Better Life With Steem | The Diary game 17,june| ঈদের দিনটা যেভাবে কেটেছে আমার।

in Incredible India2 months ago (edited)
IMG_20240618_170210.jpg

আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা,,,
সবাই কে জানাই ঈদ মোবারক, আশা করছি সবাই ভালো আছেন ।আমিও বেশ আনন্দে আছি। আজ ঈদের দিন সারাটা দিন কিভাবে কাটিয়েছি চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

আজ আমার ঘুমটা ভেঙ্গেছে শাশুড়ি আম্মার ডাকে। ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমেই তাকে ঈদ মোবারক জানিয়েছি। এরপরে ফ্রেশ হয়ে কাজে লেগে পড়ি। কারণ সাড়ে সাতটার দিকে নামাজের জামাত ছিলো। যেহেতু শশুর দেবর রয়েছে তাই তারা, নামাজে যাওয়ার আগে অবশ্যই মিষ্টি মুখ করে যাবে।

আর সেজন্য এই শাশুড়ি আম্মা মিষ্টি, জর্দা, এবং নুডুলস রান্না করছিলেন। আর আমি তার এই রান্নার কাজে বেশ সাহায্য করেছি। এরপরে আমার শ্বশুর এবং দেবর আসলো তাদের কে মিষ্টিমুখ করিয়েছি, এবং আমার শ্বশুর আমার মেয়েকে ঈদ সালামি দিলো আমাকে ও দিয়েছিলো এরপরে নামাজের জন্য তাদের কে বিদায় জানালাম।

IMG_20240618_170152.jpg
  • এরপরে আমি আর আমার মেয়ে মিলে রেডি হয়ে চলে গিয়েছিলাম গরু দেখার জন্য কারণ,, আমার মেয়ের কোরবানির গরু দেখা হয়নি এখনো। আমার কাছে মনে হয় কোরবানির ঈদে এই গরু দেখা একটা অন্য রকম আনন্দ।

এরপরে আমরা বাড়ি চলে আসি, বাসায় এসে মেয়েকে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাজবেন্ডের সাথে ভিডিও কলে বেশ কিছুটা সময় কথা বললাম। আর তখন আমার অনেক খারাপ লেগেছিলো মানুষ টা কতটা কষ্ট করে আমাদের জন্য। বছরে একটা দিন বাবা-মা সন্তানের সাথে ঈদ করবে সেই সুযোগও পায় না।

IMG_20240618_170607.jpg
  • যারা ডিফেন্সে চাকরি করে তাদের এরকম কত সমস্যা যে সহ্য করে নিতে হয়। তা বলার বাহির। তবুও আমি তাকে একটু সান্ত্বনা দিলাম এ এছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে তিনি বেশ খুশি আমি বাবা মায়ের সাথে ঈদের আনন্দ টা ভাগ করে নিতে পেরেছি এটা ভেবে।
IMG_20240618_170244.jpg

এরপর আমি আমার আব্বু আম্মুর সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম। এ মাঝেই আমার শ্বশুর এবং দেবর চলে আসলো নামাজ থেকে এবং গরুর সাথে লোকজন নিয়ে কোরবানি দেওয়া সম্পূর্ন করলো, আজ দুপুরে গোসল টা একটু তাড়াতাড়ি করে নিয়ে ছিলাম।

এরপরে মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়ে ছিলাম। আমাদের কোটালীপাড়া কবি সুকান্তর বাড়িতে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি, আমি আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম কোরবানির মাংস প্রস্তুুত করা হয়ে গিয়েছে । এবং আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে আমার দেবর এবং আমার চাচা শাশুড়ির ছেলে গিয়ে মাংস দিয়ে আসলেন।

আর আমি আর আমার শাশুড়ি অন্য দিকে আবার রান্না শুরু করে দিয়েছি। কারণ রাতে নাকি আমার দেবরের কয়েক জন বন্ধু আসবে তাদের জন্যই খাবারের আয়োজন করছিলাম। পোলাও ডিম ভুনা আর গরুর মাংস ভুনা। আমাদের রান্না-বান্না শেষ হতে প্রায় মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো।

IMG_20240618_170103.jpg

যেহেতু মোটর সাইকেল নিয়ে গিয়েছিল আমার দেবর তাই তারাও চলে এসেছে। রান্না শেষ হওয়ার পরে আমি আবারো গোসল করে নিয়েছিলাম কারণ এত বেশি গরম মাথা পুরাই নষ্ট।!! এছাড়া অন্যদিকে আমাদের কাজের খালাম্মা টা ও এই দুই দিন ধরে আসতেছে না তিনি নাকি ঈদ শেষ হলে আসবেও না। তার মেয়ে জামাই এসেছে সেই কারণে। এজন্য শাশুড়ির সাথে আমিও বেশ কাজ করছি।

এরপরে, আর কোন কাজের দিকে যায় নি বেশ কিছুটা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম এবং একটা নাটক দেখে ছিলাম। এরপরে আর রাতে আমার দেবরের বন্ধুরা আসলাম তাদেরকে আপ্যায়ন করার পরে, আমরা সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।

  • খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কারণ ,আগামীকাল একটা বিয়ের অনুষ্ঠান আছে সেখানে যেতে হবে। সমস্যা নাই অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব আল্লাহ যদি তৌফিক দেন।

ও বন্ধুরা একটা কথা তো ভুলেই গিয়েছি, আমার পোস্টে ইউজকরা প্রত্যেকটা ছবি গতকালকের তবে, ছবি সৌন্দর্য জন্য আমি একটু এডিট করে দিয়েছি।

তো আজকের মতে ভালো থাকুন , সাবধানে থাকুন এখানে বিদায় নিচ্ছি।

Sort:  
 2 months ago 

সর্বপ্রথম আপনাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। ঈদের দিনের কার্যক্রম আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। শশুর বাড়ি ঈদ পালন করছেন কিন্তু আপনার হাজব্যান্ড থাকলে হয়তবা আরো আনন্দটা বেশি হতো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা তৈরি করেছিলেন কারণ শ্বশুর এবং দেবর ঈদের জামাতে যাবে তারা মিষ্টিমুখ করে যাবে। আসলে এটি প্রত্যেকটা বাড়ি হয়ে থাকে যখন আমরা নামাজ আদায় করতে যায় তখন মিষ্টি মুখ করে যায়।

যাই হোক মিষ্টিমুখ করার পরে আপনার শ্বশুর আপনাকে এবং আপনার মেয়েকে ঈদের সালামি দিয়েছিল। তারপরে আপনার মেয়েকে নিয়ে কোরবানির গরু দেখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে আপনার হাজবেন্ডের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন। এবং খারাপ লেগেছিল আপনার অনেক আসলে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।

একটি মানুষ পরিশ্রম করে যাচ্ছে কিন্তু আজকে বছরের একটি দিন। সে আপনাদের মাঝে থাকতে পারলো না। একজন স্ত্রী হিসেবে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এবং তারও অনেক খারাপ লাগছে সে আজকে বাবা-মায়ের সাথে এবং স্ত্রী সন্তানের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারল না।

যাই হোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য এবং ভালো ও সুস্থ থাকবেন আশা রাখি সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সব সময় ভালো রাখুক।

 2 months ago 

ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য, জীবন তো চলেছে নদীর মতই যে নদী যেমন জোয়ার ভাটা আছে ভাঙন আছে।।

ঠিক তেমনি আমাদের জীবনে কখনো আনন্দ আসে আবার কখনোই আনন্দের মাঝেও একটা খারাপ লাগা কাজ করে।

তবে এই খারাপ লাগাটা বেশি লাগতো যখন বুঝতাম না তবে এখন বুঝতে শিখেছি একটু একটু করে এবং নিজেকে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি কারণ, এরই নামে জীবন। শুধু যে আমি কষ্ট করছি এমনটা না আমার মত হয়তো হাজার নারী আছে, বা আমার হাজব্যান্ড এর মত হাজার পুরুষ আছে।। তাই এখন আর খুব একটা খারাপ লাগছে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

প্রথমেই জানাই ঈদ মোবারক। ঈদের আনন্দ শ্বশুর বাড়িত সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ভাইয়া ডিফেন্সে কাজ করে বলে আসতে পারেনি। আসলে যারা ডিফেন্সে কাজ করে তারা সব ঈদে ছুটি পান না। সকালে শ্বাশুড়ির ডাকে ঘুম ভেঙেছে। মেয়েকে নিয়ে কবি সুকান্তর বাড়িও ঘুরতে গিয়েছিলেন। যাদিও বেশীরভাগ সময় কেটেছে রান্না-বান্না করতে করতেই তবুও অনেক আনন্দের সাথে ঈদ পালন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

হ্যাঁ তাদেরই একটাই সমস্যা, সব ঈদে ছুটি পায় না যেকোনো একটা ঈদে ছুটি কাটাতে হয়।
ঈদের দিন মেহমান আসতে থাকে, তাই রান্নাবান্না টা একটু বেশি করতে হয় তবে চেষ্টা করেছি কিছু সময় বাহিরে কাটানোর।
কারণ আমার মনে হয় একটু ঘুরতে না গেলে মনে হয় না ঈদ ঈদ।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন কেটেছে আমার ধন্যবাদ আপনাকে।

Loading...
 2 months ago 

ঈদের দিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটা ঘুরতে বের হওয়ার সময় পেয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আপনার শাশুড়ি মায়ের কারণে। বাকি ঝামেলা গুলো উনি হ্যান্ডেল করেন বিধায় আপনি একটু সময় পেয়ে গেছেন। খুব ভালো লাগলো ব্যাপারটি জেনে।

আসলে যারা ডিফেন্সে চাকরি করে তাদের পরিবার কে এই জিনিসগুলো মেনে নিতেই হয়। এখন তো তাও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। আমার আব্বাকে দেখতাম বছরে একবার ছুটি গুছিয়ে আসতেন। ওনাকে আমরা বছরে একবার মাসখানেকের জন্য পেতাম।

তবে দেশের সেবায় যারা নিয়োজিত আছেন তাদের জন্য অনেক গর্ব হয়। আপনার ঈদের দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটুক এই কামনা করছি।

 2 months ago 

হ্যাঁ এটা সত্যি শাশুড়ি আমার জন্য কিছুটা সময়ের জন্য হলেও বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছি ঘুরতে পেরেছি।

যারা ডিফেন্সে চাকরি করে তাদের এই অবস্থা বছরে একবার বেশ কিছুটা দিন ছুটি কাটায় এরপরে আবার রাতের দিকে ছুটতে হয়।।
তবে যে চাকরি করে বা তাদের আত্মীয়-স্বজন একটা কথা ভেবেই নিজেকে সান্ত্বনা দেয় যে মানুষটা দেশের সেবায় নিয়োজিত আছে,, এটা আমাদের সবার গর্ব।
ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

প্রথমেই আপনাকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ঈদের আনন্দ ও খুশিগুলো হয়তো বলে বুঝানো যায় না তবে আপনি আমাদের সাথে এই স্পেশাল দিনটা যেভাবে কাটিয়েছেন সেটার কিছুটা ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

সকালবেলা আপনার শাশুড়ী আম্মা নুডুলস ও অন্যান্য কিছু রান্না করেছে এবং আপনি তাকে সাহায্য করে ভালো করেছেন। যেকোনো অনুষ্ঠানের সময় প্রিয়জন কাছে না থাকলে সেই আনন্দটা অনেকটাই মলিন হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

যারা দেশের জন্য কাজ করে তারা সবসময় তাদের পরিবার পরিজনদের থেকে দূরে থাকে।ঈদের সময়ও তারা তাদের আপন মানুষগুলোকে সাথে পায় না।এর থেকে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে।যাই হোক আপনি আপনার হাসবেন্ডকে ভিডিও কল দিয়ে সান্ত্বনা জানিয়েছেন।ঈদের গরু দেখার মধ্যে অন্য রকমের একটা তৃপ্তি রয়েছে।ছোট আম্মু মাশা আল্লাহ ফুলের মতো সুন্দর।ভালো লাগলো আপনার দিনলিপিটি পড়ে।ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

সত্যি এটা তাদের জন্য একটা অনেক বড় ত্যাগ।
তবে আমি চেষ্টা করেছি তাহলে কষ্টের মনটাকে কিছুটা হলেও হাসাতে, তাই সান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।

 2 months ago 

প্রথমেই জানাই আপনাকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি ঈদ খুব ভালোভাবে কাটিয়েছেন। পরিবারের সাথে আনন্দ করে কাটিয়েছে। তবে ঈদের দিন গরু দেখতে যেতে হয় বিষয়টা জানা ছিল না। ঈদের দিন মেয়েকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন খুব ভালো করেছেন। আসলে এই রকম উৎসবে স্বামীকে পাশে না পেলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আসলে আমরা অনেকেই এই ভূল টা করি, কোরবানির ঈদে বাসা থেকে মিষ্টী মুখ করে যাই, কিন্তু এটা ইসলামে নিষেধ রয়েছে। করবানীর ঈদে নামাজের আগে না খেয়ে থাকার বিধান রয়েছে, আপনি এ সম্পরকে একটু নেট ঘাটলেই জানতে পারবেন। আপনার ঈদের দিনটি পরিবারকে নিয়ে খুব ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ আপনার দিনালিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

ঈদের দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যায়। বিশেষ করে কোরবানি দিয়ে গরুর মাংস কাটাকাটির রান্নাবান্না করা। তার সাথে যদি আত্মীয়-স্বজন বাসায় আসে তাদের জন্য আবার নতুন করে রান্না করা। তাদেরকে আপ্যায়ন করা, আর গরমের যে অবস্থা যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। ঐদিন আমার অবস্থা এত পরিমাণে খারাপ হয়েছে। প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারণে আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি। ধন্যবাদ ঈদের দিন কিভাবে কাটল সে বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63376.09
ETH 2692.84
USDT 1.00
SBD 2.59