The diary game 18 april 2024,, বিয়ের দাওয়াতে আজকের দিন ।
Photo edited by canva
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ভোর পাঁচ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে, আজ হঠাৎ করে, কি যেন কি মনে করে, হাতে আয়না টা নিয়ে বসেছিলাম। আর অনেক টা সময় আয়না হাতে নষ্ট করেছি।
এবং তার মাঝে খেয়াল করলাম শাশুড়ি আম্মা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে বসে আছে। তাই আমি উঠে তার জন্য এবং আমার জন্য, দুই কাপ দুধ চা তৈরি করলাম একদম খাঁটি দুধ ছিলো। এরপরে আমি এবং শাশুড়ি আম্মা গল্প করতে করতে চা দুই কাপ শেষ করেছি। এর মাঝে মেয়ে ঘুম থেকে উঠেছে, এবং আমার শাশুড়ি আম্মা বললো একটু লাচ্ছি সেমাই রান্না করার জন্য।
আমিও আর দেরি না করে, সেমাই রান্নার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। সকালে রান্নার কোন তাড়া ছিল না কারণ, গত কাল রাতের অনেক তরকারি রয়ে গিয়েছে। ভাবছি তাই গরম করে সকালের নাস্তা টা করে নিবো সাথে থাকবে লাচ্ছি সেমাই, যে ভাবা সেই কাজ সকালের নাস্তার পর্ব শেষ হলো।
আজ আমাদের একটা বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে পরিবারের সকলের। মূলত এই দাওয়াত টা হলো আমাদের এলাকার মেম্বারের বাড়িতে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত। তাই আর দুপুরের রান্নার কোন চিন্তা নেই। সেই কারণে দুপুরে গোসল টা করে নিয়েছি আমি। গোসল শেষে সবাই মিলে তৈরি হয়ে নিলাম বিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
সেখানে গিয়ে দেখি অনেক বড় আয়োজন করা হয়েছে, আমাদের গ্রামে প্রতি টি পরিবারের সবাইকে এই বিয়ে অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে, মোট ২০০০ হাজার লোকের আয়োজন করা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় একটা এই খুব একটা ভালোভাবে ছবি তুলতে পারি নি কারণ, আমার শশুর বাবা আমাদের সাথেই ছিলো তিনি আবার হুটহাট ছবি করা খুব একটা পছন্দ করেন না, তাছাড়া আমি আবার সবার পছন্দের দিকে একটু বেশি দায়িত্ব শীল তাই সেই কারণে এই ছবি তোলা হয়নি।
যাইহোক, এরপরে আমরা সবাই মিলে বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে গেলাম, সেখানে গিয়ে প্রথমে এই বর এবং বউয়ের সাথে একটু দেখা করে নিলাম। এরপরে গিফট দেওয়ার কাউন্টারে চলে গেলাম, গিফট দেওয়া শেষে আমরা আস্তে ধীরে খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ন করি। ঝরঝরে পোলাও ডিমের কোরমা, চিংড়ি মাছের মালাই কারি, মুরগির রোস্ট, গরুর গোশত ভুনা,এর সাথে ছিলো পায়েস, শেষ পাতে রসগোল্লা,ও 7up, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পান নেওয়ার সেক্টরে চলে গেলাম। খুব একটা পান খাই না তবে, এত সুন্দর করে পান গুলো সাজিয়ে রেখেছিলো। দেখে এই লোভ লাগছিলো তাই হাজবেন্ডের সাথে আমিও একটা পান খেয়ে নিলাম।
অবশেষে, বলতে এই হবে সব মিলিয়ে খাবার টা বেশ সব দিক দিয়েই পারফেক্ট ছিলো, তাই একটু বেশি খেয়ে নিয়েছিলাম আমি, এরপরে আমার একদম এই হাঁটতে মন চাইতে ছিলো না, তাই শাশুড়ি আম্মা আমার চাচা শ্বশুরের বাসাতে নিয়ে গেলেন যেহেতু খুব একটা দূরে নয়। তাই ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় রেস্ট করি।
কিন্তুু এখানে এসে আমার সাহেব এবং আমার শাশুড়ি আম্মা এমন ঘুম দিয়েছে, দুপুর গড়িয়ে বিকাল শেষ হয়ে গেলো,, তবুও তাদের উঠার নাম নেই তাই আমি তাদের কে ঘুম থেকে জোর করে তুলে ছিলাম। এরপরে আমাদের এই বিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। আর বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা সাত টা বেজে গিয়েছিলো।
বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে, কিছু টা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম। যেহেতু রাতে খাবার খাওয়ার কেউ ইচ্ছা ছিল না, তাই আমাকে আর কষ্ট করে রান্নাঘরে যেতে হয়নি। এরপরে আমি আমার ভাইয়ের সাথে কিছু টা সময় কথা বলেছিলাম। কথা বলা শেষ করে মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম।
বিয়ে বাড়িতে তো বিশাল আয়োজন করেছে দেখছি। ২০০০ লোকের আয়োজন করা এত সহজ ব্যাপার নয়। আর খাবারের মেনু ও চমৎকার ছিল। হয়তো অনেক সুস্বাদু ছিল যার কারণে আপনি একটু বেশি খেয়ে ফেলেছেন। তবে ব্যাপার না বিয়ে বাড়িতে একটু বেশি খাওয়াই উচিত। বিয়ে বাড়িতে রান্নাটা স্পেশালি করা হয়। তাই খাবার অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
একদম তাই অনেক বড় আয়োজন এবং অনেক বড় ব্যাপার স্যাপার ছিলো।
আর খাবার তো অবশ্যই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো সেই কারণেই হয়তো একটু বেশি খেয়ে নিয়েছিলাম,, আর আমার মনে হয় কোন অনুষ্ঠানে গেলে একটু প্রতিদিনের তুলনায় বেশি খাওয়া উচিত। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বউ শাশুড়ি খাটি দুধ দিয়ে দুধ চা করে খেতে খেতে গল্প করলেন। এরপর শাশুড়ির কথা মতন লাগছে সেমাই রান্না করলেন।
তবে আজকে দুপুরে রান্না করব ঝামেলা ছিলনা, বিশাল বড় বিয়ে বাড়িতে গেলেন এবং মজার মজার খাবার খেলেন। আর বিয়ে বাড়িতে মজার মজার এবং স্পেশাল খাবারই তৈরি করা হয়।
আর স্পেশাল খাবার-দাবার থাকলে একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া হয়। তবে কোন ব্যাপার না বিয়ে মানেই তো শুধু খাওয়া আর খাওয়া। আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো থ্যাঙ্ক ইউ।
বিয়ে বাড়ির আনন্দ টা সবাই দারুন ভাবে কাটে।আপনার ডায়েরি গেমটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো।মনে হচ্ছে আপনার শাশুড়ির সাথে খুব ভাল সম্পর্ক। বেঁচে থাক এমন ভালবাসা।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে চেষ্টা করি শাশুড়ি আম্মাকে ভালোবাসার এবং তার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করার।।
দোয়া করবেন যেন এভাবেই থাকতে পারি।।
সকাল বেলা উঠে নামাজ পড়ে এক কাপ চা খেলে শরীরটা অনেকটা ফ্রেশ লাগে। এখনকার বিয়েতে ৫০০ থেকে ৭০০ সর্বোচ্চ এক হাজার মানুষ কষ্ট হয়ে যায়। এই বিয়েতে দুই হাজার লোকের আয়োজন একটা সহজ না। এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, সুষ্ঠু ভাবে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়েছে। সুন্দর খাবার খেয়ে আবার উপর সুন্দর একটি ঘুম দিয়ে চলে এসেছে
সর্বোপরি আপনি একটি সুন্দর দিন কাটিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
হ্যাঁ একদম তাই ২০০০ মানুষের আয়োজনে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে তাদেরকে।। তবে আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু সুষ্ঠুভাবেই হয়েছিল।
সর্বপ্রথম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য, যখন আপনার পোস্ট আমি পরিদর্শন করি তখন শুধু আমার একটি কথাই ভালো লাগে আপনারা বউ শাশুড়ি এত সুন্দর ভাবে মিশে থাকেন আপনাদের মাঝে এত ভালোবাসা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে প্রত্যেকটা ঘরে আপনার মত বৌমা এবং আপনার শাশুড়ির মত একজন শাশুড়ি আম্মা আমার মনে হয় থাকা উচিত।
এত বেশি ভালো বলবেন না,,🤭 আমি কি করছি না করছি জানিনা তবে ,,চেষ্টা করছি এই পরিবারটা কে নিয়ে একটু শান্তিতে থাকা জন্য।
আর শান্তিতে থাকতে প্রতিটা মানুষের ভালোবাসা কে মূল্য দিতে হয় আর আমি সেই চেষ্টাটাই করছি।।
সবশেষে বলবো দোয়া করবেন আমাদের জন্য।।।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ আদায় করেছেন। পরে শাশুড়ির কথা মত সেমাই রান্না করেছিলেন।
এদিকে আপনাদের এলাকার এক মেম্বারের বাসায় বিয়ের দাওয়াত ছিল। সেখানে সবাই মিলে গিয়ে দাওয়াত খেয়েছেন।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক দিন থেকে বিয়ে খাওয়া হয় না আপনার পোস্ট টি পড়ে বিয়ের দাওয়াতের আনন্দের মূহুর্ত গুলো অনুভব করতেছি ৷ যাই হোক বিয়ে বাড়ি এবং বিয়ের দাওয়াতে বেশ মজাই করেছেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
সকল শাশুড়িদের সাথে মেয়ে ও মায়ের মত সম্পর্ক গড়ে ওঠার টা অনেক ভালো। আপনার শাশুড়ি মায়ের সাথে আপনার সম্পর্কটা খুব ভালো।
সকালবেলা দুজনে গল্প করতে করতে চা খাওয়া হয়ে গেল এবং শাশুড়ি মায়ের কথা অনুযায়ী আপনি সেমাইও রান্না করলেন।
আজকে দুপুরে কোন রান্নায় চাপ ছিল না কারণ আপনাদের বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত ছিল। আসলে তা ঠিক অনেকেই হুটহাট করে ছবি তোলাটা পছন্দ করে না তবে তারা তো জানে না আমরা শুধু এমনিতেই ছবি তুলিনা । এটি আমাদের একটি কাজে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিন ছবি তুলতে হবে, সেগুলো দিয়ে আমাদের পোস্ট করতে হবে কিন্তু এগুলো আমরা অন্যদেরকে বোঝাতে পারছি না।
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন আর এভাবে নতুন নতুন আকর্ষণীয় পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিবেন।
আমি আপনার লেখা পড়তেছিলাম আর ভাবতেছিলাম এই গরমে কে বিয়ে করে। না সাজগোজ করে শান্তি না জামাকাপড় পরে শান্তি না খেয়ে শান্তি। কোনোভাবেই ভালো লাগবে না। পরে অবশ্য আপন মনেই হেসে ফেলেছি এটা ভেবে যে ,আমার চিন্তার সাথে মিলিয়ে মানুষের বিয়ে করতে বয়েই গেছে।
২০০০ মানুষের আয়োজনতো বেশ বড় আয়োজন। অবশ্য মেম্বারের ছেলের বিয়ে বলে কথা।
টবে আপনার জন্য ভালো হয়েছে যে রাতে আর কিছু করতে হয় নাই।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় ,এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কমেন্ট পড়ছিলাম এবং হাসতে ছিলাম, বলতে গেলে কথাটা একটু পাঁকা কথা হয়ে যাবে,,।
তবে এটা সত্যি বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েরা বিয়ের জন্য একটু আগ্রহী বেশি থাকে,,, তাই আমার মনে হয় তারা গরম আর শীত কোনটা এই দেখতে চায় না।।।
কারণ তারা ভাবে তাদের পাখি যদি আবার অন্য খাঁচায় বাসা বাঁধে,,। তাই কাজের কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলে।।
কিন্তু আমার মত গরম শীত কোনটাই যারা পছন্দ না করে,,
তাদের জন্য বিয়ে খেতে গিয়ে হয়ে যায় বড় মুশকিল।।। কোনটাই শান্তি মত করা যায় না।।।
যাইহোক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।।