The Diary Game || 14-04-2024 || স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে সবসময় দিনটি।
Photo edited by canva
Hello,
Everyone,
ছোট বেলা থেকে এই পহেলা বৈশাখে দিন টা খুব সুন্দর উদযাপন করতাম, বৈশাখের এক তারিখ সবার জন্য আনন্দের একটা দিন। আমার বিয়ের আগে লাল সাদা শাড়ি পড়ে মাথায় খোপা গুঁজে ফুল লাগিয়ে মেলা দেখতে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে কম বেশি যাওয়া হতো। তবে বিয়ের পর থেকে পহেলা বৈশাখ টা ও ভাবে আর উদযাপন করার সুযোগ হয় না। তবে, এখন এই দিন টা আমার জন্য একটু অন্যরকম কারণ, পহেলা বৈশাখের দিন হলো আমাদের বিবাহ বার্ষিক।
আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে ছিলো, আট টা বাজে, যেহেতু বাবার বাড়িতে আছি তাই ঘুম থেকে উঠার কোন চিন্তা নেই। কি জানি মনে করে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, এর কিছুক্ষণ পরে ঘুম থেকে উঠেছি উঠে হাতমুখ ধুয়ে, আমার আম্মুর কাছে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আম্মু সকালের নাস্তা হিসেবে খাসির পা দিয়ে নিহারী রান্না করছে। সাথে ছিল রুটি, কি যে লোভনীয় একটি খাবার আমার কাছে।
বাড়িতে এসে দেখি আমার আম্মু দুপুরের রান্নার আয়োজন করছিলো, গরুর গোশত, চিতই পিঠা, এর সাথে ছিলো, ভাত চিংড়ি মাছ,ও বোয়াল মাছের ঝোল। এরপরে আম্মুকে দুপুর রান্নার কাজে একটু সাহায্য করেছিলাম। আম্মু রান্না প্রায় শেষের দিকে তাই আমি দুপুরে গোসল টা করে নিলাম।
গোসল শেষে এসে ভাবছিলাম আজ আমার বিবাহ বার্ষিক, কিন্তুু হাজবেন্ড এখনো আমাকে কিছু উপহার দিলো না কেন!! বিষয় টা নিয়ে একটু মন খারাপ হলো ঠিক,, তখন এই হাজবেন্ড এসে বললো দুপুরের খাবার টা তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে, এরপর আমরা বাহিরে বের হবো।
কথা টা শুনে তো আমি অনেক খুশি কারণ, অনেক দিন হলো কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয় না। এরপরে তাড়াতাড়ি করে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম,ও অল্প কিছু সময় রেস্ট নিলাম। কারন বাহিরে প্রচন্ড রৌদ্র ছিলো তাই রৌদ্রের মাঝে বের হয়নি। তাই কিছুক্ষণ পরে এই আমি আমার মেয়ে, এবং হাজব্যান্ড মিলে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
কিন্তুু প্রতিবারের মতো একটা কমন ঝামেলা এবার ও হয়েছিলো, তা হলে আমার হাজব্যান্ড বলছিল কোথায় যাবে? আর আমিও বলছিলাম কোথায় যাবে? কেন জানি এই মানুষ টা সবকিছু আমার উপরে চাপিয়ে দিতে একটু বেশি পছন্দ করে। তাই আমি বললাম কোটালীপাড়া নতুন একটা মার্কেট হয়েছে চলো ওখান থেকেই একটু ঘুরে আসি।
যে কথা সেই কাজ পৌর মার্কেট উদ্দেশ্যে রওনা করি, বাসা থেকে বের হতে হতে প্রায় আছরের আজান দিয়ে দিয়েছিলো, তবে রাস্তায় এসে এই গাড়ি পেয়েছিলাম। এরপরে আমরা গাড়িতে উঠে পারি। আবহাওয়া টা বেশ সুন্দর ছিলো, ঘুরতে বের হয়ে আমি যতটুকু খুশি ছিলাম। তার থেকে বেশি খুশি ছিলো আমার মেয়ে, মেয়ের এই আনন্দ দেখে বেশ ভালো লাগছিলো আমার ও।
এরপর খোলা আকাশের নিচে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করি, ছবি তুলি এবং হাজবেন্ডের সাথে অনেক রাগ, অভিমান, দুঃখ, না বলা কথা, সবকিছু মিলে একটু ঝাল, মিষ্টি বোঝাপড়া করে নিলাম। আমার মনে হয় এই রকম বোঝাপড়া মাঝে মধ্যে করা দরকার এতে নিজের ভিতর টা কিছুটা হলেও হালকা হয়।
ভাবছিলাম এই মানুষ টা সাথে দেখতে দেখতে আটটা বছর কেটে গেলো, সময় আমাদের জীবন থেকে কত দূরত্ব চলে যায়। তার কাছ থেকে কি পেয়েছি,বা কি পাইনি এই বোঝাপড়া করতে গেলে, আমার মনে হয় না কখনো সুখী হতে পারবো। তাই তিনি যে ভাবে রেখেছে সে জন্য এই আলহামদুলিল্লাহ বলি।
এরপরে চলে গিয়েছিলাম, এখানে নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে চাং পাং সেখানে গিয়ে আমরা তিন জনে মিলে তিন কাপ দই খেলাম। দই খাওয়া শেষ হালকা কিছু কেনাকাটা করি, মেয়ের জন্য সাথে আমার জন্য ও এরপরে, আরো কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি শেষ করে বাড়ি ফিরে আসি। কারণ তখন রাত প্রায় আটটা বাজে।
বাড়ি ফিরে হাতমুখ ধুয়ে, অল্প করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে আমি ঘুমাতে যাবো ঠিক তখন, হাসবেন্ড আমাকে আমার হাতে একটা উপহার ধরিয়ে দিলো, বললে এই টা তোমার জন্য। আমি কখনো ভাবি নি তিনি আমাকে এই জিনিস টা কিনে দিবে কারণ,, এর আগে তিনি আমাকে বলে দিয়েছিলো এই টা কখনোই আর কিনে দিবে না।
আর সেই জিনিস টা হলো ঘড়ি।ঘড়ি কিনে না দেওয়ার কারণ হলো, ছয় মাসের মধ্যে আমার চার টা ঘড়ি হারিয়ে গিয়েছে। তাই সে বলেছিলো আমাকে নাকি কখনো ঘড়ি কিনে দিবে এই না। অবশেষে আবার একটা নতুন ঘড়ি তাই হাতে পেয়ে প্রথমে এই একটু মুচকি হাসি মুখে চলে আসলো। ঘড়ি টা হয়তো খুবই ছোট একটা উপহার তবে, এর মূল্য আমার কাছে অনেক খানি। দ্বিতীয় বার চাই না আর এটা কে হারাতে,,,যাইহোক দোয়া করবেন আমাদের জন্য কারন, আমি চাই এর রাগি মাথার মানুষ টা কে নিয়ে বাকি জীবন টা কাটাতে।
আপু প্রথমেই আপনাকে জানাই বিবাহ বার্ষিকির শুভেচ্ছা। যুগ যুগ ধরে টিকে থাকুক আপনাদের এই ভালোবাসা ও ঘরসংসার সেই কামনা করছি। দিনটি আপনি দারুনভাবে উপভোগ করেছেন। খাওয়া দাওয়া এবং বিকেলে ভাইয়া আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া সব কিছুই দারুণ ছিলো। বেশ উপভোগ করলাম আপনার লিখা।
ভালো থাকবেন আপু। শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনাদের দোয়া থাকলে অবশ্যই যুগ যুগ ধরে টিকে থাকতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
প্রথমেই আপনাকে বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি আজকের দিনটার মত আপনার আগামী দিন অনেক বেশি সুন্দর হবে, এবং এভাবেই নিজের পরিবার নিয়ে হাসিখুশি ভাবে, বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে হাজবেন্ডের সাথে খুব সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে কিছু কিছু পুরুষ মানুষ আছে। যারা অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়ে যায়। যার কারণেই হয়তো বা তার স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয়। আপনার হাসবেন্ড ঠিক সেইরকম। ধন্যবাদ নিজের পরিবারের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাবো খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আমিও চাই পরিবারটা কে নিয়ে সবসময় এভাবেই হাসি খুশি ভেবে জীবন কাটাতে।
আপনার লেখা পড়তেছিলাম আর ভাবতেছিলাম যে বিবাহ বার্ষিকী নাকি নববর্ষের শুভেচ্ছা কোনটা আগে জানাবো। পরে ভাবলাম দুটোই একসাথে জানালে কেমন হয়।তাই শুভ বিবাহ বার্ষিকী ও শুভ নববর্ষ।
বিবাহ বার্ষিকীর দিনটা ভালোই কাটিয়েছেন সাথে নতুন ঘড়িও গিফট পেয়েছেন।এরকম ভাবে আমার হাসবেন্ডও বলে যে জীবনে আর তোমাকে এটা কিনে দিবো না।কিন্তু দেখা যায় পরে একসময় ঠিকই নিয়ে এসেছে।
ভালো লাগলো নতুন বছরের প্রথম দিনে এমন সুন্দর সব ছবি দেখতে ও পড়তে।
সারাটাজীবন এমনই সুন্দরভাবে কেটে যাক দিনগুলো এই প্রাথনা করি।
একদম তাই গিফট পেয়ে আমি বেশ আনন্দিতা। হাজব্যান্ড রা এমনই হয় রাগের মাথায় অনেক কিছুই বলে তবে ঠান্ডা মাথায় যেটা সঠিক সেটাই করে।।।
প্রথমে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। সেই সাথে শুভ বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।
প্রতিটি মেয়েরাই বাবার বাড়িতে গেলে কোন চাপ থাকে না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিহারি দিয়ে রুটি খেয়েছেন। দুপুরের খাওয়া করে বিকেলবেলা ঘুরতে গিয়েছেন। পহেলা বৈশাখের দিন বিকেল বেলা আসলেই ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
একদম ঠিক মেয়েরা বাবার বাড়িতে গেলে কোন চাপ থাকে না শুধু খাওয়া দাওয়া এবং ঘুম এর থেকে শান্তির জায়গা আর হতেই পারে না।।।
আর হ্যাঁ ঘুরতে বের হতে আমার বেশ ভালো লাগে আর যদি বিশেষ কোনদিন এ তাহলে তো কথাই নেই।।।
শুভ বিবাহ বার্ষিক, আপু। আপনাদের দুজকেই অভিনন্দন। আজকের দিনটা আপনার কাছে অনেক বেশি স্মরণীয়। বেশি কিছু বলবো না একটাই কথা বলবো সারাজীবন এভাবেই ভালো থাকবেন পরিবারকে নিয়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই দোয়া করবেন যেন সারাটা জীবন এভাবেই কাটাতে পারি পরিবারের সাথে থেকে।।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।।
এই বৈশাখের দিন টা আগে অনেক বেশি উদযাপন করা হতো কিন্তু বর্তমান সময়ে আর আগের মত হয় না।। শুনে ভালো লাগলো আজকে আপনার বিবাহ বার্ষিকী তাই ভাইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন কখনো আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে।। অবশেষে আজকে আপনাদের বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেছিলাম সব মিলিয়ে আনন্দের সাথে দিনটি পার করেছেন।।
আমরা সবাই কম বেশি প্রিয় মানুষের কাছ থেকে সারপ্রাইজ পেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আর তাই একটু অপেক্ষায় ছিলাম। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
আর হ্যাঁ প্রিয় মানুষগুলো আমাদের কোন কিছু উপহার দিলে এর মত খুশি আর হয় না।।
প্রথমে আপনাকে বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল,,আপনার বিবাহ বার্ষিকীর উপলক্ষে আপনার হাজব্যান্ড খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেল।
এরপর আপনার বিবাহ বার্ষিকীর উপলক্ষে আপনার খুব সুন্দর একটি উপহার দিল। আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল যুগ যুগ ধরে আপনাদের ভালোবাসা এরকম যেন চলে। আর পরিবারের সকলকে যেন হাসিখুশি রাখতে পারেন। thank you