Better Life With Steem | The Diary game 30, June|
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি পাঁচ টা বাজে 25 মিনিট,উঠে হাত মুখ ধুইয়ে অজু করে, ফজরের নামাজ আদায় করে নিয়েছি।নামাজ শেষে রান্না ঘরের দিকে গেলাম এবং সকালের নাস্তার জন্য রুটি, ডাল, এবং ডিম ভাজি করে নিলাম।এরপরে হাসবেন্ড অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে এলো, আর আমি তাকে সকালে নাস্তা টা টেবিলে দিয়ে দিলাম খাওয়ার জন্য।
তিনি খাওয়া শেষে অফিসের দিকে চলে গেলেন। পরবর্তী তে মেয়ে কে ঘুম থেকে তুলে ব্রাশ করিয়ে। ওকে সাথে নিয়ে সকালের খাবার টা আমি খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে কেমন যেন একটা ঘুম ঘুম ভাব আসছিলো।কিন্তুু আমি ঘুমের দিকে মন না দিয়ে মেয়ে কে একটু পড়াতে বসেছি।১০ থেকে ১৫ মিনিট হবে পড়ার পরে সে খেলনা নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমিও পিসি টা অন করে একটু গান শুনছিলাম।
একটা সময় খেয়াল করে দেখলাম, যে অনেক টা সময় পার হয়ে গিয়েছে দুপুরে রান্নার আয়োজন করতে হবে। তাই আর বসে না থেকে দুপুর রান্নার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। আজ দুপুরে রান্না করেছিলাম কচু দিয়ে পাবদা মাছ,সেই সাথে ছিল ডাল ভর্তা, বেগুন ভর্তা,ইদানিং মাছ এবং গোশত থেকে আমার কাছে ভাজি ভর্তাটা এই বেশি ভালো লাগে। একটা বাজার আগে দুপুর রান্নাটা করে ছিলাম।
রান্না শেষে রুম গুলো ঝাড়ু দিয়ে, মুছে নিলাম। এরপরে মেয়ে কে নিয়ে গোসল করে আসলাম। গোসল শেষ করে মেয়ে কে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। তখন বাহিরে অনেক বেশি বৃষ্টি হচ্ছিলো আর, কিছুক্ষণের ভিতরে দেখলাম। হাজবেন্ড ভিজে ভিজে বাসায় এসেছে। এরপরে তিনি ফ্রেশ হলেন এবং দুই জনে একসাথে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, প্রতিদিনের মতো কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম। তবে আজ কে রেস্ট এর সময় টা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো কারণ,নিজের অজান্তেই কখন জানি ঘুমিয়ে গিয়ে ছিলাম। এরপরে, হাজবেন্ড ডেকে তুললো ও বললো বিকাল বেলা পড়ে পড়ে এত ঘুমাতে হবে না।
তবে, আমি তার কথায় কান দিবো কি, আবার ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।এরপরে আবার ডেকে বললো একটু আদা চা তৈরি করার জন্য। কি আর করার ঘুম ঘুম চোখে নিয়ে চলে গেলাম। অনেক কড়া করে দুই কাপ চা বানালাম হাজবেন্ডের সাথে নিজের এক কাপ খেয়ে নিলাম। চা টা খাওয়ার পরে ঘুম যেন কোথায় উড়ে গিয়েছিলো আমার।
মেয়ে খেলা নিয়ে খেলতেছে তবে, আমাকে দেখে শুরু করছে একটু বাহিরে যাওয়ার জন্য তবে, বাহিরে তখন বৃষ্টি ছিলো তাই আর আজকে ওকে বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আর তো শুরু করছে কান্নাকাটি এরপর মেয়ের বাবা মেয়েকে থামিয়েছে।মেয়ের এরকম হুটহাট আবদার নিয়ে আমি আছি মহা বিপদে।
এই করতে করতে সময় চলে গেলে। মাগরিবের আজান হলো আর আমিও সাথে সাথে নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপরে মেয়েকে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। পড়া শেষ হওয়ার আগেই আমার আম্মু ফোন দিলো তার সাথে কিছু সময় কথা বললাম।কথা বলা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। কারণ, আজ টিউটোরিয়াল ক্লাস আছে তাই।
খাওয়া শেষ হাজব্যান্ড ডাক দিলো এবং একটা গিফটের বক্স আমার হাতে দিলো,,মূলত এই গিফট টা আজকে সে তার অফিস থেকে পেয়েছে,গত ১৫ দিন তার কাজ অনেক বেশি ভালো ছিলো এবং ডিউটির পরিমাণ টা ও একটু বেশি ছিলো,তাই তার মত আরো কয়েক জন কে গিফট প্রদান করা হয়েছে কিছু টা খুশি করার জন্য।
আজকে আপনি আপনার সারাদিন এক কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করছেন সেটা অনেকটা সুন্দর ছিল। এবং পাবদা মাছ ও ডাল ভর্তা আমারও খুবই পছন্দ। আপনার আজকের রেসিপিটা অনেকটাই ভালো ছিল।
ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে কমেন্ট করার জন্য এবং পোস্টটি পড়ার জন্য। আমি খুব একটা মাছ খাই না তবে পাবদা মাছ চিংড়ি মাছ আমি আর বেশ পছন্দ।
আর ডাল ভর্তার কথা তো বললেই নয়,ধোয়া ওঠা গরম ভাতের সাথে ডাল ভর্তা খেতে অসম্ভব পছন্দ করি আমি। তাই আজ তৈরি করেছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর ভাবে আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে মনটা ফ্রেশ করতে গান শোনা প্রয়োজন। আমি প্রায়ই পিসি থেকে সাউন্ড বক্সে গান শুনি। আপনার মতন আমিও ভর্তা ভাত খেতে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা এবং ডাল ভর্তা হলে তো কথাই নেই। আমাদের এদিকেও প্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। গতদিন বাইরে থেকে আসতে গিয়ে রীতিমত ভিজে গিয়েছিলাম। সবশেষে কংগ্রাচুলেশন জানাই ভাইকে কাজের দক্ষতার মাধ্যমে উপহার অর্জন করার জন্য। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগলো আপনি মনটা কে ফ্রেশ করার জন্য গান শুনতে পছন্দ করেন। যখন বাসায় একা থাকি তখন হেডফোন কানে লাগিয়ে পছন্দের গান শুনতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে আমার।
আমি আগে যখন বাড়িতে ছিলাম তখন ভর্তা ভাজি খুব একটা পছন্দ করতাম না, কিন্তু ঢাকায় আসার পরে, ভর্তা ও ভাজি প্রতি আমার অন্যরকম একটা ভালোবাসা জন্মেছে। তাই চেষ্টা করি প্রতিদিনই ভর্তা তৈরি করার।
গত দুইদিন বেশ বৃষ্টি হয়েছে, উপহার পেতে বেশি সবাই পছন্দ করি এত এত পরিশ্রমের পরে যখন,সবার মাঝে উপহার পাওয়া যায় কিন্তুু, তখন কষ্টটা আর মনের মাঝে থাকে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কাজের দক্ষতা অনুযায়ী তাকে পুরস্কৃত করা হলে তার কাজের প্রতি যেমন আগ্রহ বাড়ে তেমনি নিজের ভিতর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ।ভাইয়ের আনন্দের সাথে আপনি অনেক খুশি হয়েছেন উপহার পেয়ে।
এই বৃষ্টির দিনে বিকেল বেলা ঘুমাতে ভালোই লাগে কখন, যে সন্ধ্যা হয়ে আসে বোঝা যায় না। সত্যি বলেছেন, মাছ-মাংস প্রতিনিয়ত খেতে ভালো লাগেনা মাঝে মাঝে ভর্তা ভাত খুব ভালো লাগে।
আপনার সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মেয়ের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও আদর ।
হ্যাঁ তা তো অবশ্যই, তা ছাড়া উপহার টি তার থেকে বেশি কাজে আমি লাগাবো।তাই আরো বেশি খুশি।
কথাটা কিন্তু মন্দ বলেন নি বৃষ্টিতে, ঘুমাতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়, বোঝাই যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে মাছ-মাংসের চাইতে ভর্তা ভাজি খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। প্রতিনিয়ত মাছ-মাংস খেতে তেমন একটা ভালো লাগেনা। আপনার হাসবেন্ড ঠিক কথাই বলেছে বিকেল বেলা পড়ে ঘুমানো টা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়।
আদা চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটা চা। যদিও আমি চা খেতে তেমন একটা পছন্দ করি না। তারপর হাজবেন্ডের উপহার নিশ্চয়ই বেশ ভালো ছিল। পরবর্তী পোস্টে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। ধন্যবাদ পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ সে কথা চিন্তা করি বেশি ভর্তা ভেজি খাওয়া হচ্ছে। কারণ মাছ মাংস খেতে আমার একটুও ভালো লাগেনা।
মাঝে মাঝে এমন ঘুমে ধরে তখন আর কোনটা খারাপ তার মাথায় থাকে না। কিন্তু যখন বুঝতে পারি তখন কিন্তু আর কোন অলসতা করি না।
হ্যাঁ অবশ্যই চেষ্টা করব পরবর্তী পোস্টে গিফটের ভিতর কি ছিলো।
সকাল বেলা হাসবেন্ডকে সকালের নাস্তা বানিয়ে দিয়েছিলেন। যেটা অবশ্য আপনাদের প্রতিদিনই করতে হয়। গান শুনলে মনের একঘেয়েমি দুর হয়। আমিও গান শুনে মন ভালো করার চেষ্টা করি তবে একটাই দুঃখ গান আমি গাইতে পারি না, আমি গান গাইলে পাগলও ভয়ে দৌড়ে পালাবে। বৃষ্টির সময় জানালার পাশে বসে কফি খাওয়ার মজাই আলাদা।