Better Life with Steem | The Diary Game|4 February 2024| Day to go to in-laws house.
Photo edited by canva
প্রথমে, সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আজকের দিন টা খুব সুন্দর ভাবে কাটাতে পেরে, আজ আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে চলে এসেছি, এবং সারাদিন কি কি করছি এটাই শেয়ার করব চলুন:-
![]() |
---|
সকালে মেয়েকে দাঁত ব্রাশ করানোর সময় |
---|
![]() |
---|
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQnozWKsPuh5DsZJzneEdyoNq8RjnaKxPAncVEc6RNeYt/APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwG...x6wfZjZLosucmv9nWq1U9CQuccghJ6GMVXk44vU13efv4TV3Gr9UvvmQC11SFH2GuHU1Upe9w5tVrZqrA9aixUmguhU7yW54aBV34tkzgX9FdrtvLp7rcV6oB4.png)
মেয়েকে রেখে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গোছানোর সময় |
---|
![]() |
---|
আমি আজ শ্বশুর বাড়ি চলে যাচ্ছি ঠিক তবে, আমার মেয়ে আমার বাবার বাড়িতে তিন থেকে চার দিন থাকবে, কারণ আমি এখান থেকে গিয়ে আমার শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে তাই, আমার মেয়ে কে আমার আম্মুর কাছে রেখে যাচ্ছি। এজন্য মেয়ের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস রেখে গেলাম এবং আমার মেয়ের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস হলো বই,খাতা, পেন্সিল, রাবার কাটার, ইত্যাদি তার ব্যাগে গুছিয়ে রাখলাম। আমার মেয়ে তার নানু বাড়ি থাকতে চায় আর অন্যতম কারণ হলো, তার নানুর সাথে প্রতিদিন ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে পারবে।
দুপুরে বেলা মেয়েকে খাওয়ানোর সময় |
---|
![]() |
---|
আমরা চলে যাব দেখে আমার আম্মু খুব দ্রুত দুপুরে রান্নাটা সেরে ফেলেছে, তাই প্রথমে আমি খেয়ে নিলাম এবং আমি খেয়ে মেয়ে কে খাওয়ানো শুরু করি কারণ, যদি হাত দিয়ে খেতে বলি তাহলে তিন ঘন্টা ও শেষ হবে না, এই বাড়িতে আসার পরে আমার আম্মু সব সময় আমার মেয়েকে খাইয়ে দেয়, কিন্তুু এখন কাজের জন্য সময় পাচ্ছেন আবার আমরা চলে গেলে আমার আম্মু খাইয়ে দিবে, তাই আমি হেঁটে হেঁটে আমার মেয়েকে তাড়াতাড়ি করে খাইয়ে দেই। যদিও এক জায়গা তে বসে কার্টুন দেখিয়ে খাওয়ানো শেষ করি তবে, আজ আর সেটা দেইনি।
বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসার সময় |
---|
আমরা রেডি হয়ে নিয়েছি সেই সাথে আমার মেয়ে এবং আমার আম্মু রেডি হয়েছে কারণ, তারা একটু আমাদের বাজারে যাবে প্রয়োজনীয় কাজে, এবং আমরা চলে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে একটু তার বাবার সাথে কথা বল ছিলো, তখন আমি এই ছবি টা তুলে রাখি । কিন্তুু আমার এত বেশি কষ্ট লাগছিলো মেয়েকে ছেড়ে যেতে মনে হচ্ছিলো যেন আর কবে ফিরবো!! তবে, আমি নিজে ও জানি তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চলে আসবো। কিন্তুু মন কে বোঝানো যাচ্ছিল না। এরপরে মেয়েকে কোলে নেই আদর করি, এবং তাদের কে বিদায় জানিয়ে আমরা চলে আসি।
![]() |
---|
বাস স্ট্যান্ডে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা |
---|
আমরা স্ট্যান্ডে আশায় কিছুক্ষণ আগে একটা গাড়ি চলে গিয়েছে। এরপরে আবার ২০ মিনিট বসে রয়েছি। আমার মনে হয় সবকিছু অস্থির অস্থির লাগছিলো, হয়তো মেয়ে কে রেখে এসেছি বলে এমন মনে হয়ে ছিলো। তারপরে গাড়ি আসলো এবং আমরা আমার শ্বশুর বাড়িতে এসে পৌঁছে গিয়েছি। আস্তে আস্তে প্রায় বিকাল পাঁচ টা বেজে গিয়েছে। বাসায় এসে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
এরপরে আমার শশুর শাশুড়ি কে ডেকে, আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা পিঠা খেতে দিলাম, আমার আম্মু আসার সময় পিঠা সহ আরো অনেক কিছুই দিয়ে দিয়েছিল সে গুলোকে আমার শাশুড়ি আম্মার কাছে দিলাম। এবং রাতে রান্নার কোন টেনশন ছিল না কারণ, আগে থেকে আমার শাশুড়ি আম্মা রান্না টা করে রেখেছি। তাই সন্ধার পরে ঠিক হলো আগামীকাল ঢাকায় যেতে হবে, তাই ব্যাগ সহ প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো গুছিয়ে রাখলাম।
এইতো এই ছিলো, আমার আজকের দিনে কার্যক্রম কেমন লেগেছে আপনার কাছে অবশ্যই জানাবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
মায়ের মতো করে একটি সন্তানের খেয়াল কেউ রাখতে পারে না। আর হ্যাঁ, বর্তমানে আমি এবং আমার বাবা-মা আমার বোনের মেয়ের কথাই জিজ্ঞেস করি প্রথমে। এটাই যেন সত্য যে আমাদের পরিবারের সাথে যুক্ত হওয়া নতুন শিশুর গুরুত্ব আমাদের কাছে একটু বেশিই।
একদম ঠিক তাই, এবং আপনার কথাটা পুরোপুরি সত্যি কারণ, আগে আমার আম্মু ফোন দিলে হাজার বার জিজ্ঞাসা করত আমি কেমন আছি সুস্থ আছি কি না।।
এখনো জিজ্ঞাসা করে তবে, প্রথমেই বলে আমার মেয়ে কেমন আছে সুস্থ আছে কিনা শুধু আমার আম্মু না আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য বা আত্মীয় স্বজন সবাই। একটা পরিবারের নতুন সদস্য আসলে কি বা শিশুদের প্রতি আমরা একটু বেশি নজর দেই।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাবার বাড়ি থাকলে তো মাথায় বাড়তি চাপ থাকে না, সকালে ঘুম থেকে ওঠতে অনেকটাই অলসাতা লাগে। তবুও সকাল ৯ টার সময় ঘুম থেকে উঠেছেন।বেশ ভালই লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম গুছিয়ে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
শুরুতে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার বাবার বাড়ি থেকে আপনি চলে এসেছেন। আসলে প্রতিটি বাবা-মা'ই এরকম হয়। নিজের সন্তানের খেয়াল রাখতে একটুও কমতি করে না । ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর কার্যলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।