিয়ে আম বানিয়ে খেতে অনেক মজা হয়, মাদ্রাসার সকল শিক্ষক একসাথে আম খাওয়া শুরু করি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|