ঈদের ছুটি কাটিয়ে, ফিরছি আবার নিজের গন্তব্য স্থানে। (June 28th, 2024)
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা,
আজ কে সকাল টা আমি শুরু করে ছিলাম ভোর চার টা বাজে,আজকে ঢাকায় যাবো বলে গতকাল রাতে সব কিছুই গুছিয়ে রেখেছিলাম।ঘুম ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে,প্রথমে গিয়েছিলাম রান্না ঘরের দিকে এবং আমি ভাত বসিয়ে দিয়েছি,এবং থালা বাসন গুলো ধুয়ে নিয়ে ছিলাম। আমার শাশুড়ি আম্মা অন্যদিকে রান্নার কাজ করছিলেন।আমি সাড়ে ছয়টার দিকে বের হবো বলে, শাশুড়ি আম্মা খুব দ্রুত রান্না টা কমপ্লিট করলেন।
রান্না শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমি খাবার খেয়ে নিলাম।যদিও এত সকাল বেলা খাওয়ার অভ্যাস আমার নেই তবুও কষ্ট করে কিছুটা খেয়েছি। এরপর মেয়ে কে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম।ওকে ফ্রেস করে রেডি করে নিলাম কারণ, এত সকালে ওকে খাবার খাওয়াতে গেলে পুরো টা সময় নষ্ট হবে। তাই দুই পিস কেক খাইয়ে নিলাম।
এরপরে, আমি নিজে রেডি হয়ে নিলাম। অন্যদিকে শ্বশুর একটা অটো গাড়ি ঠিক করে রেখেছে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য। আমার রেডি হওয়ার শেষ হতে এই গাড়ি চলে আসলো।এরপরে শশুর শাশুড়ির কাছে বলে বিদায় নিলাম।
ওই সময় টা আমার কাছে এত বেশি খারাপ লেগেছে, যে টা ভাষা দিয়ে বোঝানো যায় না।একটা পরিবারে তিন টা মানুষ ছিলাম থেকে আমি চলে যাচ্ছি পুরো বাড়ি জুড়ে শশুর শাশুড়ি থাকবে।বিশেষ করে আমার শাশুড়ি আম্মা আমার মেয়ের অনেক পাগল। যাওয়ার সময় আমাকে এবং আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আদর করছিলো,সত্যি ওই সময় চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারিনি।
সৃষ্টিকর্তা দুই দিনের এই পৃথিবীতে আমাদের ভিতরে এত মায়া দিয়ে দিয়েছে। যেটা বড়ই অদ্ভুত,বর্তমানে আমি এমন একটা পরিস্থিতি তে আছি।যার জন্য আমার খুবই খারাপ লাগে। এই বাড়িতে তাদের কে একা রেখে যেত মন টা ভীষণ কাঁদে। অন্যদিকে হাজব্যান্ড কে চার দিনের কথা বলে ১৪ দিন এসে থেকে গেলাম।তার জন্য আবার চিন্তা হয়।মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছা হয় আর ভালো লাগেনা।
এরপরে বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি।এখানে এসে আমরা ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করি। কারণ, আমরা দুই জন আজ একসাথে ঢাকায় যাবো ও মাদ্রাসায় যাবে আর আমি বাসাতে। আমার ভাইয়ের সাথে আমার আম্মু এসেছিলো এবং সাথে করে অনেক কিছু নিয়ে আসলো আমার জন্য।এরপরে আম্মুর সাথে কথা বলে তাকে বিদায় জানালাম এবং আমরা টিকিট কেটে গাড়িতে উঠে পড়ি।
তখন প্রায় সাত টা বাজে,এবার আমরা বরিশালের গাড়িতে উঠেছি,পদ্মা সেতু দিয়ে গুলিস্থান গিয়ে নামবো সে জন্য।এবার আসার সময় একটা জিনিস ভীষণ উপভোগ করেছি। পদ্মার এপারে যখন ছিলাম অনেক বেশি রোদ এবং আবহাওয়া খুব গরম ছিলো।গরমে গাড়িতে বসে মাথা ঘুরানোর মতো অবস্থা।ঠিক পদ্মা সেতুর টোল দেওয়ার পরে যখন গাড়ি টা সামনে আগাতে থাকলো,ধীরে ধীরে খেয়াল করলাম বৃষ্টির পরিমাণ টা অনেক বেশি।জানালার কাছে বসাতে আমি অনেক টা ভিজেও যদিও গাড়ির কাঁচ গুলো ভীষণ ভালো ছিলো তবে, বৃষ্টির পরিমাণ ও অনেক বেশি ছিলো।
ঠিক আবার যখন,কেরানীগঞ্জ দিয়ে ঢাকার ভিতরে গাড়ি টা ঢুকতে ছিলো তখন অনেক রোদ্র ছিলো,আর গরমের কথা নাই বলি।এই রোদ্র, বৃষ্টি, রোদ্র এই করতে করতে আমরা ঠিক দশ টা বাজে। বিজিবি এক নাম্বার গেটে এসে পৌঁছেছি,এরপর হাজবেন্ড আসলো তিনি এসে আমাদের ভিতরে ঢুকালো। এরপরে আমরা বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। সাথে আমার ভাইও এসেছে তবে, আজ বিকালে এই চলে যাবে।দুপুরের রান্নার চিন্তা করতে হয়নি হাজবেন্ড আগে থেকে এই ভাত রান্না করে রেখেছিলো।অন্যদিকে আমার আম্মু অনেক খাবার রান্না করে দিয়েছে।তাই সমস্ত কাজগুলো গুছিয়ে গোসল শেষে খাবার খেয়ে রেস্ট নিতে চলে গিয়েছিলাম।
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আপনি ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন ।আসলে বাড়ির প্রত্যেককে ছেড়ে আসতে সত্যি খুব কষ্ট হয়। আপনি অনেক দিন শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। শশুর ,শাশুড়ি কে ছেড়ে আসতে খারাপ তো লাগবেই। কিন্তু কি করা যাবে? কাজের সূত্রে তো বাইরে থাকতে হবে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
অবশেষে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন নিজেদের বর্তমান ঠিকানায়। আসলে যাদের হাসবেন্ড বাইরে চাকরি করে, তাদের এই এক সমস্যা। একদিকে শ্বশুর শাশুড়ি ,বাবা মা অন্যদিকে হাজবেন্ডের কাজ, সব দিক সামাল দিতে গিয়ে কোথাও যেন নিজেরা দোটানায় পড়ে যেতে হয়। তবে যেহেতু হাজব্যান্ড একা থাকে, তাই তার খেয়াল রাখাটাও জরুরি। তাই ওনার সাথে ঢাকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক নিয়েছেন। এমনভাবে মাঝে মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পৌঁছে যাবেন বাকি সকলের কাছে, এই যাতায়াতের মাধ্যমে সম্পর্কগুলো আরও বেশি মজবুত হোক,এই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন।
অনেকদিন ঈদের ছুটি কাটানোর পর আবারো আপনি আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থানে অনেক সুন্দরভাবে এসে পৌছাইছেন এ কথা শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে আপনি আজকে বাড়ি থেকে এসেছেন এ বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ওই যে একটা কথা আছে না, যে পাখি সারাদিন যেখানেই থাকুক না কেন দিন শেষে তাকে নীড়ে ফিরে আসতে হয়। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবারও নিজের গন্তব্যস্থল ঢাকা শহর ফিরে এসেছেন। তবে আপনার হাসবেন্ড আপনার জন্য রান্না করে রেখেছে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। ভাই বোন মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।