Better Life With Steem | The Diary game | February 12 , 2024

in Incredible India4 months ago

Brown Floral Vision Board Photo Collage.png

Photo edited by canva

Hello,

Everyone,

ব্যস্ততার মাঝে আজকে আমার সারাটা দিন

শুরু করছি ভোর চার টা থেকে,

হাসপাতালে আজ তৃতীয় দিন আজ আমাদের, আজ আমাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দিবে। ভোর চার টা দিকে ঘুম ভেঙ্গেছে, উঠে প্রথমে নিজে ফ্রেশ করে নিলাম, এরপরে শাশুড়ি আম্মাকে ও এবং তাকে ওষুধ খাইয়ে দিলাম গতকালকের মতো আজও সকালে এসে ডাক্তার দেখে গেলো শাশুড়ি আম্মাকে এবং দেখে জানালো সব কিছু ঠিক ঠাক আছে,,,

  • এরপরে, বাহির থেকে কিনে আনা খাবার দিয়ে সকালে নাস্তা করলাম এবং হসপিটাল থেকে শাশুড়ি আম্মাকে খাবার দিলো, এর কিছুক্ষণ পরে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাই এবং শ্বাশুড়ি আম্মাকে ডাক্তার দেখে বললো, সমস্যা নাই এখন ঠিক আছে। কিন্তুু ,এক সপ্তাহ পরে আবার আসতে হবে এ কথাটা শুনে আমি একদম হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। কারণ, এমনিতে এই মেয়েকে ছাড়া এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে আবার যদি এক সপ্তাহ থাকতে হয়।

এরপরে হাসপাতাল থেকে আমরা ব্যাগ গুছিয়ে, আমি আমার মামাতো ভাইয়ের বাসাতে চলে আসি, ঢাকায় এসে আমি রাস্তাঘাট খুব একটা চিনি না । তবে যতটুকু চিনি ততটুকু আমার হয়ে যায়, তবে মেট্রোরেল হয়ে বেশ সুবিধা হয়েছে আমার খুব দ্রুত এসেই পৌঁছে গিয়েছি। প্রথমে গোসল করে নিজেকে একটু হালকা করে নিলাম। এরপরে হাজবেন্ড এর কাছে ফোন দিয়ে জানাই আমি এখন কি করবো, এবং তিনি বললো শাশুড়ি আম্মাকে ছোট খালা শাশুড়ি বাসাতে রেখে, আগামীকাল সকালে বাড়ি ফিরে যেতে আমাকে। এবং তার কথা অনুযায়ী আমি কাজ শুরু করি। ছোট খেলা শাশুড়ি কে ফোন দিলাম এবং তিনি এসে আমাকে নিয়ে গেলেন।

  • আমি জানিনা আমার শাশুড়ি কে আমি কতটুকু ভালবাসতে পেরেছি,, তবে কেন জানি তাকে রেখে আমি বাড়ি যাব এ কথাটা বলতেই নিজের অজান্তেই চোখের কোনে পানি চলে আসলো,, এরপর তাকে খালা শ্বশুড়ি বাসাতে পাঠিয়ে দিলাম, এবং তাকে বলে দিলাম চিন্তায় কোনো কারণ, নেই আগামী সপ্তাহে আমি আবার ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখি আপনাকে বাড়ি নিয়ে যাবো। তবে আমার বেশ খারাপ লাগছিলো। শাশুড়ি আম্মা চলে গেল তখন প্রায় দুপুর দুই টা বাজে, এবার আমার বাড়ি ফেরার পালা।

এখন প্রায় তিন টা বাজে মামা তো ভাইয়ের বউকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি, প্রথমেই মিরপুর দুই নাম্বারের যাই এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে নিলাম। টিকিটে আমার কাছ থেকে ৫৫০ টাকা রেখেছে, এরপরে মিরপুর ১০ নাম্বারে গিয়ে আমার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম তার মধ্যে ছিলো বই, সাথে ছিল মেয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা। এরপরে মামাতো ভাই একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল এবং সেখানে গিয়ে কিছু খাবার খেলাম, এসব শেষ করে, বাসায় ফিরতে প্রায় দশ টা বেজে গিয়েছে।

বাসায় ফিরে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বাহির টা দেখছিলাম এবং আমার আম্মুর সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম। এরপরে আমার ব্যাগ টা খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একদম রেডি করে রাখলাম, রাতে খাওয়ার খুব একটা ইচ্ছা ছিলো এই না, কিন্তুু ভাবি এসে বলল তাড়াতাড়ি এসো তোমার ভাইয়া চুল ঝালের গরুর মাংস এনেছি এটা শুনে আর না খেয়ে থাকতে পারলাম না। তাই রাতের খাবার শেষ করে প্রায় বারোটা বাজে ঘুমিয়ে পড়লাম।

এইতো এই ছিলো আমার আজকের দিনের কার্যক্রম অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আজকের দিনটা কেটেছে আমার। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন, দোয়া করবেন আমার জন্য।


"আমার এই পোস্ট টা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ"

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHLCesrYQeLFEN3XWqtzgugDvKSjLVorzHmsDV9fsCYARi3rzgEWfrvmwA657nCqYe5UwnnVK4Dxytu7ugFVWiW3mjezc1nCAisbww4sYtHPgvEw.png

Sort:  
 4 months ago 

আপু শুনে ভালো লাগলো যে এখন আপনার শাশুরি আগের থেকে কিছুটা সুস্থ। ডাক্তার ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ বাদে আবার ডেকেছে। এদিকে আপনি অনেকদিন হলো আপনার সন্তাকে দেখেন না। সব মিলিয়ে অনেক প্রেসানিতে আছেন। আশা রাখি খুব দ্রুত আপনার সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন আপু।

 4 months ago 

একদম ঠিক তাই অনেক প্রেসানির মধ্য দিয়ে আমার দিন যাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

Loading...
 4 months ago 

হসপিটালে গেলেই সুস্থতার মর্ম খুব ভালোভাবে বোঝা যায়।। শুনে ভালো লাগলো আপনার শাশুড়ি এখন ভালো আছে।। আর হ্যাঁ আপন মানুষজনকে রেখে আসার সময় একটু খারাপ লাগে।। আর মামাতো ভাই ও তার বউ সহ বেশ ঘোরাঘুরি করেছেন সেই সাথে টিকিটও কেটেছেন।।।

 4 months ago 

বাড়িতে আসার জন্য মনটা ছটফট করতে ছিল আর টিকিট কাটার পরে বেশ ভালই বোধ করছিলাম, সকাল থেকে রাত অব্দি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আমার দিন টা তবে দিনশেষে ভালোই লেগেছে।

 4 months ago 

আসলে বাড়ির বাইরে গেলে তখন বাড়ির কথা খুবই মনে পড়ে।। যেহেতু বাইরে ছিলেন তাই ব্যস্ততার মধ্য বেশি ছিলেন।

 4 months ago 

শাশুড়ি মায়ের সাথে এই কয় দিনে আপনি যথেষ্ট পরিশ্রম করলেন। আরো থাকতে হবে শুনে মেয়ের কারণে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে আপনার স্বামী আপনার ভরসা। তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনাকীর্ণ ঢাকা শহরে আপনি যে সাহসের সাথে চলেছেন এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আপনি আপনার জীবনে প্রতিটি প্রতিকূলতাকে পার করে সফল হোন এই কামনাই করছি।

 4 months ago 

আমাদের জীবনটা খুবই ছোট্ট তবে এই ছোট জীবনে লড়াই গুলো হয় অনেক বড় বড়।
আমার এই জার্নিটি তে একটা জিনিস শিখেছি কখনো কোন কিছুতে সাহস হারাতে নেই। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 4 months ago 

অনেক সাহসী না হলে আসলে ঢাকায় এসে এভাবে চলাচল করাটা অসম্ভব হয়ে যেত। হস্পিটাল থেকে শুরু করে সব যায়গায় যেভাবে একাই চলেছেন তাতে সত্যই অবাক হয়েছি। শাশুরির প্রতি আপ্নার এই ভালোবাসা সত্যি অনেকের জন্যে শিক্ষনীয়

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 64024.15
ETH 3515.24
USDT 1.00
SBD 2.55