The Diary Game || 29 September 2024 .
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং আজকের পোস্ট শুরু করছে। আজ সারাদিন কি করেছি সবটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি।
আজ ঘুম থেকে উঠেছিলাম তখন প্রায় সাড়ে পাঁচ টা বাজে,, বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চাই ছিলো না,, তবুও উঠে অজু করে নিলাম ভেবেছিলাম নামাজ আদায় করবো কিন্তুু আবার শুয়ে পড়েছি। ঘুমের মাঝেও চিন্তা করছিলাম হাজবেন্ডের জন্য নাস্তা তৈরি করতে হবে, কারণ কিছুক্ষণ পরে এসে উঠে পড়বে।
কিন্তুু ইচ্ছা করছিল না, তাই তাকে ডেকে বললাম আমি তুমি কিছু একটা তৈরি করে খেয়ে নিও কারণ, আমি জানি সে খুব দ্রুত নুডুলস রান্না করতে পারে।কিন্তুু কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম সেও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।। তাই আমি আর ইচ্ছা করেই উঠিনি।
এরপরে, সে সাত টা বাজে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে গেল।এবং বলল আমি যেন উঠে ঠিকঠাক মত সকালের নাস্তা টা করে নেই। এরপরে মেয়েকে ঘুম থেকে তুললাম নিজেও উঠলাম মেয়ে এবং আমার জন্য ঝটপট নুডুলস রান্না করে খেয়ে নিয়েছিলাম। তবে খাওয়ার সময় হাজবেন্ডের জন্য ভীষণ লাগছিলো বেচারা না খেয়েই অফিসে চলে গেছে।
তাই আমি আবার তাকে ফোন করে বললাম ক্যান্টিন থেকে কিছু খাওয়ার জন্য। এরপরে মেয়েকে নিয়ে রেডি হয়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য কারণ, আমার সিরিয়ালে সর্বপ্রথম দিয়ে রেখেছে। বাসা থেকে নামার পরে গাড়ি পেয়েছি, ভেবেছিলাম অটো তে করে যাবো। কিন্তুু ভাবলাম সরকারি গাড়ি থাকতে পাঁচ টাকা খরচ কেন বা করব। ভাববেন না আমি কিন্তু খুব একটা কিপটা না। কিন্তুু, সংসার করতে গেলে একটু হিসাব রাখা উচিত।
এরপরে, হসপিটালে চলে আসি হাসবেন্ড এসে খুব দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে দিল আমাকে। আমি যে ম্যাডামের কাছে গিয়েছিলাম উনি ভীষণ ভালো, তাই তখন মনে হচ্ছিলো আমি একদম সুস্থ।সাথে কথা বলতে আমার মা বলতো ডাক্তার পারে তার কথা দিয়ে রোগীর অর্ধেক রোগ ভালো করে দিতে।
এরপরে বাসায় চলে আসি এবং বাসায় এসে,আমি ও আমার মেয়ে কয়েক টা চকলেট খাই। ইদানিং চকলেট খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে, কিন্তুু এত চকলেট কোথায় পাবো যে দাম। এরপরে ঠান্ডা মাথায় দুপুরে রান্নাটা করে নিয়েছিলাম।আজ দুপুরে বেশ কয়েক টা আইটেম রান্না করেছিলাম।
দুপুরে রান্না শেষে গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম । নামাজ শেষ করে মেয়েকে নিয়ে দুপুরে খাবার খেতে বসেছিলাম। ঠিক তখনই হাজবেন্ড আসলো, তাই সে ফ্রেশ হবার সাথে সাথেই তাকে খাবার দিলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই মিলে বেশ কিছুটা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম।
বিকাল বেলার আজ হাঁটতে যাইনি, বাসায় সময় কাটিয়ে ছিলাম হালকা নাস্তার সাথে, সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিচে গিয়েছিলাম পানি আনতে সেই সাথে একটু সময় হাটাহাটি করছিলাম। ঠিক তখনই আপনাদের জন্য এই ছবিটা ধারণ করেছিলাম আমার ক্যামেরাতে।
আর যাব না এখানেই শেষ করবো,তো সবাই ভাল থাকবেন এবং আমার জন্য কিন্তু দোয়া করবেন,, আল্লাহ্ হাফেজ।
প্রতিদিন সকালে উঠে নাস্তা বানানোর মতো বিরক্তিকর কাজ আমার জীবনে বোধহয় আর একটাও নেই। যদিও এখন আর আমার আগের মতো চাপ নেই কারণ আমার ছেলেরা সকালে ইদানীগ নাস্তা খুব একটা করে না। কিন্তু বিয়ের পর থেকে এতগুলি মানুষের নাস্তা বানাতে গিয়ে বিরক্তিধরে গিয়েছিলো। এখনো সেটাই রয়ে গেছে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন যে ,চকোলেট খেতে খুব ভালো লাগে কিন্তু যা দাম !!