Better LIfe with steem || The Diary Game || June 11, 2024 ||
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছেন । আমিও ভাল আছি, প্রতিদিনের মতো আজ আবারও হাজির হয়েছি, আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের কার্যক্রম নিয়ে, আমি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে, তো চলুন শুরু করছি শুরু থেকে।
![]() |
---|
আমার আজকে সকালে ঘুমটা ভেঙ্গে ছিলো একটু গরম গরম অনুভব করতে করতে। যদিও উপরে ফ্যান চলতে ছিলো, কিন্তুু এখন ওই ফ্যানের বাতাস টাও বেশ গরম অনুভব হয়। আর সেই কারণে এই আজ খুব একটা সময় ঘুমাতে পারিনি সকাল 5:30 বাজে উঠে গিয়েছি। ভেবে ছিলাম নামাজ আদায় করে একটু শুয়ে থাকবো তবে তা আর করতে পারিনি। সোজা রান্নাঘরের দিকে চলে গিয়েছি।
ভেবে ছিলাম আজ সকালে রুটি তৈরি করবো তবে, হাজবেন্ড এসে বলল প্রতিদিন নাকি রুটি খেতে ভালো লাগে না । তাই আজ পরো টা তৈরি করেছিলাম যদিও দেখতে খুব একটা ভালো হয়নি, তবে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল খেতে। এরপরে মেয়ে উঠল মেয়েকে দাঁত ব্রাশ করিয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে,এরপরে সবাই মিলে সকালের নাস্তা টা শেষ করি।
![]() |
---|
![]() |
---|
সকালের নাস্তা শেষে হাজবেন্ড চলে গিয়েছিলো নিউমার্কেটের দিকে, কারন আমার একটা ক্রিমের প্রয়োজন অনেক দিন হলো, মুখে কিছুই ব্যবহার করা হয় না। তাই দেখলাম একটা অফার চলতেছে এই ক্রিম টা আর সেই জন্যই এই ক্রিম টা কিনতে পাঠিয়েছি। এবং আসার সময় তিনি ডাটা শাক কিনে নিয়ে এসেছে, ডাটা শাক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিলো, এবং রান্না করতেও বেশ আরাম পেয়েছি। তবে, আমার সবজি বাগানে ডাটা গুলোই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো মনে হয়, এগুলো একটু অন্যরকম।
![]() |
---|
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ একটু বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম, তখন হাজবেন্ড এসে বললো তিনি ছুটি পাবে না ঈদ উপলক্ষে, তবে আমাকে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ঈদ করার জন্য। কথা টা শুনে তো আমি বেশ আনন্দিত কারণ, প্রথমে কথা হয়েছিলো যাওয়া হবে না বাড়িতে। আর এখন বাড়ি ফিরে যেতে পারবো, সবার সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবো, এটা শুনে আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো।
আজ আর বিকালে আর বাহিরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। মেয়ে কে নিয়ে বাসাতেই সময় কাটিয়েছি। একটু টুকি টাকি কাজ করছিলাম । গতকাল কে হাজবেন্ড রেশন তুলে এনে রেখেছিলো, তাই এগুলো একটু গুছিয়ে জায়গা মতো রেখে দিয়েছিলাম। এরপরে সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে থানকুনি পাতার বড়া তৈরি করেছিলাম। এরপরে মেয়ে এবং আমি দুই জনে মিলে বড়া খেয়ে নিয়ে ছিলাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যায় মেয়ে কে সাথে নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিয়ে ছিলাম। নামাজ শেষে মেয়েকে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। পড়ানো শেষ করে আমার একটা বান্ধবীর ফোন দিলো, তার সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম।
কথা বলা শেষে, মেয়ে কে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। খাবার খাওয়ানো শেষে ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম, এবং আমি একটু বই নিয়ে বসেছিলাম পড়ার জন্য কিছু সময় পরে। হাজবেন্ড আসলো এবং আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
এইতো এই ছিলো আমার আজকের দিনে কার্যক্রম, আজ আর লিখব না এখানে বিদায় নিবো সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif)
প্রতিদিন সকালবেলা একই ধরনের খাবার খেতে আমারও ভালো লাগেনা , ঢাকা শহরে সকাল বেলা কিছু টাটকা টাটকা সবজি পাওয়া যায় । এবং এটা শুনে ভালো লাগলো ঈদ কাটানোর জন্য গ্রামে যাচ্ছেন, মূলত যারা চাকরি করে তাদের বাসায় ঈদ করতে পারব কিনা তা নিশ্চয়তা থাকেনা।
আমার কথাই একটি কোম্পানিতে করলে আরেকটি বাড়িতে করার সুযোগ পায়।
ধন্যবাদ আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত যে এখন মাঝে মাঝে মনে হয় ফ্যান চালানো আর না চালানো সমান কথা৷ কারন ফ্যান চালালেও সেই গরম হাওয়া গায়ে লাগে। আজ প্রথমবারের মতো মাছের ডিমের কোপ্তা কারি রান্না করেছেন, আশা করছি, খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। ভালো থাকবেন।
প্রতিদিন একই খাবার খেতে ভালো লাগে না এটা ঠিক কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এই গরমে পরোটা খেলে আরো গরম লাগে। তাই এটাকে আমি এভোয়েড করার চেষ্টা করি। যদিও বাইরে থেকে নাস্তা কিনে আনলে পরোটাই খাই।
মাছের ডিমের কোফতা কারিতা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। একদিনা রেসিপি শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে।
দেশে ঈদ করতে যাবেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে সবার সাথে ঈদ করার আনন্দই আলাদা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
একদম ঠিক কথা বলেছেন প্রতিদিন একই রকম খাবার খেতে আমারও ভালো লাগেনা।
তাই চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ভিন্ন কিছু তৈরি করার। এতে খাবারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। সেই সাথে খাওয়াও হয়
অবশ্য সেই ডিমের কোপ্তা রেসিপি একদিন শেয়ার করব আপনাদের সাথে,
ঈদ মানে আনন্দ আরে আনন্দ যদি সবার সাথে ভাগ করা যায় একসাথে সবাই মিলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করা যায় তাহলে আনন্দ যেন আরও বেশি করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও হাজব্যান্ডের ঈদের ছুটি মঞ্জুর হয়নি, তবে আপনাকে বাড়িতে দিয়ে আসবেন জেনে ভালো লাগলো। তবে সাথে যদি উনিও থাকতো তাহলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যেতো। থানকুনি পাতার বড়া আপনার মেয়ে খায় জেনে অবাক হলাম। কারন বাচ্চাদের কাছে এটি অতটাও পছন্দের নয়, তবে স্বাস্থ্যকর। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের গল্প শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঈদ মানেই তো আনন্দ আর এই আনন্দ টা যদি কাছের মানুষ গুলোকে নিয়ে উপভোগ করা যায় তাহলে আরও বেশি আনন্দ লাগে।
তবে হাজবেন্ডের ছুটি যখন নাই কিছু করার নেই তাই শশুর শাশুড়ির সাথে ঈদ করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে এসেছি।
আর হ্যাঁ আমার মেয়ে থানকুনি পাতার বড়া বেশ পছন্দ করে, মাঝেমধ্যেই আমি ওকে তৈরি করে দেই। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন।
শেষ পর্যন্ত ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন এটা জেনে আপনি খুব আনন্দিত হয়েছেন। আসলে গ্রামে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করা খুবই আনন্দের ব্যাপার।
মাছের ডিমের কোপ্তা কারি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমি মাছের ডিম খুব একটা খাই না।তবে আপনার রান্নাটা দেখে ভালোই লাগছে।
তবে থানকুনির পাতার বড়া দেখতে খুব ভালো লাগছে। এটা অবশ্যই একদিন বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব।
আপনার ঈদ আনন্দময় হোক এই কামনাই করছি।