হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার প্রথম পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম ।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আমার বড় মামার একমাত্র ছেলে সিনানের জন্মদিনে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেব। আশা করছি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে , তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে আমার পুরো পোস্টটি দেখে আসা যাক।

---

---

^{• Edited By PicsArt App}

---

---

সিনান হলো আমার মামাতো ভাই, মামার ছোট ছেলে সিনান। ১৪ই ডিসেম্বর সিনানের দ্বিতীয় জন্মদিন ছিল। সেদিন ফ্যামিলির মানুষজনদের নিয়ে ছোট করে মোটামুটি জাঁকজমক জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় জন্মদিন বলে কথা একটু জাঁকজমকতা না থাকলে কি চলে।

জন্মদিনের দিন আমি অন্যান্য কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম আর জন্মদিনের ডেকোরেশনের দায়িত্ব পড়েছিল আমার কাঁধে। তাই সন্ধ্যার পর তাড়াতাড়ি কাজ গুটিয়ে নানুবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই, এদিকে মামা বারবার ফোন করছিল সব গেস্ট বাসায় চলে এসেছিল বলে। তাই আমি একটু তাড়াহুড়া করেই নানুবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই গিয়ে আবার তাড়াহুড়ো করে ডেকোরেশনও সম্পন্ন করতে হবে। সৌভাগ্যবশত আমরা জন্মদিনের আগের দিনই ডেকোরেশনের সকল সরঞ্জাম কিনে রেখেছিলাম।

তারপর আমি যখন নানু বাসা পৌছাই তখন আমাকে মামা ফ্রেশ হওয়ারও সময় না দিয়ে বলল তাড়াতাড়ি রুমের ডেকোরেশন সেরে ফেলতে। তাই আমি আর দেরি করলাম না শুরু করে দিলাম রুমের ডেকোরেশনের কাজ। রুমের ডেকোরেশন এর কাজে আমাকে সাহায্য করেছিল @sadiahaque, আমার ফুফাতো ভাই সোহাগ এবং খালাতো ভাই নোহান। তাদের সাহায্যের কারণেই খুব তাড়াতাড়ি ডেকোরেশনটা শেষ করতে পেরেছিলাম।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৮:৫৪
তারিখ: ১৪/১২/২২

আমি খুব তাড়াহুড়ো করে রুমের ডেকোরেশন করছিলাম সেই ফাঁকেই আমার ফুফাতো ভাই সোহাগ এই ছবিটি তুলেছিল। তাদের আমিই বলেছিলাম কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমার ছবি তুলতে যেন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি আর কি।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:০৪
তারিখ: ১৪/১২/২২

এই পুরো ডেকোরেশনটা দুই একজনের সাহায্য নিয়ে আমিই সম্পন্ন করেছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি করার কারণে খুব বেশি গর্জিয়াস করতে পারিনি তবে কমের মধ্যে ভালই হয়েছিল ডেকোরেশনটি।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:০৫
তারিখ: ১৪/১২/২২

সিনানকে কোলে নিয়ে একটা ছবি তুলেছিলাম। সিনান ছবি তুলতে খুবই পছন্দ করে তাই সে আমার কোলে এসে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিল।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:০৭
তারিখ: ১৪/১২/২২

এই ছবিতে আছে বার্থডে বয় সিনানের বাবা এবং আমার নানু ও সিনানের দাদু। সিনান কেক পেলে কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়, এই পিকে হয়তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কেক কাটার জন্য কতটা আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:১১
তারিখ: ১৪/১২/২২

মামাকে বলেছিলাম চকলেট কেক আনতে, কিন্তু চকলেট কেকগুলো অর্ডার ছাড়া পাওয়া যায় না তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানিলা কেক আনতে হয়েছিল।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:১৭
তারিখ: ১৪/১২/২২

এই ছবিতে আছে বার্থডে বয় সিনানের দাদু, নানু এবং আপু।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:২০
তারিখ: ১৪/১২/২২

এনারা হচ্ছেন আমার নানু এবং নানী আর সিনানের দাদু এবং দিদা।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:২১
তারিখ: ১৪/১২/২২

এই ছবিতে আছে আমার বাবা, মা, মামাতো ভাই সিনান এবং মামাতো বোন সানজা।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:২৩
তারিখ: ১৪/১২/২২

এই ছবিতে আছে আমার বড় বোন @sadiahaque এবং বার্থডে বয় সিনান।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:২৭
তারিখ: ১৪/১২/২২

বার্থডে পার্টি হচ্ছে সবাই মিলে সেলফি না তুললে কি চলে। এই ছবিতে আমরা সব ভাই বোনরা একসাথে। সাদিয়া আপু , নোহান , সোহাগ, এবং আমি।

জায়গা: কুড়িগ্রাম
সময়: রাত ০৯:৩৩
তারিখ: ১৪/১২/২২

শেষমেষ আমাদের সকলের ছবি তোলার পালা শেষ হলো, এবার কেক কাটার পালা। এদিকে সিনান কেক কাটার জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা বেশি দেরি না করে কেক কেটে ফেলি।

অনেক দূর থেকে গেস্ট এসেছিল তাই এত তাড়াহুড়ো। কেক কাটার পর আবার সবাই খাওয়া-দাওয়া করে নিজ নিজ নীড়ে ফিরবেন। তাই আমরা আর বেশি দেরি না করে কেক কেটে খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলি।

আশা করছি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে , সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোস্টে আসার জন্য। আপনাদের সাথে আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোন এক পোস্টে সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।